নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের একদফা দাবি আদায়ে ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে বিএনপি ঘোষিত সর্বাত্মক অবরোধের দ্বিতীয় দিন চলছে।
বুধবার (১ নভেম্বর) সকাল ৮টায় রাজধানী রামপুরা বিশ্বরোডে সড়কে অবস্থান নিয়ে পিকেটিং করেছেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। এতে নেতৃত্ব দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
এ সময় বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহসম্পাদক আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, মহানগর বিএনপি নেতা ভিপি সামছুল ইসলাম শামছু, যুবদল নেতা শাওন, মহানগর উত্তর বিএনপির ফয়েজ আহমেদ ফরু, যুবদলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি দীপু সরকার, রামপুরা থানা বিএনপির হেলাল কবির, সোহেল রানা, রেজাউল করিম, নিলুফা ইয়াসমিন নীলু, যুবনেতা কফিল উদ্দিন, বিএনপি নেতা মো. তৌহিদ হোসেন, মো. নজরুল ইসলাম, মোহাম্মদ দুলু প্রমুখ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় রিজভী আহমেদ বলেন, আমাদের আন্দোলন জনগণের আন্দোলন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও অধিকার আদায়ের আন্দোলন। হুমকি দিয়ে, গুলি করে হত্যা করে, দমনপীড়ন করে এ আন্দোলন দমানো যাবে না। এবার জনগণের অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত করেই বিএনপির নেতাকর্মীরা ঘরে ফিরবে।
প্রসঙ্গত, দেশে চলমান বিচারহীনতা, অপশাসন, সীমাহীন দুর্নীতি, অনাচার, অর্থ পাচার ও সিন্ডিকেটবাজির ফলে দ্রব্যমূল্যের অব্যাহত ঊর্ধ্বগতিতে বিপর্যস্ত জনগণের জীবন-জীবিকা রক্ষার স্বার্থে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আয়োজিত ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশে হামলা, নেতাকর্মীদের হত্যা, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ আন্দোলনরত বিভিন্ন দলের সহস্রাধিক নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার, বাড়ি বাড়ি তল্লাশি, হয়রানি ও নির্যাতনের প্রতিবাদে এবং এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আজ ৩১ অক্টোবর এবং ১ ও ২ নভেম্বর ২০২৩ তারিখ দেশব্যাপী সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। একই সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এলডিপি, এবি পার্টিসহ কয়েকটি দল ও জোট অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা ও সমর্থন করেছে।
মন্তব্য করুন