রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২
লন্ডন প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৩৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘বাংলাদেশের জন্য তারেক রহমানের ভিশনারি নেতৃত্বের বিকল্প নেই’

বাংলা সোসাইটি আয়োজিত অনুষ্ঠান। ছবি : সংগৃহীত
বাংলা সোসাইটি আয়োজিত অনুষ্ঠান। ছবি : সংগৃহীত

লন্ডনের বিশ্বখ্যাত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ওপর নিউইয়র্ক থেকে তার রাজনৈতিক চিন্তা ও নীতিকৌশল নিয়ে প্রকাশিত ‘Tarique Rahman : Politics and Policies Contemporary Bangladesh’ গ্রন্থের ওপর আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ‘ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশকে গণতন্ত্রের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছতে তারেক রহমানের ভিশনারি নেতৃত্বের বিকল্প নেই।’

স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির এক্সিটার কলেজ অডিটোরিয়ামে অক্সফোর্ড বাংলা সোসাইটি আয়োজিত অনুষ্ঠানে অক্সফোর্ড ছাড়াও ব্রিটেনের অন্য ইউনিভার্সিটিকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাও অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ‘বইটিতে বাংলাদেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে তারেক রহমানের চিন্তা এবং পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়েছে।’

বইয়ের ওপর আলোচনা সভায় অংশ নেন, সাবেক ব্রিটিশ কূটনীতিক স্যার পিটার হিপ, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ব্যক্তিত্ব ড. শহিদুল আলম এবং সাবেক এমপি জহির উদ্দিন স্বপন।

আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, মিডলসেক্স ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের শিক্ষক ডক্টর মানজিদা আহমেদ।

সভায় বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী ড. শহিদুল আলম বলেন, ‘তারেক রহমানের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে জনগণের অংশগ্রহণ ও জবাবদিহিতা—এই দুটি বিষয়কে তিনি বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছেন, যা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতন্ত্রের উত্তরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।’

ব্রিটিশ কূটনীতিক স্যার পিটার হিপ বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে হলে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ভারসাম্য ও কূটনৈতিক প্রজ্ঞা অত্যন্ত জরুরি।’

বাংলাদেশ এবং বিএনপির কর্মপরিকল্পনা এবং তারেক রহমানের নীতি এবং পলিসি নিয়ে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন এবং ডক্টর শহিদুল আলম।

মূল প্রবন্ধে ড. মানজিদা আহামেদ বলেন, ‘তারেক রহমানের সংস্কারমুখী নেতৃত্বই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আশা জাগানিয়া। তারেক রহমান দীর্ঘদিন নির্বাসিত অবস্থায় থেকেও দলের তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত আছেন এবং দেশের অর্থনীতি, টেকসই উন্নয়ন ও অগ্রগতির বিষয়ে অত্যন্ত সচেতন। তার লক্ষ্য বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর ও শক্তিশালী রাষ্ট্রে পরিণত করা।’

ড. মানজিদা বলেন, ‘তারেক রহমান প্রতিশোধের রাজনীতি পরিহার করে একটি ন্যায়ভিত্তিক ও সমতার সমাজ গড়তে চান—যেখানে থাকবে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক অধিকার। তারেক রহমান ইতোমধ্যেই দেশের পুনর্গঠনের জন্য ৩১ দফা সংস্কার পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছেন, যা একটি নতুন, গণতান্ত্রিক ও আধুনিক বাংলাদেশের রূপরেখা।’

সম্প্রতি ব্রিটেনের ফিনান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া তারেক রহমানের বক্তব্যের উদৃতি দিয়ে ডক্টর মানজিদা বলেন, ‘বাংলাদেশকে অ্যামাজন, ইবে প্রভৃতি বৈশ্বিক ই-কমার্স প্লাটফর্মের হাব হিসেবে গড়ে তোলাই তারেক রহমানের লক্ষ্য।’

ড. মানজিদা তার বক্তব্যে জোর দিয়ে বলেন, “তারেক রহমানের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিহিংসার রাজনীতি নয়, বরং ‘ন্যায়, স্বাধীনতা ও অগ্রগতি’ নির্ভর এক রেইনবো ন্যাশন গঠনের অঙ্গীকার।’

