উত্তর কোরিয়া থেকে অস্ত্র নিয়ে চীনা বন্দরে রুশ জাহাজ
উত্তর কোরিয়া থেকে অস্ত্র নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিল একটি কার্গো জাহাজ। উদ্দেশ্য রাশিয়ার হাতে সেই অস্ত্র তুলে দেওয়া। সরাসরি মস্কোয় অস্ত্র পাঠালে পড়তে হতে পারে মার্কিন নিষেধাজ্ঞায়। তাই জাহাজটিকে নেওয়া হয় চীনের বন্দরে। পরিকল্পনা ছিল, সেখান থেকেই চালানটি পাঠানো হবে মস্কোয়। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বিশেষ এক প্রতিবেদনে ওঠে এসেছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য।  বলা হচ্ছে, যুদ্ধের প্রথম দিকে কিছুটা বেকায়দায় পড়লেও চীন ও উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র এবং গোলাবারুদে আবারও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে রুশ সেনারা। যুদ্ধের ময়দানে পুতিন বাহিনীর দাপটে একের পর এক ভূমি হারাচ্ছে ইউক্রেন। পশ্চিমাদের দাবি, পুতিন বাহিনীর এমন সাফল্যের পেছনে রয়েছে শি জিনপিং ও কিম জং উনের দেশের অস্ত্র সরবরাহ।  বার্তা সংস্থা রয়টার্সের হাতে আসা স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গেছে সেই দৃশ্য। ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে চীনের দেওয়া সমর্থন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ বাড়তে থাকার মধ্যেই সামনে এলো এই খবর।  ব্রিটেনের রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইনস্টিটিউট বলেছে, রুশ জাহাজ আঙ্গারা ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে রাশিয়ার বন্দরে হাজার হাজার কন্টেইনারে করে উত্তর কোরিয়ার গোলাবারুদ সরবরাহ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তথ্য বলছে, জাহাজটিকে গেল ফেব্রুয়ারি থেকে চীনের পূর্বাঞ্চলীয় ঝেজিয়াং প্রদেশের শিপইয়ার্ডে নোঙর করে থাকতে দেখা গেছে। চীনের বন্দরে এ জাহাজের উপস্থিতি যুক্তরাষ্ট্র এবং এর মিত্রদেশগুলোর জন্য চ্যালেঞ্জকেই সামনে নিয়ে এসেছে, যারা রাশিয়ার প্রতি সামরিক এবং অর্থনৈতিক সমর্থনের রাশ টেনে ধরার চেষ্টায় আছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক মুখপাত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, তারা বিশ্বাসযোগ্য সূত্র থেকে খবর পেয়েছে যে, আঙ্গারা নামের ওই জাহাজ চীনের একটি বন্দরে নোঙর করা আছে। বিষয়টি চীন কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরা হয়েছে। ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, জাতিসংঘের বিধি অনুযায়ী কোনো সদস্য রাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার সাথে বাণিজ্য করতে পারবে না। তাই, চীন ও রাশিয়ার প্রতি সংস্থাটির আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।  রয়টার্স জানায়, কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহের মাধ্যমে দেখা গেছে, রুশ জাহাজ আঙ্গারা চীনের ঝেজিয়াং প্রদেশের ঝুশান সিনিয়া শিপইয়ার্ডে নোঙর করে রয়েছে। জাহাজের ট্রান্সপন্ডার স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়ে যাওয়ায় এটিকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়।  জানা গেছে, ২০২২ সালের মাঝামাঝি রুশ জাহাজটির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ওয়াশিংটন। নিষেধাজ্ঞার পরও এটি অন্তত ১১ বার উত্তর কোরিয়ার রাজিন বন্দর থেকে রাশিয়ার বন্দরে প্রায় ১১ বার যাতায়াত করেছে।   
২৬ এপ্রিল, ২০২৪

গোপনে উত্তর কোরিয়া সফরে রুশ গোয়েন্দাপ্রধান
গোপনে উত্তর কোরিয়া সফর করেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রবিষয়ক গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান সের্গেই নারিশকিন। দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বাড়ানো  ও বৃহত্তর আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনার জন্য দেশটি সফর করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পররাষ্ট্রবিষয়ক গোয়েন্দাপ্রধান উত্তর কোরিয়া সফরে গিয়েছেন। সফরে মস্কো ও পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।  উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কেসিএনএ জানিয়েছে, রুশ পররাষ্ট্রবিষয়ক গোয়েন্দা সংস্থার (এসভিআর) প্রধান গত ২৫ থেকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত সময় উত্তর কোরিয়া সফর করেছেন। সফরে তিনি উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তাবিষয়কমন্ত্রী রি চ্যাং দায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।  সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, শত্রুপক্ষের ক্রমবর্ধমান গুপ্তচরবৃত্তি ও ষড়যন্ত্রমূলক পদক্ষেপ মোকাবিলায় দুই দেশের মধ্যে পারস্পারিক সহযোগিতা বাড়াতে কর্মকর্তারা আলোচনা করেছেন।  বৈশ্বিক নিষেধাজ্ঞার কবলে রয়েছে রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়া। ইউক্রেনে হামলার কারণে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। অন্যদিকে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার জন্য নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে উত্তর কোরিয়া।  এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে রাশিয়ার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন বৈঠক করেছিলেন। ওই সময়ে কিম ঘোষণা দেন যে রাশিয়ার সঙ্গে তাদের সম্পর্ক অগ্রাধিকার। তবে এ দুই নেতার বৈঠকের পর পিয়ংইয়ং মস্কোকে অস্ত্র সরবরাহ করা শুরু করেছে বলে অভিযোগ করে যুক্তরাষ্ট্র। 
২৮ মার্চ, ২০২৪

দাবি দক্ষিণ কোরিয়ার / উত্তর কোরিয়া থেকে হাজার হাজার কন্টেইনার অস্ত্র পেয়েছে রাশিয়া
তিন বছরে গড়িয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এরমধ্যে গুরুতর তথ্য জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। তাদের দাবি, যুদ্ধের মধ্যে উত্তর কোরিয়া থেকে হাজার হাজার কন্টেইনার অস্ত্র পেয়েছে রাশিয়া। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বরাতে জানিয়েছে, গত জুলাই থেকে উত্তর কোরিয়া রাশিয়াকে ছয় হাজার ৭০০ কন্টেইনারে করে লাখ লাখ অস্ত্র পাঠিয়েছে। পরস্পরের মধ্যে অস্ত্র বিনিময়ের আওতায় এসব সহায়তা দেওয়া হয়েছে।  সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিরক্ষামন্ত্রী শিন ওন শিক বলেন, এসব কন্টেইনারে করে ৩০ লাখের বেশি কামানের গোলাবারুদ আর ৫ লাখ রাউন্ড গুলি পাঠানো হয়েছে।  সংবাদমাধ্যম ইয়োনহাপ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাতে জানিয়েছে, তিনি বলছেন, এসব চালান দুই ধরনের অস্ত্রের সম্মিলিত হতে পারে। অন্তত কয়েক লাখ গোলাবারুদ দেশটিতে পাঠানো হয়েছে।  প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দাবি, বিদ্যুৎ ও কাঁচামালের ঘাটতির কারণে উত্তর কোরিয়ার শত শত যুদ্ধাস্ত্র তৈরির কারখানা নিজেদের সক্ষমতার মাত্র ৩০ শতাংশ উৎপাদক চালু রেখেছে। অন্যদিকে রাশিয়ার জন্য কামানের গোলা তৈরির কারখানাগুলো পুরোদমে চালু রাখা হয়েছে। যদিও মন্ত্রী এ তথ্যের উৎস সম্পর্কে কোনো বিস্তারিত জানায়নি।  সিউল ও ওয়াশিংটন এ দুই দেশের মধ্যে অস্ত্র ব্যবসার অভিযোগ করে আসছে। এছাড়া তারা ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়াকে অস্ত্র দেওয়ায় তার নিন্দা জানিয়েছে উত্তর কোরিয়ার নিন্দা জানিয়েছে। যদিও রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়া এ বিষয়টি অস্বীকার করেছে। তবে তাদের মধ্যে সামরিক সহযোগিতার অঙ্গীকার রয়েছে।  এর আগে গত শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। এরপর তারা বলেছে যে, গত সেপ্টেম্বর থেকে উত্তর কোরিয়া রাশিয়াকে ১০ হাজার কন্টেইনার অস্ত্র বা সামরিক রসদ সরবরাহ করেছে। বিনিময়ে উত্তর কোরিয়া রাশিয়া থেকে ৯ হাজর কন্টেইনার পণ্য পেয়েছে। এগুলোর বেশিরভাগই খাবার।   
২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেই চলেছে উত্তর কোরিয়া
