

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেনকে ভুল স্বীকার করে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার জন্য এক ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছেন বহিষ্কৃত নেতা মুনতাসির মাহমুদ। নইলে ‘অ্যাকশন’ হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) রাত সোয়া ৮টায় ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে দেওয়া একটি পোস্টে মুনতাসির মাহমুদ লেখেন, ‘এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেনকে ভুল স্বীকার করে আমার কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার জন্য শেষ ১ ঘণ্টা সময় দেওয়া হলো। নইলে…অ্যাকশন।’
এরপর শুক্রবার রাত ১০টার দিকে মুনতাসীর আরও একটি পোস্ট করেন নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে। সেখানে তিনি লেখেন, ‘আখতার ভাইয়ের জন্য মায়া লাগতেছে! ফাঁস করবো নাকি না? হ্যা হলে লাভ রিএক্ট দিন, না হলে কেয়ার দিন। ভোট যেদিকে যাবে, সেটাই করবো।’
এর আগে গত ৫ নভেম্বর সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে কেন্দ্রীয় সংগঠক মুনতাসির মাহমুদকে স্থায়ীভাবে অব্যাহতি দেয় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
দপ্তর সেল থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গত ১২ অক্টোবর এক শোকজ নোটিশের মাধ্যমে মুনতাসির মাহমুদকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয় এবং তাকে কেন স্থায়ীভাবে অব্যাহতি দেওয়া হবে না—সে বিষয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।
পরে ১৪ অক্টোবর তিনি লিখিত জবাব দেন। তবে তার ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হওয়ায় এবং একাধিকবার সতর্ক করা সত্ত্বেও সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে এনসিপির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও সদস্য সচিব আখতার হোসেনের নির্দেশে তাকে স্থায়ীভাবে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
গত বছর জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর মুনতাসির মাহমুদ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিতে উপপরিচালক পদে যোগ দেন। সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পর্ষদে তখন উপদেষ্টা মাহফুজের ভাই মাহবুব আলমও সদস্য ছিলেন। রেড ক্রিসেন্টে মুনতাসিরের চাকরি ছিল অস্থায়ী।
সম্প্রতি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. আজিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগপন্থিদের পুনর্বাসনের অভিযোগ তুলে একদল লোক নিয়ে সংস্থার মগবাজার কার্যালয়ে বিক্ষোভ করেন মুনতাসির মাহমুদ। ওই দিনই তাকে এনসিপি থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয় এবং একই দিনে রেড ক্রিসেন্টের চাকরিও হারান তিনি।
মন্তব্য করুন