বাংলাদেশের আকাশে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে আগামী ৭ জুন (জিলহজ মাসের ১০ তারিখ) পবিত্র ঈদুল আজহা পালিত হবে। ঈদুল আজহা মূলত পশু কোরবানির ঈদ। তবে অনেকেরই প্রশ্ন থাকে কোরবানি ঈদের দিন সকাল থেকে কোরবানির পশু জবাই করা পর্যন্ত না খেয়ে থাকতে হয় কিনা।
এ বিষয়ে উত্তর দিয়েছেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ। বেসরকারি একটি টিভি চ্যানেলে দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, কোরবানি ঈদের দিন সকাল থেকে কোরবানির পশু জবাই করা পর্যন্ত না খেয়ে থাকতে হবে- কথাটি সঠিক নয়। শুধু যিনি কোরবানি দেবেন তার জন্য সুন্নাহ হলো ঈদের দিনে পশু জবাইয়ের পর কোরবানির গোশত দিয়ে দিনের খাওয়া শুরু করবেন।
তিনি আরও বলেন, এতে আনন্দ রয়েছে। রাসুল (সা.) এভাবে করেছেন বলে প্রমাণিত হয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো, তার এটা সম্ভব কিনা। মানে ওই ব্যক্তির সামর্থ্যের ওপর। আবার আমাদের রাসুল (সা.) সূর্য ওঠার ১৪ মিনিট পর ঈদের নামাজ পড়তেন। কিন্তু আমাদের এখানে পড়া হয় সকাল ৯টা বা ১০টায়। তাই কোরবানি দিয়ে খেতে খেতে দেরি হয়ে যায়। এতে আপনার কষ্ট হয়ে যেতে পারে। তবে সম্ভব হলে এটা অবশ্যই পালন করার চেষ্টা করা উচিত।
উল্লেখ্য, ঈদুল আজহা ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় দুটো ধর্মীয় উৎসবের দ্বিতীয়টি। চলতি কথনে এই উৎসবটি কোরবানির ঈদ নামেও পরিচিত। এই উৎসবকে ঈদুজ্জোহাও বলা হয়। ঈদুল আজহা মূলত আরবি বাক্যাংশ। এর অর্থ হলো ‘ত্যাগের উৎসব’। এই উৎসবের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হল ত্যাগ করা। এ দিনটিতে মুসলমানেরা ফযরের নামাযের পর ঈদগাহে গিয়ে দুই রাক্বাত ঈদুল আযহার নামাজ আদায় করে ও অব্যবহিত পরে স্ব-স্ব আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষ ও উট আল্লাহর নামে কোরবানি করে।
ইসলামি চান্দ্র পঞ্জিকায়, ঈদুল আজহা জিলহজের ১০ তারিখে পড়ে। আন্তর্জাতিক (গ্রেগরীয়) পঞ্জিকায় তারিখ প্রতি বছর ভিন্ন হয়, সাধারণত এক বছর থেকে আরেক বছর ১০ বা ১১ দিন করে কমতে থাকে। ঈদের তারিখ স্থানীয়ভাবে জিলহজ্ মাসের চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে।
মন্তব্য করুন