দেশের পূর্ব উপকূলের জলরাশিতে বেশ কয়েকটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া। রোববার (২৮ জানুয়ারি) সকালে কিম জং উনের দেশ এসব ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে বলে দাবি করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ (জেসিএস)। এ নিয়ে মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে দ্বিতীয়বারের মতো সাগরে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল দেশটি। খবর বিবিসির। এক বিবৃতিতে দক্ষিণ কোরিয়ার জেসিএস জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রোববার সকাল ৮টায় সিনপো বন্দরের কাছে বেশ কয়েকটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে উত্তর কোরিয়া। তবে কতটি বা কী ধরনের ক্রজ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। এসব জানকে আমাদের সামরিক বাহিনী যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সমন্বয় করে কাজ করছে। এর আগে গত বুধবার (২৪ জানুয়ারি) পুলহওয়াসল-৩-৩১ নামে নতুন একটি কৌশলগত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে উত্তর কোরিয়া। উত্তর কোরিয়ার একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ আর হুমকি ঘিরে কোরীয় উপদ্বীপে প্রায় সব সময় উত্তেজনা বিরাজ করে। সম্প্রতি কিম জং উনের দেশ মহাকাশে সামরিক গোয়েন্দা স্যাটেলাইট পাঠালে এই উত্তেজনা আরও বাড়ে। উত্তর কোরিয়ার এসব কর্মকাণ্ড মোকিবিলায় যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের সঙ্গে সমন্বয় করে সামরিক তৎপরতা জোরদার করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। গত শুক্রবার উত্তরের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ জানায় জানিয়েছে, পানির তলদেশে হামলা করতে সক্ষম পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবস্থার পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের যৌথ নৌ মহড়ার প্রতিবাদে এই পরীক্ষা চালানো হয়েছে বলে দাবি পিয়ংইয়ংয়ের। এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি মাঝারি পাল্লার একটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল দেশটি। যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্রদের চাপে বিশ্ব থেকে প্রায় একঘরে হয়ে আছে উত্তর কোরিয়া। এমন পরিস্থিতিতে মস্কোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলছে পিয়ংইয়ং। উত্তরের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ জানিয়েছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী চো সন হুই রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের আমন্ত্রণে গত সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত রাশিয়া সফর করেছেন। এ সময় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন উত্তর কোরিয়া সফরের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। উত্তরের প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের আমন্ত্রণে শিগগিরই পিয়ংইয়ং সফর করবেন তিনি। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে মস্কো ও পিয়ংইয়ংয়ের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়। মার্কিন সরকারের দাবি, উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কিনেছে রাশিয়া। এসব ক্ষেপণাস্ত্র ৩০ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছে। কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হস্তান্তর ও পরীক্ষার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনটি রুশ প্রতিষ্ঠান এবং এক ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ওয়াশিংটন। তবে দুই দেশই নিজেদের মধ্যে কোনো ধরনের অস্ত্র চুক্তি করার কথা অস্বীকার করে আসছে।
২৮ জানুয়ারি, ২০২৪

শিগগিরই উত্তর কোরিয়া যাচ্ছেন পুতিন
