

নির্বাচন সামনে রেখে শরিক দুটি দল সম্প্রতি সংগঠন বিলুপ্ত করে বিএনপিতে যোগদান করলেও ১২ দলীয় জোট ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের কল্যাণে জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের নেতৃত্বে এই জোট বিএনপির সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাবে। ১২ দলীয় জোট আছে, জোট থাকবে।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনের জামান টাওয়ারে ন্যাশনাল লেবার পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ১২ দলীয় জোটের এক জরুরি সভায় সর্বসম্মত ও দৃঢ়ভাবে এই অভিমত ব্যক্ত করেন নেতারা।
গত ৮ ডিসেম্বর নিজ দল বিলুপ্ত করে নেতাকর্মীদের নিয়ে বিএনপিতে যোগদান করেন বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম। তাকে লক্ষ্মীপুর-১ আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন নিশ্চিত করেছে বিএনপি। এ ছাড়া সোমবার (২২ ডিসেম্বর) নিজের দল বিলুপ্ত করে নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিএনপিতে যোগ দেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা। আসন্ন নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেবেন তিনি।
দুটি দলই ১২ দলীয় জোটের শরিক ছিল। অবশ্য পরে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান এমএ বাশারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ এলডিপি পুনর্গঠন করা হয়।
এমন অবস্থায় করণীয় নির্ধারণে ১২ দলীয় জোট নেতারা জরুরি সভায় মিলিত হন। জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব গোলাম মহিউদ্দিন ইকরামের সভাপতিত্বে এবং ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমানের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান এমএ বাসার, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির মহাসচিব অ্যাডভোকেট আবুল কাশেম, ইউনাইটেড লিবারেল পার্টির চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম, প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দলের (পিএনপি) চেয়ারম্যান ফিরোজ মো. লিটন, নয়া গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এম এ মান্নান। শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারণে জোট প্রধান ও জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার সভায় উপস্থিত হতে পারেননি।
সভায় জোট নেতারা বলেন, আমরা বিগত স্বৈরাচারবিরোধী সব আন্দোলন-সংগ্রামে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বুলেটের সামনে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকবো। ১২ দলীয় জোটকে শক্তিশালী করতে আমরা বদ্ধপরিকর।
সভায় দীর্ঘ ১৭ বছর পর আগামী ২৫ ডিসেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের লন্ডন থেকে দেশে প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানানো হয়।
সভায় জমিয়তের সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি মাওলানা জাকির হোসেন, কল্যাণ পার্টির মহাসচিব আবু হানিফ, ন্যাশনাল লেবার পার্টির দলীয় মুখপাত্র মো. শরিফুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন