

জনগণের কষ্ট লাঘব করার জন্যই তারেক রহমান দেশে আসছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, তারেক রহমানের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কত লোক হবে সেটা ধারণা করা যাচ্ছে না। ধারণার বাইরে লোক হবে।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফিটে অভ্যর্থনা মঞ্চ পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
আব্বাস আরও বলেন, পৃথিবীর সব বড় বড় নেতাদেরই নিরাপত্তা ঝুঁকি বরবারই থাকে, এটি অস্বাভাবিক কিছু না। আমাদের পক্ষ থেকে যতটুকু সম্ভব করছি, সরকারের সহায়তা চাওয়া হয়েছে, ওনারা যতটুকু পারবেন করবেন।
এদিকে, আজ দুপুরে বুধবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন দলের স্থায়ী কমিটির সভাপতি সালাহউদ্দিন আহমদ জানান, বাংলাদেশ বিমানের একটি নিয়মিত ফ্লাইটে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন তারেক রহমান। দেশে প্রত্যাবর্তনের পর তিনি ৩০০ ফিট এলাকায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নেতাকর্মী ও দেশবাসীর উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত ভাষণ দেবেন।
বিমানবন্দরে অবতরণের পর তারেক রহমান যে পথ ব্যবহার করে ৩০০ ফিটের সভাস্থলে পৌঁছাবেন, তার ম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে।
ঘোষিত ম্যাপে বলা হয়েছে, বিএনিপর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রানওয়ে থেকে ভিআইপি গেট হয়ে আট নম্বর গেট, সেখান থেকে বেবিচক ভবন থেকে বাম দিকে জসিম উদ্দীন ইউটার্ন নিয়ে বিমানবন্দর স্টেশন হয়ে খিলক্ষেত ফ্লাইওভার দিয়ে ৩০০ ফিট সড়কের সভাস্থলে পৌঁছাবেন।
আট নম্বর গেট এবং ক্যান্টিন গেটে দুটি মিডিয়া বুথ থাকবে। মিডিয়া পাস ছাড়া কোনো গণমাধ্যমকর্মীকে বিমানবন্দর এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
উল্লেখ্য, ওয়ান-ইলেভেন সরকারের সময় ২০০৮ সালে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য সপরিবারে যুক্তরাজ্যে চলে যান তারেক রহমান। এরপর থেকে সেখানেই অবস্থান করছিলেন। স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান কয়েকবার দেশে এলেও তারেক রহমান ফিরতে পারেননি। অবশেষে আগামীকাল বৃহস্পতিবার দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশের মাটিতে পা রাখছেন তিনি।
মন্তব্য করুন