‘ভোট দেওয়ার চেয়ে মরিচ তোলাই ভালো’
উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা মধ্য চাড়োল সরকারি প্রাথমিক ভোটকেন্দ্রে সকাল থেকেই ভোটারের উপস্থিতি ছিল কম। অনেকটা উচ্ছ্বাসহীন পরিবেশে বুধবার (৮ মে) বিকেল ৪টায় শেষ হয় ভোটগ্রহণ।  সকাল থেকে মেঘলা আবহাওয়ার মতোই নির্বাচনের পরিবেশ ছিল থম ধরা। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বেশ কয়েকটি ভোটকেন্দ্র ঘুরেও ভোটারদের কোনো লাইন চোখে পড়েনি। ‘ভোটের পরিবেশ ভালো কিন্তু ভোটার উপস্থিতি কম। আগের মতো ভোট নিয়ে মানুষের তেমন আগ্রহ নেই। দলীয়করণের কারণে সাধারণ মানুষ আর ভোট দিতে চায় না। অনেকেই মনে করেন, ভোটের মূল্যায়ন হচ্ছে না। এটা ভালো লক্ষণ নয়।’ এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন রত্নাই বগুলাবাড়ি  গ্রামের অজিুজুল হক।  তিনি উপজেলার রত্নাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের ভোটার। এ উপজেলায় ঠাকুরগাঁও-২ আসনের  সংসদ সদস্য মাজহারুল ইসলাম সুজনের দুই চাচা ও  চাচাতো ভাই চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।  কেন্দ্রের বাইরে দাঁড়ানো তোজ্জাম্মেল হক নামের ওই ভোটার বলেন, আমাদের বালিয়াডাঙ্গীতে নিজগৃহে ভোট। এখানে সাধারণ মানুষের ভোটের দরকার পড়ে না। তাই ভোটারদের মধ্যে কোনো উচ্ছ্বাস নেই। ‘ভোট দিলেও উমরা না দিলেও উমরা। ভোট দিতে যে সময় জাই (নষ্ট) যাবে, তার চেয়ে মরিচ তোলাই ভালো।’ তোজাম্মেল হক  আরও বলেন, স্থানীয় এমপির চাচা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী ও তার ছোট ভাই সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলাম এবং মোহাম্মদ আলীর ছেলে আলী আহসান রানা চেয়ারম্যান প্রার্থী। অন্য কোনো প্রার্থী নেই । তিনি দুঃখ করে বলেন, আমরা এখনো মুঘল যুগেই আছি। তাই ভোট নিয়ে সাধারণ মানুষের মাথাব্যথা নেই। আমজানখোর ইউনিয়নের  স্কুলহাট এলাকার শরিফুল ইসলাম অনেকটা কৌতুক করে বলেন, ‘এটা তো আসল ভোট নয়, যেন খেলনার ভোট’। তিনি আরও বলেন,‘এটা ছেলে-পেলেদের ভোট, হামরার ভোট না’।  
০৮ মে, ২০২৪

পাইকারি বাজারে কাঁচামরিচের কেজি ৮০ টাকা
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে দাবদাহে মরিচ উৎপাদন কিছুটা কমে যাওয়ায় পাইকারি বাজারে দাম বেড়েছে কাঁচামরিচের। এক সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৭৮ থেকে ৮০ টাকায়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, উৎপাদন কমে যাওয়া ও বাড়তি চাহিদার কারণে দাম বেড়েছে কাঁচামরিচের। রোববার (৫ মে) সরেজমিনে দেবীগঞ্জ পৌর সদরের মরিচের পাইকারি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, পাইকারি ক্রেতারা কৃষকদের কাছ থেকে মরিচ কিনে বেশ কয়েকটি স্থানে জমা করে রেখেছেন। সপ্তাহে দুই দিন বসে মরিচের এই হাট। হাটের দিন প্রায় ২০ থেকে ৩০ টন কাঁচামরিচ কেনাবেচা হয়। তবে, এদিন অন্যান্য সপ্তাহের তুলনায় মরিচের জোগান কিছুটা কম ছিল। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুই সপ্তাহ আগে বাজারে মরিচের জোগান স্বাভাবিক ছিল। সে সময় কৃষকদের কাছ থেকে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় কিনেছেন ব্যবসায়ীরা। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা তীব্র দাবদাহের কারণে মরিচের গাছ মরে যাওয়ায় এবং উৎপাদন কম হওয়ায় গত দুই সপ্তাহ থেকে কাঁচামরিচের জোগান কমে গেছে। এতে করে চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে দামও বেড়েছে। এক সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৭৮ থেকে ৮০ টাকা দরে। যা গত সপ্তাহের তুলনায় কেজি প্রতি ২৮ থেকে ৩০ টাকা বেশি। আলমগীর হোসেন নামে এক মরিচ ব্যবসায়ী বলেন, আমি প্রতি হাটে পাঁচ থেকে সাত টন কাঁচামরিচ কিনে দেবীগঞ্জ থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাই। গত কয়েক সপ্তাহ থেকে হাটে তুলনামূলক মরিচ কম আসছে তাই মরিচের দাম বাড়তি। সামনে মরিচের দাম আরও বাড়তে পারে। মো. ঈশা নামে আরেক ব্যবসায়ী বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে মরিচের জোগান কিছুটা কম। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি মরিচ কিনেছিলাম ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় আর এই সপ্তাহে কিনতে হচ্ছে ৭৮ থেকে ৮০ টাকায়। এ রকমভাবে জোগান কমতে থাকলে মরিচের দাম আরও বাড়বে। এদিকে পাইকারি বাজারে কাঁচামরিচের দাম বেশি হওয়ায় খুশি কৃষকেরা। দেবীগঞ্জ বাজারে কাঁচামরিচ বিক্রি করতে আসা টেপ্রীগঞ্জ ইউনিয়নের বানেশ্বর পাড়া এলাকার কৃষক আব্দুস সামাদ তালুকদার বলেন, এ বছর এক বিঘা জমিতে মরিচ লাগিয়েছি। এর আগে তিনবার মরিচ বিক্রি করেছি। প্রথমবার ১৫ থেকে ২০ টাকা এবং দ্বিতীয়বারে ২৫ থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। এই দামে বিক্রি করে খুব একটা লাভ হতো না। তবে আজকে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ৮০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। এতে করে গত কয়েকবারের তুলনায় কিছুটা লাভ হয়েছে। দেবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চর তিস্তা পাড়া এলাকার বদিউজ্জামান নামে আরেক প্রান্তিক কৃষক জানান, ১০ শতক জমিতে মরিচের আবাদ করেছি। প্রচণ্ড রোদের কারণে গাছ মরে যাচ্ছে, বেশি বেশি সেচ দিতে হচ্ছে। ইদানীং মরিচের ফলনও কমেছে। প্রথমে দাম কম থাকলেও ফলন বেশি ছিল। আর এখন ফলন কমে গেছে কিন্তু দাম বেড়েছে। এ রকম দাম শেষ পর্যন্ত থাকলে আশা করছি লাভবান হবো। উল্লেখ্য, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী ২০২৪ সালের খরা মৌসুমে দেবীগঞ্জ উপজেলায় ১৫০ হেক্টর জমিতে এবার মরিচের আবাদ হয়েছে।
০৫ মে, ২০২৪

মরিচ তুলে বাড়ি ফেরার পথে হিটস্ট্রোকে আ.লীগ নেতার মৃত্যু
মিরসরাইয়ে হিটস্ট্রোকে জাহাঙ্গীর আলম নামে এক ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকালে উপজেলার মঘাদিয়া ইউনিয়নের জাফরাবাদ গ্রামের এ ঘটনা ঘটে। জাহাঙ্গীর আলম মঘাদিয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের জাফরাবাদ গ্রামের কামাল চেয়ারম্যান বাড়ির বাসিন্দা। তিনি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। জাহাঙ্গীর আলমের চাচাতো ভাই সাজ্জাদ হোসেন পিটু কালবেলাকে বলেন, রোববার সকালে আমার জেঠাতো ভাই কৃষিজমিতে কাঁচা মরিচ তুলতে যান। মরিচ তোলা শেষে বাড়ি ফেরার পথে হঠাৎ করে জমির আইলে মাথা ঘুরে পড়ে যান। পরবর্তীতে তাকে উদ্ধার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি হিটস্ট্রোকে মারা গেছেন। আসরের নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। মঘাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসাইন মাস্টার কালবেলাকে বলেন, আমার ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সকালে জমিতে কাজ করে বাড়ি ফেরার পথে জমির আইলে ঘুরে পড়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. সিফাত সুলতানা বলেন, হাসপাতালে আসার আগে জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যু হয়েছে। তবে কী কারণে মৃত্যু হয়েছে তা ময়নাতদন্ত ছাড়া বলা সম্ভব না।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

