কথা রাখেনি ন্যাটো
বিশ্বের বৃহত্তম সামরিক জোট ন্যাটো। সোভিয়েত ইউনিয়ন বা সমাজতন্ত্র মোকাবিলার অজুহাতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এ জোট। এর প্রতিক্রিয়ায় ১৯৫৫ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয় পাল্টা সামরিক জোট ‘ওয়ারশ প্যাক্ট’। ১৯৯০ সালের মধ্যে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনে এ জোটও লুপ্ত হয়। সে সময় বিদায়ী সোভিয়েত নেতাদের সঙ্গে মার্কিন নেতাদের এ রকম বোঝাপড়া হয় যে, ন্যাটো আর সম্প্রসারিত হবে না। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র তথা ন্যাটো সে কথা রাখেনি। এ জোটের সম্প্রসারণ ঘটতে থাকে। ওয়ারশ জোটে যুক্ত সবকটি দেশই এখন ন্যাটোতে। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অনেক প্রজাতন্ত্রও এখন ন্যাটোর সদস্য। মানচিত্র দেখলে দেখা যাবে, ইউক্রেন আর বেলারুশ ছাড়া রাশিয়া সীমান্তের প্রায় সবকটি দেশই ন্যাটোতে যোগদান করেছে। রাশিয়া ন্যাটো দ্বারা ঘেরাও হয়ে পড়ার পথে। এ নিয়ে ২০০৭ সালে মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে ভ্লাদিমির পুতিন পশ্চিমা বিশ্বের নেতাদের প্রশ্ন ছুড়ে বলেছিলেন, ‘আমাদের দেশের সীমান্তে সামরিক অবকাঠামো বাড়ানো কেন প্রয়োজন? কেউ কি এ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন?’ রাশিয়ার পূর্ব সীমান্তে ইউক্রেন অথবা অন্য কোনো দেশে সামরিক সম্প্রসারণ বন্ধের দাবি জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোকে চুক্তির খসড়া পাঠায় মস্কো। এতে বলা হয়, ন্যাটো ইউক্রেন, পূর্ব ইউরোপ, দক্ষিণ ককেশাস ও মধ্য এশিয়ার কোনো দেশে সামরিক কর্মকাণ্ড চালাতে পারবে না। তবে পশ্চিমা নেতারা রাশিয়ার এসব প্রস্তাবে কর্ণপাত করেননি। ন্যাটোতে যোগ দেওয়া নিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি মস্কোর হুঁশিয়ারি পাত্তাই দিচ্ছিলেন না। শেষ পর্যন্ত মস্কোর ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায়। আর তারই পরিণতি ইউক্রেনে রুশ হামলা। পরে জেলেনস্কি সুর নরম করলেও হয়তো পিছু হটার সুযোগ ছিল না পুতিনের।
২১ মার্চ, ২০২৪

পোল্যান্ডে জড়ো হচ্ছে হাজার হাজার ন্যাটো সেনা
ইউক্রেনে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সেনা পাঠানো নিয়ে রীতিমতো বিশ্বে একটি পরমাণু যুদ্ধের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এ নিয়ে পশ্চিমাদের সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের চলছে বাগ্‌যুদ্ধ। এমন অবস্থায় পুতিনের হুমকিকে উপেক্ষা করে হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করছে ন্যাটো। তবে সেটা সরাসরি ইউক্রেনে না হলেও পাঠানো হচ্ছে প্রতিবেশী পোল্যান্ডে। শত শত ট্যাংক আর যুদ্ধযান নিয়ে পোল্যান্ডের পথে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটটির ২০ হাজারের বেশি সেনা। যুদ্ধের এমন কোনো সরঞ্জাম নেই যা তাদের এই বহরে দেখা যায়নি। অত্যাধুনিক ট্যাংক থেকে শুরু করে জলযান, ক্ষেপণাস্ত্র সবই আছে এই বহরে। যার একটি ফিল্মি দৃশ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দেখা যায় কতটা সুসজ্জিত হয়ে তারা মাঠে নেমেছে। অবশ্য ন্যাটো বলছে, রাশিয়াকে কোনো হুমকি বা ভয় দেখাতে নয়, নিয়মিত মহড়ার অংশ হিসেবে ৯ দেশের ২০ হাজার সেনা পোল্যান্ডে হাজির হচ্ছে। তবে প্রশ্ন হচ্ছে, ইউক্রেনে ন্যাটো সেনা মোতায়েন নিয়ে যখন যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা চলছে তখন কেন এই মহড়ার আয়োজন। রাশিয়ার নাকের ডগায় এমন মহড়া নিয়ে এখনো অবশ্য মুখ খোলেননি পুতিন। তবে সমরবিদরা বলছেন, পুতিন কথার চেয়ে কাজে বিশ্বাসী। এক ন্যাটোতে যোগ দেওয়াকে কেন্দ্র করে ইউক্রেনের যে হাল বানিয়েছে তাতে ছেড়ে কথা বলবেন না এটা অনুমান করাই যায়। সম্প্রতি ইউক্রেনে সেনা মোতায়েন ইস্যুতে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমান্যুয়েল মাখোঁর মন্তব্য ঘিরে চটে যান পুতিন। ইতিমধ্যে পশ্চিমাদের সঙ্গে রাশিয়ার শীতল সম্পর্ক আরও ভারী হয়ে ওঠে। ইউক্রেনে ন্যাটো সেনা পাঠালে পারমাণবিক যুদ্ধ বাধতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে বসেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পুতিনের এমন ঘোষণার ঠিক একদিন পরই, মস্কো থেকে চালানো হয় ইয়ার্স পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, পরীক্ষার সময় ক্ষেপণাস্ত্রটি ৬ হাজার ৭০০ কিলোমিটারের বেশি দূরের কামচাটকা উপদ্বীপের লক্ষ্যবস্তুতে সফলভাবে আঘাতে হানে।
০৫ মার্চ, ২০২৪

রাশিয়ার ভয়ে পিছু হটল ন্যাটো
ইউক্রেনে যুদ্ধ করতে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর ইউরোপীয় সেনা পাঠানোর দরজা খোলা রাখার বিষয়ে বলেছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ। জবাবে রাশিয়া বিন্দুমাত্র বিলম্ব না করে জানিয়ে দেয় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন এই সামরিক জোটের কোনো ইউরোপীয় সদস্য ইউক্রেনে সেনা পাঠালে জোটটির সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধ অনিবার্য হয়ে উঠবে। রাশিয়ার এমন কড়া প্রতিক্রিয়ার পর ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর কোনো পরিকল্পনা নেই বলে অবস্থান পরিষ্কার করেছে ন্যাটো। খবর আলজাজিরার। সোমবার ইউরোপীয় নেতাদের এক বৈঠকে মাখোঁ বলেন, রাশিয়াকে দমনে কৌশল খুঁজছে পশ্চিমারা। এ জন্য কোনো সম্ভাবনা বাদ দেওয়া উচিত নয়। রাশিয়া যাতে জিততে না পারে সে জন্য যা করা দরকার আমরা তাই করব। তিনি বলেন, (ইউক্রেনে) সেনা পাঠানোর বিষয়ে আজ কোনো ঐকমত্য হয়নি। তবে কোনো কিছুই উড়িয়ে দেওয়া যায় না। মাখোঁর এ বক্তব্যের বিষয়ে ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মঙ্গলবার তিনি বলেন, ইউক্রেনের মাটিতে ন্যাটোর সেনা পাঠানোর পরিকল্পনা নেই। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া হামলা চালালে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়। দুই বছর গড়িয়ে তিন বছরে পা দিলেও এখনো এই যুদ্ধ শেষের কোনো দৃশ্যমান লক্ষণ নেই। এ যুদ্ধ ঘিরে ১৯৬২ সালের কিউবা ক্ষেপণাস্ত্র সংকটের পর পশ্চিমাদের সঙ্গে সবচেয়ে ভয়াবহ টানাপড়েনে জড়িয়েছে রাশিয়া। এমনকি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ন্যাটো ও রাশিয়ার মধ্যে সরাসরি যুদ্ধের ঝুঁকি সম্পর্কে বেশ কয়েকবার সতর্ক করেছেন। মাখোঁর বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে মঙ্গলবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ইউক্রেনে কিছু (সেনা) দল পাঠানোর সম্ভাবনা নিয়ে ন্যাটোর সদস্যদের আলোচনার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ নতুন উপাদান। সে ক্ষেত্রে আমাদের ন্যাটোর সঙ্গে (সরাসরি যুদ্ধের) সম্ভাবনা নয় অনিবার্যতা সম্পর্কে কথা বলতে হবে।
