ভাইকে বিদেশে পাঠিয়ে বাড়ি ফেরা হলো না বড় ভাইয়ের
ছোট ভাই আকাশ যাচ্ছেন মালয়েশিয়ায়। তাকে এগিয়ে দিতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গেলেন বড় ভাই ফিরোজ হোসেন ও মোহাম্মদ হোসেন। ছোট ভাইকে বিদেশে পাঠিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন তারা। কিন্তু বাড়ি ফেরা হলো না বড় ভাই মোহাম্মদ হোসেনের। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মোহাম্মদ হোসেনসহ পাঁচ যাত্রী নিহত হয়েছেন। নিহত মোহাম্মদ হোসেন কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাসিন্দা। শুক্রবার (১৭ মে) ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বসন্তপুর এলাকায় রিলাক্স পরিবহন নামের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এ সময় পাঁচজন নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে চারজনের অবস্থার অবনতি হলে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। নিহত অন্য চারজন হলেন- নোয়াখালী চাটখিল উপজেলার শাহাপুর গ্রামের নাছির উদ্দিন পলাশ ও নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী চট্টগ্রামের বাশখালীর বাহারছড়া গ্রামের বদরুল হাসান রিয়াদ। অপর দুজনের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। দুর্ঘটনায় আহতরা হলেন- কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার ফিরোজ, একই এলাকার মোক্তার হোসেন, ফজলুর রহমান, আরাফাত, আজান, নাাবিল হোসেন, কামরুন নাহার, স্বপন শিকদার, রফিকুল ইসলাম, আরজ হেসেন। নিহত মোহাম্মদ হোসেনের বড় ভাই ফিরোজ হোসেন বলেন, ছয় ভাই ও পাঁচ বোনের মধ্যে মোহাম্মদ হোসেন তৃতীয়। আমাদের সবার ছোট ভাই আকাশের মালয়েশিয়ার ফ্লাইট ছিল রাত সাড়ে ১২টায় ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। ভাইকে বিমানবন্দরে এগিয়ে দিয়ে আসার জন্য আমি ও আরেক ভাই মোহাম্মদ হোসেন সঙ্গে যাই। ভাইয়ের বিমান ছাড়ার পরে রাত ২টায় ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে বাড়িতে ফেরার জন্য দুই ভাই মিলে রিলাক্স পরিবহন বাসে রওনা করি। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বসন্তপুর এলাকায় পৌঁছালে ভোরে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এ সময় আমার ভাই হোসেনসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আমার ভাই আর বাড়িতে ফিরতে পারল না।  স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সকাল সোয়া ৬টায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা রিলাক্স পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস উপজেলার বসন্তপুর নামক এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। বাসের ভেতরে যাত্রীরা আটকে পড়ে। খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেলেও অপর দুজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। নর্থ সাউথ ইউনিভাসিটির শিক্ষার্থী রাঙ্গামাটির বাসিন্দা আরজ হোসেন সুমন বলেন, রাত সাড়ে ১২টায় বাসটি ছাড়ার কথা থাকলেও ২৮ জন যাত্রী নিয়ে রাত ২টায় ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে রওনা করে। শুক্রবার ফজরের নামাজের আগে কুমিল্লার পদুয়ার বাজার এলাকায় একটি হোটেলে যাত্রাবিরতি করে বাসটি। যাত্রাবিরতির আগে গাড়িটির বেপরোয়া গতি ছিল। বিরতি শেষে গাড়িটি আবারও বেপরোয়া গতিতে চলে। এ কারণে চৌদ্দগ্রামের বসন্তপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে। এ সময় বাসের অধিকাংশ যাত্রী ঘুমে ছিল। বেপরোয়া গতির কারণেই বাসটি দুর্ঘটনায় পড়েছে। অপর বাসযাত্রী চট্টগ্রামের আজান হোসেন বলেন, গাড়িটি উল্টে যাওয়ার পর আমিসহ আরও কয়েকজন মিলে গাড়িটির সামনের গ্লাস ভেঙে আহতদের উদ্ধারে চেষ্টা করি। আহতদের কয়েকজনকে টেনে বের করি। অপরদিকে নিহত অপরযাত্রী নোয়াখালী চাটখিল উপজেলার শাহাপুর গ্রামের নাছির উদ্দিন পলাশের ভগ্নিপতি আফতাব উদ্দিন তুহিন বলেন, নাসির উদ্দিন পাইপ ফিটিংসের কাজ করেন। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি বাসযোগে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের শ্বশুরবাড়িতে যাচ্ছিলেন। হাইওয়ে পুলিশের মাধ্যমে জানতে পারি তিনি চৌদ্দগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক গোলাম কিবরিযা টিপু বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ১৫ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চারজনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেছি। মিয়াবাজার হাইওয়ে থানার ওসি এস এম লোকমান হোসাইন বলেন, ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী রিলাক্স পরিবহনের বাসটি সকালে উপজেলার বসন্তপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে  খাদে পড়ে যায়। এ সময় পাঁচ যাত্রী নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত নিহত তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। দুর্ঘটনার পর বাসের চালক ও হেলপার পলাতক রয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। চৌদ্দগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের সাব ইনচার্জ বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, আমরা ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ এবং স্থানীয় জনগণের সহায়তা গাড়ির ভেতর থেকে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করি। আহতদের উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
১৭ মে, ২০২৪

বিচিত্র / ২৬ বছর পর নিখোঁজকে পাওয়া গেল পড়শির বাড়ি
আলজেরিয়ার গৃহযুদ্ধের সময় নিখোঁজ হন ওমর বি নামে এক ব্যক্তি। ১৯৯৮ সালে ঘটনার সময় তার বয়স ছিল ১৯ বছর। তখন তার পরিবার ভেবেছিল, হয় তাকে অপহরণ করা হয়েছে, না হয় হত্যা। ওই ঘটনার ২৬ বছর পর সম্প্রতি ডিজেলফা নগরীতে তাদের প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে বন্দি অবস্থায় ওমরকে উদ্ধার করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার এসব তথ্য জানিয়েছে দেশটির বিচার মন্ত্রণালয়। উত্তরাধিকার নিয়ে বিরোধের জেরে মূল অভিযুক্তের ভাই ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেন। এরপর ৪৫ বছর বয়সী ওমরকে তাদের বাড়ির ২০০ মিটার দূরে খড়ের গাদা থেকে উদ্ধার করা হয়। কর্মকর্তারা জানান, ৬১ বছর বয়সী এল গুইডিড নামে এক দারোয়ান এ ঘটনাটি ঘটিয়েছেন। পালানোর সময় তাকে আটক করা হয়েছে। আইন কর্মকর্তারা বলছেন, ঘটনাটির তদন্ত চলছে। ওমরের চিকিৎসা ও মানসিক পরিচর্যা চলছে। সূত্র: গালফনিউজ
১৭ মে, ২০২৪

স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে নাদিমের বাড়ি ৪৩ বছরের নারীর অনশন
কুড়িগ্রাম থেকে এসে ৪৩ বছর বয়সের এক নারী শরীয়তপুর পৌরসভার একটি গ্রামে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে ২২ বছরের তরুণের বাড়িতে অনশন শুরু করেছেন।  বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুর থেকে শরীয়তপুর পৌরসভার ৬নম্বর ওয়ার্ডের হুগলি গ্রামে স্বামী নাদিম সরদারের (জহির) বাড়িতে অবস্থান নেন তিনি। স্বামী নাদিম সরদার হুগলি গ্রামের বিল্লাল সরদারের ছেলে।  জানা যায়, ওই নারী কুড়িগ্রাম জেলার কবিরাজপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তাদের দুজনের ফেসবুকে পরিচয়। পরে গত এক বছর ধরে তাদের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। পরে চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি ঢাকার আজিমপুর এলাকায় এক কাজির মাধ্যমে তাদের বিয়ে হয় বলে দাবি করছেন ওই নারী। ওই নারী জানান, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে ২০২৪ সালের ১৮ জানুয়ারি তারা দুজনে বিয়ে করেছেন। বিয়ের পর থেকে স্ত্রীর স্বীকৃতি চাইলে বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করেন নাদিম। গত ঈদুল ফিতরের পরে নাদিমের বাড়িতে আসলে তাকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। আবার মোবাইলে কল দিলে রিসিভও করে না। সে সম্পর্ক অস্বীকার করছে। এই পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে নাদিমের বাড়িতে অনশন শুরু করেছেন।  