

নতুন বেতনকাঠামো বা নবম পে স্কেল নিয়ে দীর্ঘদিনের অনিশ্চয়তা ও সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজমান। ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে শ্রদ্ধা জানানো এবং রাষ্ট্রীয় পরিস্থিতি বিবেচনায় পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি সাময়িকভাবে স্থগিত করেছিলেন সরকারি কর্মচারীরা।
বিভিন্ন আলটিমেটাম দেওয়ার পরও পে কমিশন এখনো নবম পে স্কেল সংক্রান্ত সুপারিশ দাখিল না করায় এবার কর্মসূচিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্মচারী সংগঠনগুলো।
এ প্রেক্ষাপটে আগামীকাল শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন সরকারি কর্মচারীরা।
সংগঠনগুলো জানায়, নতুন বছরের শুরুতেই ধারাবাহিক কর্মসূচি আসতে পারে। সম্ভাব্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে প্রতীকী অনশন, সমাবেশ, মহাসমাবেশ এবং দৈনিক এক থেকে দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি। কর্মসূচির ধরন ও নির্দিষ্ট তারিখ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানানো হবে।
এর আগে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ জানায়, সরকারি চাকরিজীবী বিধিমালা ও শৃঙ্খলার বাইরে গিয়ে কোনো কর্মসূচি দেওয়া হবে না।
সংগঠনের এক নেতা বলেন, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে তারা ইচ্ছেমতো কর্মসূচি দিতে পারেন না। চাকরির বিধিমালা ও শৃঙ্খলার মধ্যেই সব কর্মসূচি পালন করা হবে এবং বিধিমালাবহির্ভূত কোনো কর্মসূচি দেওয়া হবে না।
উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিজীবীদের বৈষম্য নিরসন ও সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে গত জুলাই মাসে অন্তর্বর্তী সরকার পে কমিশন গঠন করে। ছয় মাসের মধ্যে সুপারিশ দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রেখে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়। পরে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এই সরকারের সময়েই নবম পে স্কেল বাস্তবায়নের ইঙ্গিত দেন।
তবে নভেম্বর মাসে অর্থ উপদেষ্টা জানান, সরকারি কর্মচারীদের নতুন পে কমিশনের সিদ্ধান্ত নেবে আগামী সরকার। এ বক্তব্যের পর থেকেই সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ ও ক্ষোভ বাড়তে থাকে।
মন্তব্য করুন