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন উত্তর কোরিয়া সফরের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। উত্তরের প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের আমন্ত্রণে শিগগিরই পিয়ংইয়ং সফর করবেন তিনি। গত সপ্তাহে পুতিনের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চোয়ে সন হুই দেখা করলে এই আগ্রহের কথা প্রকাশ করেন রুশ প্রেসিডেন্ট। রোববার (২১ জানুয়ারি) উত্তরের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ-এর বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স। যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্রদের চাপে বিশ্ব থেকে প্রায় একঘরে হয়ে আছে উত্তর কোরিয়া। এমন পরিস্থিতিতে মস্কোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলছে পিয়ংইয়ং। উত্তরের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ জানিয়েছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী চো সন হুই রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের আমন্ত্রণে গত সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত রাশিয়া সফর করেছেন। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে মস্কো ও পিয়ংইয়ংয়ের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়। মার্কিন সরকারের দাবি, উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কিনেছে রাশিয়া। এসব ক্ষেপণাস্ত্র ৩০ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছে। কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হস্তান্তর ও পরীক্ষার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনটি রুশ প্রতিষ্ঠান এবং এক ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ওয়াশিংটন। তবে দুই দেশই নিজেদের মধ্যে কোনো ধরনের অস্ত্র চুক্তি করার কথা অস্বীকার করে আসছে। কেসিএনএ জানিয়েছে, সফরের আমন্ত্রণ জানানোয় উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন পুতিন। যদি পুতিন আসলেই উত্তর কোরিয়া সফর করেন তাহলে সেটি হবে দুই দশকের বেশি সময়ের মধ্যে তার প্রথম পিয়ংইয়ং সফর।
২১ জানুয়ারি, ২০২৪

পানির তলদেশে পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালাল উত্তর কোরিয়া
পানির তলদেশে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবস্থার পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের যৌথ নৌ মহড়ার প্রতিবাদে এই পরীক্ষা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে উত্তরের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ। খবর রয়টার্সের। শুক্রবার কেসিএনএ জানিয়েছে, দেশের পূর্ব উপকূলে পানির তলদেশে হামলা করতে সক্ষম পারমাণবিক অ্যাটাক ড্রোন হাইল-৫-২৩-এর পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। তবে ঠিক কত তারিখে এই পরীক্ষা চালানো হয়েছে তা জানানো হয়নি। উত্তরের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, সামরিক মহড়ার মাধ্যমে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান। এ জন্য তাদের ভয়াবহ পরিণত ভোগ করতে হবে। গত বুধবার পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলীয় জেজু দ্বীপে তিন দিনের নৌ মহড়া চালায় যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান। উত্তরের ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র হুমকির প্রতিক্রিয়ায় মহড়ায় তিন দেশের নৌবাহিনী ছাড়াও মার্কিন বিমানবাহী রণতরী কার্ল ভিনসন অংশগ্রহণ করে। কোরীয় ভাষায় হাইল অর্থ সুনামি। গত বছরের মার্চে পানির তলদেশে পারমাণবিক হামলা করতে সক্ষম এই অ্যাটাক ড্রোনের পরীক্ষার কথা জানিয়েছিল পিয়ংইয়ং। উত্তর কোরিয়ার দাবি, হাইল ‘তেজস্ক্রিয় সুনামি’ ঘটাতে সক্ষম। গুপ্ত হামলার মাধ্যমে শত্রুর যুদ্ধজাহাজ ও প্রধান বন্দর ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে এটি তৈরি করা হয়েছে। তবে উত্তরের সেনাবাহিনীর হাতে এমন পারমাণবিক অস্ত্র আদৌ আছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। উত্তর কোরিয়ার একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ আর হুমকি ঘিরে কোরীয় উপদ্বীপে বর্তমানে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে গত ১৪ জানুয়ারি মাঝারি পাল্লার একটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে পিয়ংইয়ং।
১৯ জানুয়ারি, ২০২৪

আবারও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল উত্তর কোরিয়া