যে হাটে প্রতিদিন বিক্রি হয় কোটি টাকার মরিচ
লাল টুকটুকে মরিচে সাজানো দৃষ্টিনন্দন বিশাল মরিচের হাট। সপ্তাহে শনিবার ও মঙ্গলবার বসে হাট। এর আগের রাত থেকেই চরের মরিচ চাষিরা হাটে আসতে শুরু করে মরিচের বহর নিয়ে। নৌকা এবং ঘোড়ার গাড়িতে করে চর থেকে মরিচ বিক্রি করতে আসেন কৃষক ও পাইকাররা। এরপর শুরু হয় বেচাকেনার হাঁকডাক। বেলা বাড়ার সঙ্গে বেড়ে যায় ক্রেতা–বিক্রেতার ছোটাছুটি ও ব্যস্ততা। বস্তা বোঝাই হয়ে মরিচগুলো ওঠে ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহনে। চলে যায় দেশের বিভিন্ন জেলায়। মরিচের বাজার হিসেবে বেশ প্রসিদ্ধ ওই স্থানে প্রতি হাটে ১ থেকে ২ কোটি টাকার মরিচ কেনাবেচা হয় বলে জানান ব্যবসায়ীরা। ব্রক্ষ্মপুত্র নদের কোল ঘেঁষা গাইবান্ধা জেলার পুরাতন ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদের পাশেই বসে এই মরিচের হাট। মরিচে রঙিন হয়ে ওঠে গাইবান্ধা সদর, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল এবং জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে। সাধারণত চরাঞ্চলে বেশি চাষ হয় মরিচের। নদী পথে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নদী পথেও ক্রেতারা নিতে পারেন মরিচ।  ফুলছড়ি হাটে মরিচ কিনতে আসা ব্যবসায়ীরা জানান, স্কয়ার, প্রাণ গ্রুপসহ নামি দামি কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিসহ ডিলাররা এসে মরিচ নিয়ে যান। প্রান্তিক কৃষকরা জানান, বিঘা প্রতি ১০ থেকে ১২ মণ শুকনো মরিচ উৎপাদন কর হয়। প্রতি মণ মরিচ ৯ হাজার থেকে ৯৮ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়।
০৫ এপ্রিল, ২০২৪

অর্ধেকে নেমে এসেছে মরিচ ও পেঁয়াজের দাম
বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বগুড়ার আদমদীঘিতে কাঁচা মরিচ ও পেঁয়াজের দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় এই দুই পণ্যের দাম কমায় স্বস্তি ফিরে এসেছে ক্রেতাদের মাঝে। বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে আদমদীঘি হাটে গিয়ে ক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।  সরেজমিনে দেখা গেছে, দোকানে দোকানে ব্যবসায়ীরা সাজিয়ে রেখেছেন কাঁচা মরিচ ও পেঁয়াজ। গেল দুই সপ্তাহ আগে রোজার শুরুর দিকে দেশি কাঁচা মরিচ ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে সেই মরিচ খুচরা বাজারে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আড়তে পাইকারি ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। গত সপ্তাহে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১০০ থেকে ১১০ টাকায়। বর্তমানে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রয় হচ্ছে। আড়তে পাইকারি প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। হাটে বাজার করতে আসা ব্যাংক কর্মকর্তা ফিরোজ হোসেন বলেন, ‘রমজানের শুরুর দিকে ৮০ টাকা কেজি কাঁচা মরিচ ও ১০০ টাকা দরে পেঁয়াজ কিনেছিলাম। আজকে বাজার করতে এসে দেখি কাঁচা মরিচ ও পেঁয়াজের দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে। পণ্য দুটির দাম কমায় সবার জন্য ভালো হলো।’ খাবার হোটেলের মালিক এমরান বলেন, ‘আমার খাবারের হোটেলে প্রতিদিন ছয় থেকে আট কেজি কাঁচা মরিচ ও পেঁয়াজ লাগে। মরিচ পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি হলেও আমরা খাবারের দাম বৃদ্ধি করতে পারি না। যার কারণে আমরা হোটেল ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়ে যাই। এখন দাম কমার কারণে কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসবে।’ খুচরা কাঁচা মরিচ বিক্রেতা এরশাদ আলী বলেন, ‘আমরা আড়তে কম দামে কিনতে পারলে কম দামেই খুচরা বিক্রি করি। নওগাঁ আড়ত থেকে পাইকারি ১২০০ টাকা মণ কাঁচা মরিচ কিনেছি। ভালো মানের পেঁয়াজ কিনেছি ১৪০০ টাকা মণ। যার কারণে কাচাঁ মরিচ ও পেঁয়াজ কম দামে বিক্রি করতে পারছি।’
২৮ মার্চ, ২০২৪

পানির দরে কাঁচা মরিচ
দিনাজপুরের বিরামপুরে কাঁচা মরিচের দাম আরও একদফা কমে পাইকারিতে ২৫ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশের বাইরে থেকে পেঁয়াজ ও মরিচ দুটির আমদানিই বন্ধ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পেঁয়াজের দামে হাঁসফাঁস অবস্থা থাকলেও কাঁচা মরিচের দাম কমায় এলাকার সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে। রমজান পর্যন্ত কাঁচা মরিচের দাম যেন কমতিতেই থাকে এমনটাই প্রত্যাশা ক্রেতাসাধারণের। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বিরামপুর হাটে সবজির পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি হাইব্রিড (উচ্চ ফলনশীল) কাঁচা মরিচ ২৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজারে দাম কমতে থাকে। সকাল ১০টার দিকে পাইকারি বাজারে ২৫ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। পাইকারি ও খুচরা বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় একদিনের ব্যবধানে সেই দামে ভাটা পড়েছে। উপজেলার স্থানীয় খুচরা বাজারগুলোতে হাইব্রিড ও দেশীয় জাতের কাঁচা মরিচ ৩০ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।  ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কেনা ছাড়াও খুচরা বিক্রেতারা সরাসরি কৃষকদের জমি থেকেও মরিচ কিনে আনছেন। ফলে স্থানীয় হাটবাজারগুলোতে খুচরা বিক্রেতারাও পাইকারির কাছাকাছি দামেই কাঁচা মরিচ বিক্রি করছেন। বিরামপুর নতুন বাজারে কাঁচা মরিচের পাইকারি ব্যবসায়ী আলম হোমেন বলেন, স্থানীয় কৃষকদের জমিতে এবার মরিচের উৎপাদন বেড়েছে। ফলে বিরামপুরের পাইকারি বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহও অনেক বেড়েছে। শুক্রবার সকালে বাজার থেকে পাইকারি ২৫ টাকা কেজি দরে ৪০০ কেজি কাঁচা মরিচ কিনেছি। এসব কাঁচা মরিচ চুয়াডাঙ্গার দর্শনা ও যশোরের নওপাড়ার কাঁচাবাজারে পাঠাব। উপজেলার সীমান্তবর্তী কেটরা বাজারে সবজির খুচরা ব্যবসায়ী মামুন মন্ডল বলেন, দুপুর থেকে বাজারে হাইব্রিড জাতের কাঁচা মরিচ খুচরা ৩০ টাকা ও দেশীয় জাতের কাঁচা মরিচ ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। গ্রামের কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি কেনায় কম দামে কাঁচা মরিচ বিক্রি করতে পারছি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষিবিদ ফিরোজ আহম্মেদ বলেন, এ বছর এ উপজেলায় ৫০ হেক্টর জমিতে মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলে মরিচের মূল্য স্বাভাবিক রয়েছে। আশা করি, আগামী মৌসুমেও মরিচের চাষাবাদ আরও বেশি হতে পারে।
১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

পেঁয়াজের দাম আরও বাড়ল
