কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:৩৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

জুলাই সনদে এনসিপি কেন স্বাক্ষর করেনি, জানালেন আখতার হোসেন

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন আখতার হোসেন। ছবি : সংগৃহীত
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন আখতার হোসেন। ছবি : সংগৃহীত

ঐতিহাসিক জাতীয় জুলাই সনদে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল স্বাক্ষর করলেও, এতে অংশ না নেওয়ার কারণ জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেছেন, ‘জুলাই সনদের আইনি ভিত্তিহীনতা এবং বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে ধোঁয়াশার কারণেই এনসিপি তাতে আনুষ্ঠানিক স্বাক্ষর করা থেকে বিরত থেকেছে।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) দলের অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে আখতার হোসেন বলেন, ‘জুলাই সনদের আইনগত ভিত্তি ও বৈধতা নিশ্চিত না করেই এবং বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জাতিকে পরিষ্কার ধারণা না দিয়েই সরকার অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেছে। জুলাই সনদের কোনো আইন ভিত্তি না দেওয়া, বাস্তবায়ন আদেশ প্রকাশ না করা এবং পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা জাতির সামনে না আনার কারণে আমরা আনুষ্ঠানিকতার জন্য স্বাক্ষর থেকে বিরত থেকেছি।’

অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আহত ও শহীদ পরিবারের প্রতি অসম্মান করা হয়েছে। শহীদ পরিবাররাই জুলাই সনদ আয়োজনের মূল আকর্ষণ হলেও, তাদের মঞ্চ থেকে দূরে বসিয়ে অমর্যাদা করা হয়েছে। শহীদ পরিবার অনুষ্ঠানে প্রাপ্য সম্মান পাননি, বরং প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের সঙ্গে উচ্চবাচ্য করা হয়েছে। আহতদের ওপর হামলা চালিয়ে এবং অসম্মান করে জুলাই সনদকে পাওয়ার এলিটের সেটেলমেন্ট বানানোর অপচেষ্টা করা হয়েছে।’

আখতার হোসেন বলেন, “জুলাই সনদের বাস্তবায়ন পদ্ধতি সম্পর্কে জাতিকে ধোঁয়াশায় রাখা হয়েছে এবং সনদের আইনি ভিত্তি হিসেবে ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ’র উল্লেখ নেই। অভ্যুত্থান-পরবর্তী যে কোনো বন্দোবস্তের নৈতিক ও আইনি ভিত্তি থাকতে হবে, কিন্তু সনদে জনগণের সার্বভৌম ও গাঠনিক ক্ষমতার মৌলিক সত্যের উল্লেখ নেই।’

এদিকে শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) শহীদ পরিবার ও আহতরা কিছু দাবি নিয়ে অনুষ্ঠানে গেলে ঐক্যবদ্ধ কমিশন পঞ্চম দফা সংশোধনের ঘোষণা দিলেও, শুরুতেই বিষয়টি আমলে নিলে তাদের রাজপথে নামতে হতো না। আহত যোদ্ধাদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানান আখতার হোসেন।

এনসিপির এই নেতা সতর্ক করে জানান, যে সনদের আওতাভুক্ত রাজনৈতিক দলগুলো সংবিধানের এমন কিছু অনুচ্ছেদ পরিবর্তনে সম্মত হয়েছে, যা বিদ্যমান সংবিধানের তথাকথিত ‘বেসিক স্ট্রাকচার’-এর আওতাভুক্ত। ফলে ’৭২ সালের সাংবিধানিক কাঠামোর অধীনে থেকে এই পরিবর্তনগুলো ভবিষ্যতে আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে, যা জুলাই সনদকে জনগণের সঙ্গে একটি সাংবিধানিক প্রতারণায় পরিণত করতে পারে। এই পরিস্থিতিতে এনসিপি সরকারপ্রধান ড. ইউনূসকে গণভোটের পূর্বে ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ’ জারির আহ্বান জানিয়েছে, যাতে এর আইন ভিত্তি, বৈধতা ও জুলাই অবস্থান স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পাচারের অর্থ ফেরত আনার সক্ষমতা বর্তমান সরকারের নেই : রেজা কিবরিয়া

গোলাপী বলের টেস্টে কামিন্সের খেলা নিয়ে রহস্য

আরেক মামলায় বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন জয়

৮ কুকুরছানা হত্যার ঘটনায় সেই নারী কারাগারে

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে এভারকেয়ারে প্রধান উপদেষ্টা

পরীক্ষা না নেওয়ায় শিক্ষকদের আটকে অভিভাবক-শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

‘কয়েকটা সিটের লোভ দেখিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্রকে হত্যার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে’

স্বচ্ছ ও সুশৃঙ্খল নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীই নির্ভরতার প্রতীক

বউ-শাশুড়িকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা, আটক ১

খোলা তালাকের পর অন্যত্র বিয়ে ছাড়া কি পূর্বের স্বামীকে বিয়ে করা জায়েজ?

১০

ভূমিকম্প নিয়ে জাপানের কাছ থেকে যা শিখতে পারে বাংলাদেশ

১১

এবি পার্টির উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি : জরিপ

১২

‘নতুন শাড়িতে পুরোনো বউ’ দিয়ে আর ধোঁকা দেওয়া যাবে না : চরমোনাই পীর

১৩

সিয়ামের নতুন নায়িকা

১৪

৮৪ নম্বর সেঞ্চুরির দিনে কোহলির বিরল রেকর্ড

১৫

বিসিএসআইআর-বিইউএফটি’র মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

১৬

ভুলেও খাবেন না এই ৩ পানীয়, নষ্ট হতে পারে আপনার স্মৃতিশক্তি

১৭

সাভারে টিভি সাংবাদিকদের সংগঠন ‘টিআরসি’র আত্মপ্রকাশ

১৮

শাহ আমানত বিমানবন্দরে মাঝারি স্কেলের অগ্নি নির্বাপন মহড়া

১৯

কাদাজলে লন্ডভন্ড ইন্দোনেশিয়ার জনজীবন

২০
X