চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ১২ দলীয় জোটের উদ্যোগে জোটের শরিক বাংলাদেশ এলডিপির পুরানা পল্টনস্থ কার্যালয়ে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের পর আন্দোলনকে বেগবান করতে এবং আন্দোলনের ধারাবাহিকতা রক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ও নির্বাচনের বিষয়ে ভারতের নগ্ন হস্তক্ষেপ এবং সীমান্তে ভারতের আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
নেতারা বলেন, বাংলাদেশের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে আজকে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে।
নেতৃবৃন্দ মনে করেন জনরায়হীন একটি ডামি সরকার বর্তমানে দেশ শাসনে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং অর্থনৈতিক সংকট দেশের জনগণের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে। জোট নেতারা এই অবৈধ ডামি সরকার এবং ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে জনগণকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজপথে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে শরিক হওয়ার উদাত্ত আহ্বান জানান।
আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি রোববার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ভারতীয় আগ্রাসন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, সকল রাজবন্দিদের মুক্তি ও অচিরেই নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি নির্বাচনের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
১২ দলীয় জোটপ্রধান জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন জোটের মুখপাত্র বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবীব লিংকন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)র সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, ইসলামী ঐক্য জোটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আমিন, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম মেম্বার নোয়াব আলী আব্বাস, বাংলাদেশ এলডিপির অতিরিক্ত মহাসচিব তুমিজ উদ্দিন টিটু, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি জাকির হোসেন প্রমুখ।
মন্তব্য করুন