২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ন্যাটো আগুন নিয়ে খেলছে : মেদভেদেভ
সামরিক জোট ন্যাটোর কোনো সদস্য দেশে রাশিয়া হামলা করবে না, এটা পশ্চিমাদের কাছে দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। এরপরও রাশিয়াকে দমনের নামে তারা ইউরোপে সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়ার আয়োজন করেছে। এমন পরিস্থিতিতে ৩১ দেশের জোট ন্যাটো আগুন নিয়ে খেলা করছে বলে মন্তব্য করেছেন শক্তিশালী রুশ নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান দিমিত্রি মেদভেদেভ। খবর তাসের। সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে মেদভেদেভ বলেন, এই সামরিক জোটের কোনো সদস্য দেশে হামলার পরিকল্পনা আমাদের নেই। এটি পশ্চিমের সব দায়িত্বশীল মানুষের কাছে পরিষ্কার। তবে তারা যদি উসকানি দেয় এবং আমাদের দেশের অখণ্ডতা লঙ্ঘনের চেষ্টা করে তাহলে অবিলম্বে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে। এর একটাই অর্থ—এমন এক বড় যুদ্ধ যা ন্যাটো দমাতে পারবে না। চলতি বছর ন্যাটো প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছর উদযাপন হবে। এ উপলক্ষে ৯০ হাজার সেনার বিশাল সামরিক মহড়ার আয়োজন করেছে সদস্য দেশগুলো। এবারের মহড়ার নাম স্টেডফাস্ট ডিফেন্ডার, ২০২৪। ফেব্রুয়ারি থেকে আগামী মে মাস পর্যন্ত এই মহড়া চলবে। জোটের ৩১ সদস্যের বাইরে সুইডেনও এই মহড়ায় অংশগ্রহণ করেছে। বলা হচ্ছে, জোটটি সর্বশেষ ১৯৮৮ সালে স্নায়ুযুদ্ধের সময় এমন মহড়া চালিয়েছিল। ওই মহড়ায় এক লাখ ২৫ হাজার সেনা অংশ নিয়েছিল। ন্যাটোর ককেশাস ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি জাভিয়ের কলোমিনা আর্মেনপ্রেস নিউজ এজেন্সির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, রাশিয়াকে দমন করাই তাদের এবারের মহড়ার লক্ষ্য। দেশটিকে হুমকি হিসেবে দেখে থাকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটটি।
০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ন্যাটো সীমান্তের পাশেই পুতিনের গোপন প্রাসাদ
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেই প্রকাশিত হলো রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। রুশবিরোধী সামরিক জোট ন্যাটোর নাকের ডগায় বিশাল এক গোপন প্রাসাদ তৈরি করেছেন তিনি। এর আগেও ২০২০ সালে মস্কো থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে ভলদাই হ্রদে পুতিনের একটি গোপন আস্তানার সন্ধান মেলে। তবে এবারের গোপন প্রাসাদটি ন্যাটোর সীমানা সংলগ্ন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এই প্রাসাদ ঘিরে তৈরি হয়েছে উদ্বেগ ও কৌতূহল। সম্প্রতি ডসিয়ার সেন্টার নামে এক ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে পুতিনের এ গোপন প্রাসাদের খবর বেরিয়ে আসে। রাশিয়ার স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল রিপাবলিক অব কারেলিয়ার লাডোগা ন্যাশনাল পার্কে এ গোপন বাড়ি তৈরি  করেছেন পুতিন, যা ন্যাটো রাষ্ট্র ফিনল্যান্ড সীমানা থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে। জানা যায়, প্রতিবছর অন্তত একবার ফিনল্যান্ড-রাশিয়া সীমান্তে অবস্থিত এই গোপন প্রাসাদে আসেন রুশ প্রেসিডেন্ট। পুতিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা জানান, প্রায় ১০ বছর আগে রুশ প্রেসিডেন্টের জন্য একটি গোপন বাসস্থান নির্মাণের আদেশ পেয়েছিলেন তারা। তারপরই ফিনল্যান্ড সীমান্তবর্তী এ গোপন প্রাসাদ নির্মাণ করা হয় বলে রুশ গণমাধ্যম দ্য মস্কো টাইমসের এক প্রতিবেদনে উঠে আসে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গোপন এ প্রাসাদের কাছেই রয়েছে একটি হোটেল। সেটির মালিকানা পুতিনের বন্ধু ইউরি কোভালচুকের। সেখানে অবস্থানকালীন রুশ প্রেসিডেন্টকে এ হোটেল থেকেই খাবার সরবরাহ করা হয় বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। জানা যায়, গোপন এ প্রাসাদে আত্মরক্ষার অত্যাধুনিক প্রযুক্তি থেকে শুরু করে বিলাসবহুল জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছুই আছে। ডসিয়ার সেন্টারের প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, পুতিনের এই প্রাসাদে মারজালাটি উপসাগরের তীরে গড়ে ওঠা এক ম্যানসন। যার ভেতরে ৩টি আধুনিক বাড়ি। পাশেই দুটি হেলিপ্যাড, কয়েকটি ইয়ট পিয়ারস, একটি ট্রাউট খামার ও একটি গরুর খামার রয়েছে। পুতিন যখন এখানে আসেন তখন স্থানীয় নিরাপত্তাকর্মীর বদলে নিরাপত্তার দায়িত্বে নেন ফেডারেল গার্ড সার্ভিস তথা এফএসও। তখন এখানকার প্রবেশদ্বারগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। কাছের দ্বীপগুলোতে মানুষের যাতায়াত সীমিত করা হয়। এই প্রাসাদে ঢোকার পথ মাত্র দুটি—একটি নৌপথ, অন্যটি আকাশপথ। পুতিনের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতে সেখানে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও রয়েছে।
০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

৯০ হাজার সেনার বিশাল মহড়া করবে ন্যাটো
স্নায়ুযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় মহড়া শুরু করতে যাচ্ছে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো। জোটটি ৯০ হাজার সেনার বিশাল মহড়ার কথা জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  পশ্চিমা এ জোটের শীর্ষ কমান্ডার জেনারেল ক্রিস ক্যাভেলি জানান, ‘স্টেডফাস্ট ডিফেন্ডার ২০২৪’ নামের এ মহড়া আগামী সপ্তাহে শুরু হবে। মহড়াটি মে মাসজুড়ে পরিচালিত হবে।  ন্যাটো জানিয়েছে, মহড়ায় ৫০টির বেশি রণতরী এবং ৮০টির বেশি জঙ্গি বিমান, ড্রোন ও হেলিকপ্টার অংশ নেবে। এছাড়া মহড়ায় অন্তত ১১০০ যুদ্ধবিমান থাকবে। যার মধ্যে রয়েছে ১৩৩টি ট্যাংক ও পদাতিক বাহিনীর ৫৩৩টি যুদ্ধযান।  ক্যাভেলি জানান, আঞ্চলিক পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এ মহড়া চালানো হবে। রাশিয়া আক্রমণ করলে কীভাবে জবাব দেওয়া হবে তা নিয়ে ন্যাটোর এক দশকের পরিকল্পনা রয়েছে। প্রথমে সেই বিষয়েই মহড়া চালানো হবে।  মহড়ায় রাশিয়ার নাম নেয়নি ন্যাটো। তবে বাল্টিক রাষ্ট্রগুলোতে মে মাসজুড়ে মহড়া চালাবে এ জোট। ফলে রাশিয়ার নাম না নিলেও এ অঞ্চলে তাদের হামলার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি বলে মনে করা হয়। উত্তর আমেরিকা এবং জোটের অন্যান্য অংশ থেকে দ্রুত সেনাবাহিনী মোতায়েনে ন্যাটোর সক্ষমতা প্রদর্শনের জন্যই মহড়া চালাবে তারা।  জোটটি সবশেষ ১৯৮৮ সালে স্নায়ুযুদ্ধের সময় রিফরজার নামে এমন মহড়া চালিয়েছিল। এ মহড়ায় এক লাখ ২৫ হাজার সেনা অংশ নিয়েছিল। এ ছাড়া ২০১৮ সালের এক মহড়ায় ৫০ হাজার সেনা অংশ নিয়েছিল।   
