যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির ভার্জিনিয়ায় অনুষ্ঠিত পিঠা উৎসবে বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণের ব্যাখ্যা দিয়েছেন মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহমুদুন নবী বাকী। তিনি দাবি করেছেন, যথাযথ নিময়কানুন রক্ষা করে দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ভার্জিনিয়ায় অনুষ্ঠিত অনেকগুলো পিঠা উৎসবে যোগদান করেছেন।
মাহমুদুন নবী বাকী বলেছেন, ভার্জিনিয়ায় একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পিঠা উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে অনেক বছর যাবত। এই পিঠা উৎসবটি প্রতিবছর মেট্রো ওয়াশিংটনে বাংলাদেশিদের এক বিশাল মিলন মেলা। যেখানে দূতাবাসের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন। এই মিলনমেলার প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রবাসের মাটিতে স্বদেশীদের সঙ্গে মেলাবন্ধন তৈরি করা।
মাহমুদুন নবী বাকি আরও বলেছেন, ‘ঢাকা থেকে প্রকাশিত ‘কালবেলা পত্রিকায়’ ফ্রেন্ডস ফ্যামিলি কর্তৃক গত ২৭ জানুয়ারি ভার্জিনিয়ায় আয়োজিত পিঠা উৎসবে বাংলাদেশ দূতাবাসের একটি স্টল দেওয়াকে কেন্দ্র করে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে, সে বিষয়টি পরিষ্কার করা আমার নৈতিক দায়িত্ব। প্রথমত, একজন ব্যক্তি এই পিঠা উৎসবের আয়োজন করেননি বরং সমষ্টিগতভাবে কয়েকজনের উদ্যোগেই এই উৎসব উদযাপিত হয়ে থাকে। বরাবরের মতো এবারও সেটিই হয়েছে।
তিনি আরও বলেছেন, আয়োজনকারী একজন সম্পর্কে প্রতিবেদনে যে অভিযোগ করা হয়েছে সে ব্যাপারে আমার বক্তব্য হচ্ছে, ৩৪ বছর ধরে মেট্রো ওয়াশিংটনে বসবাস করছি, কিন্তু কখনও যে দলের আদর্শে তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে সেটার পক্ষে কাজ করতে দেখিনি। পিঠা উৎসবে দূতাবাস কর্তৃক স্টল দেওয়াকে কেন্দ্র করে দূতাবাসের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করে এটিকে বাণিজ্যিকভাবে অংশগ্রহণের যৌক্তিকতার বিষয় তুলে ধরে মন গড়া তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আমি যত দূর অবগত হয়েছি সেটি হচ্ছে অর্জিত অর্থ পুরোটাই চ্যারিটিতে প্রদান করা হবে। অতএব ব্যক্তিগত লাভ লোকসানের এখানে কোনো অবকাশ নেই। পিঠা উৎসবে দূতাবাসের অংশগ্রহণের ওপর প্রতিবেদনটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে দূতাবাস কর্মকর্তাদের হেয় করা এবং পিঠা উৎসবের বিশাল সফলতায় ঈর্ষান্বিত হয়ে করা হয়েছে বলে আমি মনে করি।
মন্তব্য করুন