এ ব্যাপারে নাদিম সরদার মুঠোফোনে বলেন, ওই নারীর সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। কিন্তু পরে জানতে পারি তার বয়স অনেক। তিনি আমার কাছে বয়স লুকিয়েছেন। তাই পারিবারিকভাবে তার সঙ্গে আমার ডিভোর্স হয়ে যায়। তিনি কী জন্য আমার বাড়িতে এসেছেন জানি না। তিনি আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। একই এলাকার বাসিন্দা হাসান মিয়া জানান, ওই নারী দুপুরের পর থেকে ওই বাড়ির উঠানে বসে আছে। আর গ্রামের লোকজন তাকে দেখতে ভিড় করছে। শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানার ওসি মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। দুজনেরই প্রাপ্ত বয়স। যদি অভিযোগ পাই, তাহলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 
১৬ মে, ২০২৪

মৃত বাড়ি গিয়ে খাবার খেয়ে অজ্ঞান, হাসপাতালে ৭
মৃত স্বজনকে দেখতে গিয়ে চেতনানাশক মেশানো খাবার খেয়ে ৭ জন অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।  মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে তাদের নোয়াখালী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।   এর আগে সোমবার (১৩ মে) রাতে লক্ষ্মীপুরের কমল নগরের চরবসু গ্রামের ইসমাইল মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ওই বাড়িতে দুই পরিবারের ৭ জনকে অচেতন করে সব মালামাল লুট করে নেয় দুর্বৃত্তরা। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৭ জন হলেন- নোয়াখালী সদর উপজেলার উত্তর শুল্লকিয়া গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে আসিব (২২), আবু জাকেরের স্ত্রী খাদিজা বেগম (৭০), চর কাউনিয়া গ্রামের চুন্নু মিয়ার ছেলে আমিন উল্লা (৬০), লক্ষ্মীপুরের কমল নগরের চরবসু গ্রামের ইসমাইলের ছেলে দিদার হোসেন (৩২), দিলালের মেয়ে পলি আক্তার (১৭), মোদাব্বের হোসেনের স্ত্রী শামছুর নাহার (২১) ও নাজিম উদ্দীনের স্ত্রী তানহা বেগম (২৫)। ভুক্তভোগী খাদিজার ছেলে আল আমিন বলেন, আমার মামার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আমরা সেখানে গিয়েছিলাম আত্মীয়ের জানাজা ও দাফন কাজ করার জন্য। দাফন শেষে সবাই রাতের খাবার খেয়ে ঘরে ঘুমাতে চলে যায়। এক ফাঁকে দুর্বৃত্তরা খাবারে চেতনানাশক মিশিয়ে দেয়। সেই খাবার খেয়েই সবাই অজ্ঞান হয়ে যায়। তখন দুর্বৃত্তরা বাড়ি থেকে স্বর্ণালংকার ও টাকা লুটে নিয়ে যায়। হাসপাতালে ভর্তি তানহা বেগম বলেন, সবাই জানাজা ও দাফন কাজে ব্যস্ত ছিল। আমরা ঘরে ছিলাম। এক অপরিচিত মহিলা মোবাইল চার্জ দিতে আসে। চার্জ দিয়ে তিনি চলে যান। তারপর আমরা যারা ভাত খেয়েছি সবাই অজ্ঞান হয়ে যাই। আমিও অজ্ঞান ছিলাম। এই সুযোগে তারা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ প্রায় পাঁচ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, দুই পরিবারের ৭ জন অসুস্থ হয়ে আমাদের হাসপাতালে ভর্তি আছে। আমরা চিকিৎসা সেবা দিচ্ছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাদের খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক মেশানো ছিল।
১৪ মে, ২০২৪

নানা বাড়িতে মিষ্টি দিয়ে বাড়ি ফেরা হলো না শিক্ষার্থীর
নানা বাড়িতে এসএসসি পাসের মিষ্টি  দিয়ে আর বাড়িতে ফেরা হলো না জান্নাতুজ্জামান চঞ্চলের (১৬)। ঘাতক ট্রাক কেড়ে নিল তার প্রাণ। সোমবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে গাংনী-কাথুলি সড়কের ভাটপাড়া ডিসি ইকোপার্কের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।  