১৯ জানুয়ারি, ২০২৪

ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে ন্যাটো থেকে বেরিয়ে আসবে যুক্তরাষ্ট্র : নিউইয়র্ক টাইমস
আগামী বছরে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে নির্বাচনে তিনি জয়ী হলে যুক্তরাষ্ট্রে ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, ট্রাম্প নির্বাচিত হলে যুক্তরাষ্ট্রকে ন্যাটো থেকে বের করে আনবেন তিনি। নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অসংখ্য কূটনীতিক এবং ন্যাটো সদস্য দেশগুলোর আশঙ্কা, ট্রাম্প নির্বাচিত হলে তিনি কেবল ইউক্রেনকে পরিত্যাগই করবেন না, বরং তিনি ইউরোপ মহাদেশ ও ন্যাটো থেকেও যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে আনবেন।  অবসরপ্রাপ্ত নৌ অ্যাডমিরাল জেমস স্ট্যাভরিডিস নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেন, ট্রাম্পকে নিয়ে ইউরোপে বড় আতঙ্ক রয়েছে। তিনি আবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে যুক্তরাষ্ট্রকে ন্যাটো থেকে বের করে আনবেন। এটি হলে তা মার্কিনিদের জন্য কৌশলগত এবং ঐতিহাসিক ব্যর্থতা হিসেবে চিহ্নিত হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।   ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জনপ্রিয়তায় ৪ শতাংশ এগিয়ে রয়েছেন। যেখানে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা রয়েছে ৪৭ শতাংশ আর বাইডেনের জনপ্রিয়তা ৪২ শতাংশ। মার্কিন ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সাবেক প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জরিপে এগিয়ে রয়েছেন।  জরিপে দেখা গেছে, এ দুই প্রার্থীর চেয়ে বাকিরা আরও অনেক পিছিয়ে রয়েছেন। এ জরিপে সবার চেয়ে এগিয়ে আছেন ট্রাম্প। অন্য প্রার্থীদের মধ্যে যেমন রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র ৩৭ থেকে ৩১ শতাংশের মধ্যে।  জরিপে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পররাষ্ট্রনীতির মধ্যে আলোচিত বিষয় হলো- মধ্যপ্রাচ্য নীতি ও ইউক্রেনকে সমর্থন। তবে বেশকিছু ক্ষেত্রে তার সমর্থন কমতে শুরু করেছে। যেখানে মাত্র ২৩ শতাংশ লোক বলছেন বাইডেনের নীতি তাদের সাহায্য করেছে। অন্যদিকে ৫৩ শতাংশ লোক বলছেন বাইডেনের নীতির কারণে তারা আহত হয়েছেন।  জরিপে অংশ নেওয়াদের মধ্যে প্রায় অর্ধেক বলছেন যে, ওভাল অফিসে থাকার সময় চার বছরে ট্রাম্পের নীতি তাদের অনেক সাহায্য করেছে। অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ক্ষেত্রে এই হার ৩৭ শতাংশ। যেখানে ট্রাম্পের হার ছিল ৬১ শতাংশ।   
১০ ডিসেম্বর, ২০২৩

লিথুয়ানিয়ায় সম্মেলন শুরু / ইউক্রেনকে ইতিবাচক বার্তা দিতে চায় ন্যাটো
পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গ বলেছেন, ন্যাটোর সদস্যপদ প্রাপ্তির বিষয়ে আমরা ইউক্রেনকে ইতিবাচক বার্তা দেব। সামরিক জোটের সদস্যরা শীর্ষ সম্মেলনে ন্যাটো থেকে ইউক্রেনের জন্য জোরালো ও ইতিবাচক বার্তা দেবে। গতকাল মঙ্গলবার লিথুয়ানিয়ার রাজধানী ভিলনিয়াসে দুই দিনব্যাপী ন্যাটো সম্মেলন শুরুর আগে তিনি এ কথা বলেন। এদিকে দীর্ঘ প্রতীক্ষা ও অনিশ্চয়তার পর অবশেষে বিশ্বের সর্ববৃহৎ সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগ দিতে যাচ্ছে সুইডেন। এক বছরেরও বেশি সময় আগে ন্যাটোর সদস্যপদ পেতে আবেদন করেছিল দেশটি। কিন্তু তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের আপত্তির কারণে সুইডেনের সদস্যপদ থমকে ছিল। এরদোয়ান আপত্তি তুলে নেওয়ায় এখন এ সদস্যপদ পেতে যাচ্ছে সুইডেন। খবর বিবিসি ও আলজাজিরা। ন্যাটো সম্মেলনকে ঘিরে রাশিয়ার প্রতিবেশী দেশ লিথুয়ানিয়ার রাজধানী ভিলনিয়াসে জড়ো হয়েছেন পশ্চিমা বিশ্বের নেতারা। বাল্টিক সাগরের পাশে অবস্থিত ছোট্ট এই দেশে সামরিক জোট ন্যাটোর বৈঠক আজ শেষ হবে। যত দ্রুত সম্ভব ইউক্রেনকে এই জোটের সদস্য করা বা না করার বিষয়টিই এবারের বৈঠকের মুখ্য বিষয় হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই বৈঠকে জোটের কোনো দেশ রুশ হামলার শিকার হলে কীভাবে তা মোকাবিলা করা হবে সে বিষয়ে নতুন প্রস্তাবিত একটি কৌশল নিয়েও কথা হবে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া বৈঠকের এজেন্ডায় রয়েছে, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের চারটি দেশের সঙ্গে ন্যাটোর সহযোগিতার আনুষ্ঠানিক একটি কাঠামো তৈরি করা। ভিলনিয়াসে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়োন সুক ইয়েল, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ এবং নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্রিসটোফার জন হিপকিন্সও উপস্থিত থাকবেন। জোটের সদস্য না হয়েও এই চারটি দেশ পরপর দ্বিতীয়বারের মতো ন্যাটো শীর্ষ বৈঠকে যোগ দিচ্ছে। এবারের ন্যাটো সম্মেলন ইউক্রেনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশটিতে রাশিয়ার আক্রমণের পর থেকেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তার দেশকে ন্যাটোতে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য পশ্চিমা দেশগুলোকে চাপ দিয়ে যাচ্ছেন। তবে রোববার সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এমনটা হবে না। তিনি বলেন, ইউক্রেনকে এখন ন্যাটোতে অন্তর্ভুক্ত করা মানে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ন্যাটোর যুদ্ধ শুরু হওয়া। এদিকে জেলেনস্কি বলেছেন, ইউক্রেনের সদস্যপদ প্রাপ্তির বিষয়ে ন্যাটোর সময়ক্ষেপণ খুবই অযৌক্তিক। গতকাল টুইটারে তিনি এ মন্তব্য করেন। ন্যাটোর সদস্য হচ্ছে সুইডেন : দীর্ঘ প্রতীক্ষা ও অনিশ্চয়তার পর অবশেষে বিশ্বের সর্ববৃহৎ সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগ দিতে যাচ্ছে সুইডেন। এক বছরেরও বেশি সময় আগে ন্যাটোর সদস্যপদ পেতে আবেদন করেছিল দেশটি। কিন্তু তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের আপত্তির কারণে সুইডেনের সদস্যপদ থমকে ছিল। তবে সোমবার (১০ জুলাই) ন্যাটো মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গ এক টুইট বার্তায় জানান, এরদোয়ান তার আপত্তি তুলে নিয়েছেন এবং জানিয়েছেন, সুইডেনের সদস্যপদকে সমর্থন জানাবেন তিনি। আর দেশটির সদস্যপদের চূড়ান্ত অনুমোদন দিতে এ-সংক্রান্ত আইন দ্রুততম সময়ের মধ্যে তুরস্কের সংসদে পাঠাবেন।
১২ জুলাই, ২০২৩
X