নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে ২০-৩০ জুলাই ১১ দিনব্যাপী দেশজুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেসিডিয়ামের বৈঠক শেষে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
দলের সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, প্রেসিডিয়াম সদস্য শামছুজ্জামান সেলিম ও অধ্যাপক এ এন রাশেদা।
সভায় নেতারা বলেন, ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের নামে নির্লজ্জ প্রহসন সংঘটিত হয়েছে। পুলিশের উপস্থিতিতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ওপর হামলা ও মাত্র ১১ ভাগ ভোটারের উপস্থিতি প্রমাণ করে দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। এ ধরনের নির্বাচনের প্রতি জনগণেরও আস্থা নেই। নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কারসহ নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন ছাড়া নির্বাচনের প্রতি জনগণের আস্থা অর্জিত হবে না।
তারা আরও বলেন, এদিকে নির্বাচন কমিশন নিবন্ধনের নামে আরেক প্রহসন সংঘটিত করে যাচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে এই নির্বাচন কমিশন তার ভূমিকার মাধ্যমে প্রতিমুহূর্তে জনগণের আস্থা হারাচ্ছে।
সভায় বলা হয়, শুধু ক্ষমতার মসনদে থাকা ও ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য শাসক গোষ্ঠী ’৭১ এর ঘাতক সাম্প্রদায়িক অপশক্তি এবং সাম্রাজ্যবাদী ও আধিপত্যবাদী শক্তিকে যে অপতৎপরতার সুযোগ দিচ্ছে তা মেনে নেওয়া যায় না। দেশের জনগণের শক্তির ওপর দাঁড়িয়েই গণআন্দোলন গণসংগ্রাম গড়ে তুলে বর্তমান সরকারের ফ্যাসিবাদি প্রবণতা রুখতে হবে, দুঃশাসন হঠাতে হবে।
সভায় নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কারসহ নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন, সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থায় জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং স্থানীয় সরকারকে ক্ষমতায়ন ও কার্যকরী করা, নিত্যপণ্যের দাম কমানো, রেশন ব্যবস্থা ও ন্যায্যমূল্যের দোকান চালু, জাতীয় ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ, দুর্নীতি, লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা বিলের নামে শ্রমিকের ধর্মঘটের অধিকার রুখে দাঁড়ানো, বিভিন্ন দাবিতে আগামী ২০-৩০ জুলাই পর্যন্ত সব জেলা-উপজেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানানো হয়।
মন্তব্য করুন