উত্তর কোরিয়ার একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ আর হুমকি ঘিরে কোরীয় উপদ্বীপে প্রায় সব সময় উত্তেজনা বিরাজ করে। সম্প্রতি কিম জং উনের দেশ মহাকাশে সামরিক গোয়েন্দা স্যাটেলাইট পাঠালে এই উত্তেজনা আরও বাড়ে। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই নতুন করে মাঝারি পাল্লার আরেকটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে পিয়ংইয়ং। রোববার (১৪ জানুয়ারি) দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের বরাতে এমন তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, রোববার স্থানীয় সময় দুপুর ৩টার দিকে মাঝারি পাল্লার একটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে উত্তর কোরিয়া। ক্ষেপণাস্ত্রটি এক হাজার কিলোমিটার অতিক্রম করে দেশটির পূর্ব উপকূলে গিয়ে পড়ে। অন্যদিকে জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উত্তরের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রটি সর্বোচ্চ ৫০ কিলোমিটার ওপর দিয়ে উড়ে গিয়ে জাপানের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের বাইরে পড়েছিল বলে মনে হচ্ছে। জাতিসংঘের রেজুলেশন লঙ্ঘন করে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করায় পিয়ংইয়ংয়ের সমালোচনা করেছে দেশটি। যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্রদের চাপে বিশ্ব থেকে প্রায় একঘরে হয়ে আছে উত্তর কোরিয়া। এমন পরিস্থিতিতে মস্কোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলছে পিয়ংইয়ং। উত্তরের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ জানিয়েছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী চো সন হুই রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের আমন্ত্রণে সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত রাশিয়া সফর করবেন। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে মস্কো ও পিয়ংইয়ংয়ের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়। মার্কিন সরকারের দাবি, উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কিনেছে রাশিয়া। এসব ক্ষেপণাস্ত্র ৩০ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছে। গত বৃহস্পতিবার কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হস্তান্তর ও পরীক্ষার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে রুশ তিনটি প্রতিষ্ঠান এবং এক ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ওয়াশিংটন। তবে দুই দেশই নিজেদের মধ্যে কোনো ধরনের অস্ত্র চুক্তি করার কথা অস্বীকার করে আসছে।
১৫ জানুয়ারি, ২০২৪

মহাকাশে আরও গোয়েন্দা স্যাটেলাইট পাঠাবে উত্তর কোরিয়া
যুক্তরাষ্ট্রের গৃহীত পদক্ষেপের কারণে কোরিয়া উপদ্বীপে যুদ্ধ অনিবার্য হয়ে উঠছে। এ কারণে আরও তিনটি গোয়েন্দা স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠানোর পাশাপাশি ২০২৪ সালে সামরিক ড্রোন নির্মাণ ও পারমাণবিক অস্ত্রের পরিমাণ বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে উত্তর কোরিয়া। শনিবার পাঁচ দিনব্যাপী ক্ষমতাসীন দলের সম্মেলনের সমাপনী দিনের বক্তব্যে এসব কথা বলেছেন উত্তরের প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। খবর রয়টার্সের। পুরাতন বছরকে বিদায় জানাতে উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির অষ্টম কেন্দ্রীয় কমিটির নবম পূর্ণাঙ্গ সভা গত মঙ্গলবার শুরু হয়। ক্ষমতাসীন দল ও সরকারি কর্মকর্তাদের পাঁচ দিনব্যাপী এই সমাবেশ থেকে দেশের মূল নীতিমালা ঘোষণা করা হয়। যদিও আগে নববর্ষের দিনে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থায় কিমের বক্তব্য প্রকাশ করা হতো। কিম জং উন বলেন, আমাদের ওপর হামলার জন্য শত্রুদের বেপরোয়া পদক্ষেপের কারণে কোরীয় উপদ্বীপে যে কোনো সময় যুদ্ধ শুরু হতে পারে। দক্ষিণ কোরিয়ার সমগ্র ভূখণ্ডকে শান্ত করে দিতে সামরিক বাহিনীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেন তিনি। এমনকি হামলার জবাবে পারমাণবিক বোমাসহ প্রস্তুতি নিয়ে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। কিম বলেন, যদি আমরা শত্রু বাহিনীর আক্রমণাত্মক