পেঁয়াজের দাম আরও বেড়েছে। প্রতি কেজি ৩০ টাকা বেড়ে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে কাঁচা মরিচ প্রকারভেদে ২৮ থেকে ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, পাইকারি এবং খুচরা দোকানে কাঁচা মরিচ ও পেঁয়াজের সরবরাহ গত শুক্রবার ও শনিবার দুই দিনের তুলনায় বেশি। তবে সরবরাহ কম এবং মোকামে দাম বেশি, এমন কথা বলে পাইকার ব্যবসায়ীরা বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন। খুচরা ব্যবসায়ীদের প্রতি কেজি দেশি জাতের পেঁয়াজ প্রকারভেদে ১১০ থেকে ১১৫ টাকা কেজি দরে কিনতে হচ্ছে। অপরদিকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ প্রকারভেদে ২৮ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন।  কয়েকজন পাইকারি ব্যবসায়ী বলেন, গত বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে প্রতি কেজি দেশি জাতের পেঁয়াজ প্রকারভেদে ৮৮ থেকে ৯০ টাকা এবং কাঁচা মরিচ ২৮ থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করে সরবরাহ কমে যাওয়াসহ চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ফুলবাড়ীসহ আশপাশের উপজেলার হাটবাজারে পেঁয়াজের দামের প্রভাব পড়েছে। গত শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার পর থেকে পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১০৫ টাকা এবং খুচরা বাজারে ১১০ টাকা এবং শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) থেকে আজ রোববারও (১১ ফেব্রুয়ারি) প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর গত সপ্তাহ থেকে পাইকারি বাজারে কাঁচা মরিচ প্রকারভেদে প্রতি কেজি ২৮ থেকে ৩০ টাকা এবং খুচরা বাজারে প্রকারভেদে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।  ফুলবাড়ী পৌর বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা পূর্ব কাঁটাবাড়ী গ্রামের বুলু শীল বলেন, এক কেজি পেঁয়াজ কিনতে এসেছিলেন। দোকানে এসে শুনলাম দাম ১২০ টাকায় উঠেছে। কী আর করা আধা কেজি পেঁয়াজ কিনে বাড়ি ফিরছি। ফুলবাড়ী বাজারের কাঁচা মরিচের পাইকারি ব্যবসায়ী অজয় দত্ত বলেন, কৃষকের মরিচের উৎপাদন বেড়েছে। এতে বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ বেড়েছে। একই সঙ্গে পঞ্চগড়, খানসামা, জয়পুরহাটের অক্কেলপুর, পাঁচবিবিসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে কাঁচা মরিচ পাইকারি বাজারে আসছে। এতে কাঁচা মরিচের দাম কমে এসেছে।  পেঁয়াজের পাইকারি ব্যবসায়ী মিহির প্রামাণিক বলেন, পেঁয়াজের বাজার নিয়ে চট্টগ্রাম মোকাম থেকে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। মোকাম থেকে পাইকারি মূল্য নির্ধারণ করা হচ্ছে।  পেঁয়াজের আরেক পাইকারি ব্যবসায়ী দীপক কুমার বলেন, আগাম পেঁয়াজ শেষের দিকে এবং সরবরাহ কম থাকাসহ ঢাকা ও চট্টগ্রাম পেঁয়াজের মোকামে পাইকারি মূল্য বেড়েছে। নতুন পেঁয়াজ বাজারে ওঠার পাশাপাশি ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হলে পেঁয়াজের দাম কমে আসবে।  উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মাদ আবু জাফর আরিফ চৌধুরী বলেন, পেঁয়াজের বাজারের অস্থিরতা কাটাতে নিয়মিতভাবে বাজার মনিটরিংসহ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে।
১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ঝাঁজ কমেছে কাঁচা মরিচের