নিহত জান্নাতুজ্জামান চঞ্চল মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার চৌগাছা গ্রামের মোল্লাপাড়ার প্রবাসী রকিবুজ্জামানের ছেলে। সে সন্ধানী স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র। প্রত্যক্ষদর্শী এবং নিহতের বন্ধু আলিফ জানায়, ‘তারা ইজিবাইকে চড়ে নওপাড়া থেকে গাংনীতে আসছিল। হঠাৎ পেছন থেকে একটি দ্রুতগামী ট্রাক ইজিবাইকটিকে ধাক্কা দিলে রাস্তার ওপর ছিটকে পড়ে তারা। মুমূর্ষু অব্স্থায় চঞ্চলকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’ নিহতের বাবা রাকিবুজ্জামান বলেন, ‘আমার ছেলে এসএসসির ফলাফল পেয়েছে। তার ফলাফল ছিল জিপিএ-৪.৩৩। পাসের আনন্দ ভাগাভাগি করতে সে নানিবাড়ি ধলা গ্রামে মিষ্টি দিতে গিয়েছিল।’ গাংনী হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সুমাইয়া আক্তার কালবেলাকে বলেন, ‘হাসপাতালে আনার আগেই চঞ্চল মারা গেছে। মাথায় আঘাত এবং প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃতু হয়।’ গাংনী থানার ওসি মো. তাজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুর্ঘটনার পরপরই ঘাতক ট্রাকটি পালিয়ে যায়। তবে বর্তমানে ট্রাক ও তার চালককে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পরে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
১৩ মে, ২০২৪

স্কুলে বোমা হামলার হুমকি, বাড়ি পাঠানো হলো শিক্ষার্থীদের
স্কুলে বোমা হামলার হুমকি দিয়েছে অজ্ঞাতনামারা। এতে করে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। পরে স্কুলের সকল শিক্ষার্থীকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সোমবার (১৩ মে) এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের উত্তরপ্রদেশের লখনৌর গোমতী নগরে কয়েকটি স্কুলে ই-মেইলে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়। ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ। পরে শিক্ষার্থীদের ক্লাস থেকে বের করে আনা হয়। এরপর তাদের স্কুলফিল্ডে জড়ো করে অভিভাবকদের তাদের নিয়ে যাওয়ার জন্য বার্তা দেওয়া হয়।  স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ই-মেইলে এমন হুমকি পাওয়ার পর পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে। পুলিশ ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা স্কুলে পৌঁছেছেন। তারা অনুসন্ধান শুরু করেছেন।  এনডিটিভি জানিয়েছে, হুমকি পাওয়া বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রয়েছে ভিবগর হাই স্কুল, এলপিএস পিজিআই ব্র্যাঞ্চ এবং সেন্ট মেরি স্কুল। পুলিশ জানিয়েছে, স্কুলগুলোতে তল্লাশি চালিয়ে কোনো বিস্ফোরক দ্রব্য পাওয়া যায়নি। ই-মেইলের সূত্র খুঁজতে সাইবার সেল কাজ করছে।  এর আগে গত ১ মে সংবাদমাধ্যম জানায়, দিল্লির প্রায় ১০০ স্কুলে বোমা ও বিস্ফোরক পুঁতে রাখা হয়েছে বলে ই-মেইলে হুমকি দেওয়া হয়। এরপরই ঘটে তুলকালাম। এসব স্কুলের সব শিক্ষার্থীকে বাড়িতে ফেরত পাঠানো হয়। এছাড়া দ্রুতই এসব স্কুল প্রতিষ্ঠান খালি করা হয়। ওই সময় দিল্লি পুলিশ জানায়, হুমকির পর স্কুলগুলোতে তল্লাশি চালানো হয়েছে। তবে এতে কোনো কিছু পাওয়া যায়নি। দেশটির কর্মকর্তারা জানান, ১ মে সকালে প্রায় ১০০ স্কুলে এ মেইল পাঠানো হয়। মেইল পাঠানোর পর অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক ছাড়িয়ে পড়ে। এরপর স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয় এবং শিক্ষার্থীদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, এটি নিছক প্রতারণা।
১৩ মে, ২০২৪

পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করে বাড়ি ছাড়া রানার স্ত্রী
পুলিশ হেফাজতে মো. রানার মৃত্যুর অভিযোগে কয়েকদিন আগে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম ফরমান আলীসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন তার স্ত্রী সোনিয়া বেগম। মামলার পর থেকেই সোনিয়াকে নানাভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি নিরাপত্তাহীনতায় দুই ছোট সন্তান নিয়ে নিজ বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন সোনিয়া। তিনি কালবেলাকে বলেন, মামলা করার পর থেকে বিভিন্ন নম্বর থেকে কল আসছে। তারা আমার সঙ্গে দেখা করতে চায়। এসআই মিজান ও চঞ্চল ভয় দেখাচ্ছে। ভয়ে বাড়ি থাকি না। আজকে (গতকাল) আদালতেও যাইনি। দুই সন্তান নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। বাড়িঘর ছেড়ে এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছি। কিন্তু আমি মরে গেলেও স্বামী হত্যার বিচার থেকে পিছু হটব না। আমি বিচার চাই, নিজের নিরাপত্তা চাই। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে এসআই মো. মিজানুর রহমান বলেন, সবার চাকরির ভয় রয়েছে। আমি কেন তাকে ভয় দেখাব। আমি কাউকে হুমকি দিইনি। এসআই চঞ্চল কুমার বিশ্বাস বলেন, ভয়ভীতি দেখানোর কিছু তো হয়নি। গত ৮ মে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে ভুক্তভোগী রানার স্ত্রী সোনিয়া বাদী হয়ে এ মামলা করেন। এ মামলার অন্য আসামিরা হলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ফারহানা ইয়াসমিন, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার, ডেপুটি জেলার মো. মাহবুব, উপপরিদর্শক চঞ্চল কুমার বিশ্বাস, উপপরিদর্শক মো. মিজানুর রহমান, সহকারী উপপরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন, কনস্টেবল হাবিবুর, কনস্টেবল জোনাব আলী, কনস্টেবল মোবারক, পুলিশের সোর্স সবুজ ও শাহ আলম। বাদীপক্ষের আইনজীবী এহসান কবির বলেন, আদালতে মামলা করার পর থেকে সোনিয়া নানা হুমকি পাচ্ছেন। বিশেষ করে এসআই মিজানুর তার লোকজন দিয়ে মামলা তুলে নিতে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন। নিরাপত্তাহীনতার কারণে তিনি আদালতে আসতে পারেননি। ভয়ে থানায় জিডি করতেও যেতে পারছেন না। আমরা এ বিষয়টি আদালতের কাছে উপস্থাপন করব। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বলেন, যে কেউ আইনগত বিষয়ে আদালতে আসতে পারবেন। আদালত সবার জন্য সমান। তবে মামলা করার পর আসামিরা হুমকি, ভয় দেখাবে সেটা গ্রহণযোগ্য নয়। উল্লেখ্য, গত ১৭ মার্চ মো. রানাকে আসামি শাহ আলম ও সবুজ ফতুল্লার বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। ডিবি পরিচয়ে একটি গাড়িতে তুলে যাত্রাবাড়ী থানায় নিয়ে ব্যাপক শারীরিক নির্যাতন চালায়। আসামি সবুজ রানার স্ত্রী সোনিয়াকে ফোন দিয়ে জানায় ৫০ হাজার টাকা দিতে পারলে তার স্বামীকে মারা বন্ধ হবে। এরপর সোনিয়া ২০ হাজার টাকা সবুজের হাতে দেয়। তার পরও তার স্বামীকে তারা আটকে রাখে। ২০ মার্চ সকাল সাড়ে ৮টায় একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন দিয়ে সোনিয়াকে ঢাকা মেডিকেল মর্গে আসতে বলে। তিনি সেখানে গিয়ে তার স্বামীকে মৃত অবস্থায় শনাক্ত করেন।
১৩ মে, ২০২৪

আগুনে পুড়ল জেলা পরিষদ সদস্যের বাড়ি
নরসিংদীর শিবপুরে জেলা পরিষদ সদস্য আমান উল্লাহ ভুইয়ার বসতবাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার (৮ মে) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার যোশর ইউনিয়নের ভংগারটেক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিবপুর মডেল থানার ওসি মো. ফরিদ উদ্দিন। জেলা পরিষদ সদস্য আমান উল্লাহ ভুইয়া আমান বলেন, দৈর্ঘ্যে ৬০ ফুট ও প্রস্থে ২৫ ফুট গ্রামের ওই বাড়িতে আমরা কেউ নিয়মিত বসবাস করি না। বাড়িটিতে প্রায় ২৫ লাখ টাকার আসবাবপত্র ছিল। আগুনের ঘটনায় অবশিষ্ট আর কিছু নেই। সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। দুর্বৃত্তরা দাহ্য পদার্থ ছিটিয়ে বাড়িটির দুটি রুমে আগুন দিয়েছে। আগুনে পুড়ে সব মিলিয়ে আনুমানিক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। কী কারণে কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাৎক্ষণিক বলতে পারছি না। শিবপুর থানার ওসি ফরিদ উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০৮ মে, ২০২৪

বন্ধুর সঙ্গে গোসলে গিয়ে বাড়ি ফেরা হয়নি আলিফের