জহির উদ্দিন স্বপন বলেন, ‘তারেক রহমানের ৩১ দফা সংস্কার পরিকল্পনা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কাঠামোকে নতুন দিকনির্দেশনা।’

মিডলসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র লেকচারার ড. মানজিদা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রাজনৈতিক দর্শন ও দূরদৃষ্টি নিয়ে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, ‘তারেক রহমান দীর্ঘদিন নির্বাসিত অবস্থায় থেকেও দলের তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত আছেন এবং দেশের অর্থনীতি, টেকসই উন্নয়ন ও অগ্রগতির বিষয়ে অত্যন্ত সচেতন। তার লক্ষ্য বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর ও শক্তিশালী রাষ্ট্রে পরিণত করা।’

ড. মানজিদা উল্লেখ করেন, তারেক রহমান প্রতিশোধের রাজনীতি পরিহার করে একটি ন্যায়ভিত্তিক ও সমতার সমাজ গড়তে চান—যেখানে থাকবে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক অধিকার। তারেক রহমান ইতোমধ্যেই দেশের পুনর্গঠনের জন্য ৩১ দফা সংস্কার পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছেন, যা একটি নতুন, গণতান্ত্রিক ও আধুনিক বাংলাদেশের রূপরেখা।

তিনি আরও বলেন, ‘সাম্প্রতিক ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তারেক রহমান উল্লেখ করেছেন যে, ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে অ্যামাজন, ইবে প্রভৃতি বৈশ্বিক বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলাই তার লক্ষ্য। তারেক রহমানের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিহিংসার রাজনীতি নয়, বরং ন্যায়, স্বাধীনতা ও অগ্রগতিনির্ভর এক রঙধনু জাতি গঠনের অঙ্গীকার।’

অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে পরিচালনা করেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অক্সফোর্ড বাংলা সোসাইটির সভাপতি আহমেদ মুহতাদি ও সাইমুর মুজিব রহমান। বইটি লিখেছেন আমেরিকা প্রবাসী দি উইকলি রানার সম্পাদক মোহাম্মদ জয়নাল আবেদিন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভুটান সরকারের ‘পাখিবাড়ি’

চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের হাতে না দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ

আ.লীগ নেতার কবর জিয়ারত করলেন জামায়াতের এমপি প্রার্থী

দুর্ঘটনার কয়েক মাস আগে থেকেই ‘শাহাদাতের’দোয়া পড়ছিলেন জুনায়েদ জামশেদ

বিএনপি নেতাকে দেওয়া মালায় ১০ লাখ টাকার চেক

নতুন ঘূর্ণিঝড় নিয়ে সতর্কবার্তা জারি, আঘাত হানতে পারে যেসব স্থানে

সিএনজি চালকদের জরুরি নির্দেশনা দিলেন এসএমপি কমিশনার

যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম নিয়ে চট্টগ্রামে ভিড়ল জাহাজ

মুফতি অপহরণ  / আগেই কোনো পক্ষকে দায়ী না করার আহ্বান জিএমপির

বিশেষ একটি প্রতীকে ভোট দিলে জান্নাত যাওয়া যাবে কোথায় আছে : মুরাদ

১০

নিরপেক্ষতা হারানো উপদেষ্টাদের অবিলম্বে সরাতে হবে : আমীর খসরু 

১১

সুবিধাবাদী মহল ইসলামকে নিজেদের মতো উপস্থাপন করতে চাইছে : জমিয়ত

১২

প্রাথমিকে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ ও ধর্মীয় মূল্যবোধ পরিপন্থি সব সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি

১৩

৩১ দফার ভিত্তিতে আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে উঠবে : ড. এনামুল হক 

১৪

‘নো ওয়েজ বোর্ড নো মিডিয়া’ নীতি কার্যকরসহ ২১ দফা দাবি বিএফইউজের 

১৫

প্রভাতফেরী’র সদস্য মরহুমা হাসনেয়ারার স্মরণসভা

১৬

বিএনপিতে যোগ দিলেন ইসলামী আন্দোলনের দুই শতাধিক নেতাকর্মী

১৭

নির্বাচনের আগেই গণভোট হতে হবে : মামুনুল হক

১৮

চলনবিল থেকে বিশ্বমঞ্চে, রেজোয়ানের ভাসমান স্কুল পেল ইউনেস্কো পুরস্কার

১৯

আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধের হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের

২০
X