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে চার দিনের ব্যবধানে পাইকারী ও খুচরা বাজারে প্রকারভেদে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা কমেছে দেশি কাঁচা মরিচের দাম। চলতি শীত মৌসুমে কাঁচা মরিচের বাম্পার ফলন হওয়ায় হাটবাজারে সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম কমেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পৌর বাজার ঘুরে দেখা যায়, চার দিন আগে দেশি কাঁচা মরিচ প্রকারভেদে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও আজ সেই কাঁচা মরিচ প্রকারভেদে পাইকারি বাজারে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরা প্রকারভেদে ৪২ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।  বাজারে কাঁচা মরিচ কিনতে আসা পৌরশহরের কাঁটাবাড়ি এলাকার রনি প্রসাদ বলেন, চার দিন আগে কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা কেজি দরে ৫০০ গ্রাম কিনেছিলাম। আজ দাম কমায় এক কেজি কিনেছি ৪৫ টাকা দিয়ে। খুচরা বিক্রেতা শাহ জামাল বলেন, পাইকারী বাজারে কাঁচা মরিচের দাম কমে আসায় খুচরা বাজারেও দাম কমে এসেছে। এতে করে বিক্রিও বেড়েছে আগে থেকে।   পাইকারি ব্যবসায়ী শামসুল ইসলাম ও মিলন মিয়া বলেন আবহাওয়া ভালো হওয়ায় পার্শ্ববর্তী বিরামপুর, পাঁচবিবিসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ফুলবাড়ীতে বিপুল পরিমাণে কাঁচা মরিচ আমদানি হওয়ায় দাম কমে আসছে। আমদানি বাড়লে কম দামে কিনতে পারা যায় বলেই খুচরা বাজারেও কম দামে বিক্রি করা সম্ভব হয়।  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মো. আল কামাহ তমাল বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিতভাবে নিত্যপণ্যের বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে, যাতে কেউ কোনো ধরনের নিত্যপণ্যের দাম অযৌক্তিকভাবে বাড়িয়ে মুনাফা লুটতে না পারে। 
০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

কুমিল্লায় আশা জাগাচ্ছে কাঁচা মরিচের চাষ
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় চলতি রবি মৌসুমে বেড়েছে কাঁচা মরিচের চাষ। বাজার দর ভালো হওয়ায় এবং কম পরিশ্রম ও খরচ তুলনামূলক কম হয় বলে কাঁচা মরিচ চাষে ঝুঁকেছেন অনেক কৃষক। উপজেলার বিভিন্ন রবিশস্যের মাঠ ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।  স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, এ বছর রবি মৌসুমে এ উপজেলায় কাঁচা মরিচের লক্ষ্যমাত্রা ৮৫ হেক্টর নির্ধারণ করা হয়েছে। উপজেলার মালাপাড়া ইউনিয়নের মালাপাড়া, আসাদনগর, মনোহরপুর, রামনগর, অলুয়া, চন্ডিপুর এলাকায়, শশীদল ইউনিয়নের শশীদল, দক্ষিণ শশীদল, তেঁতাভূমি, নাগাইশ এলাকায়, শিদলাই ইউনিয়নের শিদলাই, পোমকারা, বেড়াখোলা  এবং গোলাবাড়িয়া এলাকায় বেড়েছে কাঁচা মরিচের চাষ।   এ ছাড়াও উপজেলার সদর ইউনিয়নের মহালক্ষীপাড়া, ধান্যদৌল, কল্পবাস, ডগ্রাপাড়া, মাধবপুর ইউনিয়নের মকিমপুর, কান্দুঘর, উত্তর চান্দলা, মাধবপুর এবং চান্দলা ইউনিয়নের বড়ধুশিয়া, দক্ষিণ চান্দলায় তুলনামূলক হারে বেড়েছে কাঁচা মরিচের চাষ। কৃষি বিভাগ বলছে, কাঁচা মরিচ আবাদ করা কৃষকদের ভালো ফলনের দিক মাথায় রেখে নানা পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে এ বছর রবি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কাঁচা মরিচের বাম্পার ফলন হবে।  কাঁচা মরিচ আবাদ করা উপজেলার মালাপাড়া ইউনিয়নের রামনগর এলাকার কৃষক আসাদ উল্লাহ কালবেলাকে জানান, উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী এ বছর তিনি ১৩ শতক জমিতে কাঁচা মরিচের আবাদ করেছেন। বীজ বপনের প্রথম দিকে প্রাকৃতিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। তবু এ বছর মরিচের বাম্পার ফলন হবে বলে মনে করছেন তিনি।  