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় বন্ধুর সঙ্গে মেঘনা নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হওয়ার দুই দিন পর মো. আলিফ হোসেন নামে এক তরুণের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৭ মে) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের সিটি কোম্পানি সংলগ্ন ভবানিপুর খেয়া ঘাট মেঘনা নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। আলিফ হোসেন উপজেলার ভবেরচর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুরা এলাকায় বাসিন্দা প্রবাসী মো. ফয়সাল প্রধানের ছেলে এর আগে রবিবার (৫ মে) দুপুর ১টার দিকে বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে মেঘনা সেতু সংলগ্ন তেঁতুইতলা এলাকায় নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হয় আলিফ। জানা গেছে, রবিবার বন্ধুর সঙ্গে মেঘনা নদীতে গোসল করতে যায় আলিফ। সাঁতার না জানায় বাসা থেকে পরিবারের সদস্যরা বারবার বারণ করে। তারপরও গোসলে যান তিনি। মেঘনা সেতু সংলগ্ন তেঁতুইতলা এলাকায় নদীতে গোসলে নামে। পরে তীব্র স্রোতের কারণ পানিতে তলিয়ে গিয়ে নিখোঁজ হয়। খবর পেয়ে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করে। পরে দুপুরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা উদ্ধার কাজ শুরু করে। কিন্তু তখন তাকে পাওয়া যায়নি। গজারিয়া থানার ওসি রাজিব খাঁন কালবেলাকে বলেন, আলিফের মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা আমাদের খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করেছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষ হয়ে মরদেহটি স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
০৭ মে, ২০২৪

নাইক্ষ্যংছড়িতে অগ্নিকাণ্ডে দোকানসহ বাড়ি পুড়ে ছাই
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী বাজারে অগ্নিকাণ্ডে ৪টি দোকান ও ৪টি বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সোমবার (৬ মে) ভোর ৪টার দিকে বাইশারী বাজারের হাফেজ খানাসংলগ্ল আবদুস সালাম প্রকাশ কেরাম মাঝির মালিকানাধীন দোকানঘর ও ভাড়া বাসায় ঘটনাটি ঘটে। জানা যায়, দোকানগুলোর মধ্যে রয়েছে- কামাল হোসেনের এস্ক্রাপের দোকান, জাহাঙ্গীরের মুদি দোকানের রক্ষিত মালালালের গুদাম, রাবার ব্যবসায়ী আজম ও ইউছুপ নবী মজুদ করা রাবারের গুদাম, ওসমান ও জালাল আহাম্মদের কাপড়ের গাইড। এতে দোকানঘর ছাড়া ক্ষতির পরিমাণ ২০ লাখ টাকা হবে বলে প্রাথমিক পর্যায়ে ধারণা করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা। প্রত্যক্ষদর্শী ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম জানান, প্রথমে তার পাশের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত দেখি। ঘুমন্ত লোকজনকে সজাগ করে বাসা থেকে বের হয়ে বাইশারী বাজার জামে মসজিদের মাইকে আগুন লাগার ঘোষণা দেই। পরপরই শত শত লোক এসে আগুন নেভানোর প্রাণপণ চেষ্টা চালায়। তবে কীভাবে আগুন লাাগলো বিষয়টি কেউ জানে না বলে জানান তিনি। অনেকে মনে করছেন, মশার কয়েল থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল আসেন বাইশারী তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ শোভন সাহা ও সংগীয় ফোর্স। এ ছাড়াও ঘটনাস্থলে আসেন বাইশারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আলম কোম্পানি। তিনি বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে আবগত করছেন বলে জানান।   বাইশারী বাজার সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বাহাদুর বলেন, কীভাবে আগুল লাগল তা এখনও জানা যায়নি। তবে মালামাল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রচুর। আগুন নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে বিশাল বাজার রক্ষা করা যেত না। তিনি আরও বলেন, মালামালের ক্ষতি হলেও, ঘুমন্ত মানুষজন নিরাপদে বের হয়ে আসতে পারায় মহান আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকারিয়া বলেন, বিষয়টি জেলা প্রশাসক মহোদয়কে তিনি অবগত করেছেন। ঘটনাস্থলে পিআইওকে পাঠানো হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তের তালিকা তৈরি করে আর্থিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।
০৬ মে, ২০২৪
X