সামরিক কর্মকাণ্ডের দিকে ঘনিষ্ঠভাবে নজর দিই তাহলে দেখতে পাব যুদ্ধ শব্দটা একটি বাস্তবতায় পরিণত হয়েছে। এটা আর কোনো বিমূর্ত ধারণা নয়। তিনি আরও বলেন, পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী অন্যান্য দেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার ছাড়া তাদের আর কোনো বিকল্প নেই। চীন ও রাশিয়া—দুই দেশের সঙ্গেই উত্তর কোরিয়ার বেশ ভালো সম্পর্ক রয়েছে। বিদায়ী ২০২৩ সালে মহাকাশে প্রথমবারের মতো সফলভাবে গোয়েন্দা স্যাটেলাইট পাঠানোর দাবি করেছে উত্তর কোরিয়া। এই বছরই কঠিন জ্বালানি চালিত আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে দেশটি। নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের যে কোনো জায়গায় পারমাণবিক হামলা চালাতে পারবে কিম জং উনের দেশ।
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩

ঢাকায় দূতাবাস বন্ধ করে দিল উত্তর কোরিয়া
বাংলাদেশে দূতাবাস বন্ধ করে দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। এখন থেকে দিল্লিতে অবস্থিত দূতাবাস দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো দেখভাল করবে। গতকাল রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানানো হয়। জানা যায়, চলতি মাসের শুরুতে এ অঞ্চলের বাংলাদেশ-নেপালসহ বিশ্বের অন্তত এক ডজন দেশে দূতাবাস বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় উত্তর কোরিয়া। বাংলাদেশে ১৯৭৪ সাল থেকে উত্তর কোরিয়ার দূতাবাস ছিল। দেশটির রাষ্ট্রদূত পার্ক সুং ইয়ুপ গত সপ্তাহে ঢাকা ছাড়েন। উল্লেখ্য, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে বহুপক্ষীয় ইস্যু ছাড়া খুব বেশি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নেই বাংলাদেশের। তাই দেশটিতেও বাংলাদেশের কোনো দূতাবাসও নেই। চীনে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক দেখভাল করা হয়।
২৭ নভেম্বর, ২০২৩

অবশেষে সেই মার্কিন সেনাকে মুক্তি দিল উত্তর কোরিয়া
গত জুলাই মাসে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে উত্তর কোরিয়ায় অনুপ্রবেশ করে আটক হয়েছিলেন মার্কিন সেনা ট্র্যাভিস কিং। নানা নাটকীয়তার পর অবশেষে আজ বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুই মাসের মাথায় তাকে মুক্তি দিয়েছে কিম জং উনের দেশ। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের হেফাজতে আছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ট্র্যাভিস কিংকে চীনে যুক্তরাষ্ট্রের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তবে তার শারীরিক অবস্থা এবং উত্তর কোরিয়ার কারাগারে তিনি কেমন ছিলেন, তা এখনো জানা যায়নি। এর আগে আজ দিনের শুরুতে হঠাৎ করে ট্র্যাভিস কিংকে ছেড়ে দেওয়ার কথা জানায় পিয়ংইয়ং। বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) উত্তর কোরিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা কেসিএনএ জানিয়েছে, ট্র্যাভিস কিংয়ের জিজ্ঞাসাবাদ সম্পন্ন করেছেন উত্তরের কর্মকর্তারা। তিনি অবৈধভাবে উত্তরে প্রবেশের কথা স্বীকার করেছেন। অনুপ্রবেশের কারণ হিসেবে ট্র্যাভিস কিং বলেছেন, মার্কিন সেনাবাহিনীতে অমানবিক আচরণ ও জাতিগত বৈষষ্যের শিকার হয়ে তিনি উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশ করেন। উত্তরের কর্মকর্তাদের তদন্ত শেষ হওয়ায় দেশের আইন অনুযায়ী, তাকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। এর আগে গত জুলাই মাসে দুই কোরিয়ার মধ্যবর্তী একটি গ্রাম পরিদর্শনে গিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে উত্তর কোরিয়ায় অনুপ্রবেশ করেন ট্র্যাভিস কিং। এরপর থেকে তিনি উত্তরের কারাগারে বন্দি ছিলেন। এ ঘটনার পর উত্তর কোরিয়া নিয়ে নতুন করে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে ওয়াশিংটন। এমনকি এ ঘটনার জেরে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন করে সংকট সৃষ্টি হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন বিশ্লেষকরা।
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
X