শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:৩০ পিএম
আপডেট : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:৫৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ন্যাটো সীমান্তের পাশেই পুতিনের গোপন প্রাসাদ

ন্যাটো রাষ্ট্র ফিনল্যান্ড সীমান্ত থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের গোপন সেই প্রাসাদ। ছবি : সংগৃহীত
ন্যাটো রাষ্ট্র ফিনল্যান্ড সীমান্ত থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের গোপন সেই প্রাসাদ। ছবি : সংগৃহীত

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেই প্রকাশিত হলো রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। রুশবিরোধী সামরিক জোট ন্যাটোর নাকের ডগায় বিশাল এক গোপন প্রাসাদ তৈরি করেছেন তিনি। এর আগেও ২০২০ সালে মস্কো থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে ভলদাই হ্রদে পুতিনের একটি গোপন আস্তানার সন্ধান মেলে। তবে এবারের গোপন প্রাসাদটি ন্যাটোর সীমানা সংলগ্ন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এই প্রাসাদ ঘিরে তৈরি হয়েছে উদ্বেগ ও কৌতূহল।

সম্প্রতি ডসিয়ার সেন্টার নামে এক ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে পুতিনের এ গোপন প্রাসাদের খবর বেরিয়ে আসে। রাশিয়ার স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল রিপাবলিক অব কারেলিয়ার লাডোগা ন্যাশনাল পার্কে এ গোপন বাড়ি তৈরি করেছেন পুতিন, যা ন্যাটো রাষ্ট্র ফিনল্যান্ড সীমানা থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে।

জানা যায়, প্রতিবছর অন্তত একবার ফিনল্যান্ড-রাশিয়া সীমান্তে অবস্থিত এই গোপন প্রাসাদে আসেন রুশ প্রেসিডেন্ট। পুতিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা জানান, প্রায় ১০ বছর আগে রুশ প্রেসিডেন্টের জন্য একটি গোপন বাসস্থান নির্মাণের আদেশ পেয়েছিলেন তারা। তারপরই ফিনল্যান্ড সীমান্তবর্তী এ গোপন প্রাসাদ নির্মাণ করা হয় বলে রুশ গণমাধ্যম দ্য মস্কো টাইমসের এক প্রতিবেদনে উঠে আসে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গোপন এ প্রাসাদের কাছেই রয়েছে একটি হোটেল। সেটির মালিকানা পুতিনের বন্ধু ইউরি কোভালচুকের। সেখানে অবস্থানকালীন রুশ প্রেসিডেন্টকে এ হোটেল থেকেই খাবার সরবরাহ করা হয় বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

জানা যায়, গোপন এ প্রাসাদে আত্মরক্ষার অত্যাধুনিক প্রযুক্তি থেকে শুরু করে বিলাসবহুল জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছুই আছে। ডসিয়ার সেন্টারের প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, পুতিনের এই প্রাসাদে মারজালাটি উপসাগরের তীরে গড়ে ওঠা এক ম্যানসন। যার ভেতরে ৩টি আধুনিক বাড়ি। পাশেই দুটি হেলিপ্যাড, কয়েকটি ইয়ট পিয়ারস, একটি ট্রাউট খামার ও একটি গরুর খামার রয়েছে।

পুতিন যখন এখানে আসেন তখন স্থানীয় নিরাপত্তাকর্মীর বদলে নিরাপত্তার দায়িত্বে নেন ফেডারেল গার্ড সার্ভিস তথা এফএসও। তখন এখানকার প্রবেশদ্বারগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। কাছের দ্বীপগুলোতে মানুষের যাতায়াত সীমিত করা হয়। এই প্রাসাদে ঢোকার পথ মাত্র দুটি—একটি নৌপথ, অন্যটি আকাশপথ। পুতিনের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতে সেখানে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও রয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আগামী সপ্তাহের মধ্যে ইউক্রেনকে শান্তি পরিকল্পনা মানতে হবে: ট্রাম্প

ভেড়ামারায় দুর্বৃত্তের গুলিতে গরু ব্যবসায়ী নিহত

রুয়েট প্রাক্তন ছাত্রদল অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি তুষার, সম্পাদক হাবীব

ভূমিকম্পে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে ৪১ জন আহত

ক্যারিয়ার শেষে কত উইকেট চান জানালেন তাইজুল

 ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করতে রাজউকের তাৎক্ষণিক পরিদর্শন

মেসিকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে যা বললেন ফ্লিক

গৌহাটি টেস্টের আগে ভারত শিবিরে দুঃসংবাদ

শনিবার বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়

এই প্রজন্মে অন্ধ আনুগত্য, ভাই পলিটিক্স চলবে না : শিবির সভাপতি

১০

নাটকীয় জয়ের পরও নিজের ভুলে হতবাক আকবর

১১

স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান : প্রধান উপদেষ্টা

১২

নিউমার্কেট এলাকায় শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ 

১৩

ভূমিকম্পে ছেলের পর এবার চিকিৎসাধীন বাবার মৃত্যু

১৪

তারেক রহমানের জন্মদিনে ৫ হাজার মানুষকে উপহার দিলেন যুবদল নেতা

১৫

জামায়াতের নাড়িপোতা পাকিস্তানে : মাহমুদ হাসান 

১৬

ঐক্যবদ্ধভাবে পরস্পরের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান গণসংহতির

১৭

তারেক রহমান : ইতিহাসের অগ্নিপথ পেরিয়ে জাতির প্রত্যাশার শিখরে

১৮

ডাকসু নেত্রী রাফিয়ার বাড়িতে আগুন, গ্রেপ্তার ৪ 

১৯

শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতি, সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ কর্মকর্তা

২০
X