উপজেলার সদর ইউনিয়নের মহালক্ষীপাড়া এলাকার কৃষক সোহেল হক কালবেলাকে জানান, গত বছরও তিনি কাঁচা মরিচের আবাদ করে লাভবান হয়ে ছিলেন। এ বছরও তিনি ১৯ শতক জমিতে কাঁচা মরিচের আবাদ করেছেন। বৈরী আবহাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেলে এ বছর কাঁচা মরিচের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। আবুল হাসেম উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের গোপালনগর এলাকার বাসিন্দা। তিনি এ রবি মৌসুমে অন্যান্য রবিশস্যের পাশাপাশি কাঁচা মরিচেরও আবাদ করেছেন। বাজারে কাঁচা মরিচের চাহিদা ও দাম ভালো থাকায় কাঁচা মরিচ চাষে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন তিনি। এ বছর তিনি ৯ শতক জমিতে কাঁচা মরিচ চাষ করেছেন। এতে শ্রম ও খরচ কম হয়েছে তার। ভালো ফলন হলে তিনি লাভবান হবেন ।  উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মাসুদ রানা কালবেলাকে বলেন, মরিচ একটি উচ্চমূল্যের  ফসল। অন্যান্য ফসলের তুলনায় মরিচ চাষ বেশি লাভজনক। সারাবছরই মরিচের ভালো দাম থাকে। এ জন্যই কৃষকরা মরিচ চাষে বেশি আগ্রহী। এছাড়া ব্রাহ্মণপাড়ার মাটি ও পরিবেশ মরিচ চাষের জন্য উপযুক্ত। মরিচ বস্তায়  কিংবা টবেও চাষ করা যায়।প্রতিটি পরিবার যদি টবে কিংবা বস্তায় মরিচ চাষ করে তাহলে পরিবারের মরিচের চাহিদা সহজেই পূরন করা সম্ভব। মরিচ চাষের ক্ষেত্রে জাত নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মালচিং পদ্ধতিতে  উন্নত জাতের মরিচ চাষে লাভ আরও বেশি হবে।  তিনি আরও বলেন, এ বছর ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার জন্য মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছে ৮৫ হেক্টর। আশা করা যাচ্ছে যে হারে মরিচ আবাদ করা হয়েছে তাতে এ বছর লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। উন্নত জাত নির্বাচন, রোগবালাই, পোকামাকড় দমনসহ সব বিষয়ে আমরা কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে আসছি।
১৫ জানুয়ারি, ২০২৪

বাজি ধরে গুড় ও মরিচ খেয়ে প্রাণ গেল কৃষকের
নওগাঁর বদলগাছীতে বাজি ধরে ২ কেজি গুড় ও কলা খেয়ে মো. বায়েজিদ (৪৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১ নভেম্বর) জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার মৃত্যু হয়। এর আগে মঙ্গলবার রাতে গুড় খেয়ে অসুস্থ হন তিনি।  ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কোলা ইউপির ভাণ্ডারপুর এলাকায়। মৃত বায়েজিদ উপজেলার পাড়আধাইপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে।  স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ভাণ্ডারপুর বাজারে পাড়আধাইপুর গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলের সঙ্গে ইসমাইলপুর গ্রামের লবার ছেলে বিতু কসাইয়ের মধ্যে গুড় খাওয়া নিয়ে বাজি হয়। বাজি অনুযায়ী বিতু কসাই স্থানীয় এক দোকানির কাছ থেকে ২ কেজি দানার গুড় কিনে এনে কৃষক বায়জিদকে খেতে দেয়। বাজিতে দুই কেজি গুড় বায়জিদ খেতে পারলে তাকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য আরও দুই কেজি গুড় কিনে দিবে বিতু কসাই। দুজনের কথা অনুযায়ী গুড় খাওয়ার বাজি খেলা শুরু হয়। আধাঘণ্টার ব্যবধানে দুই কেজি গুড় খেয়ে ফেলে বায়েজিদ। গুড়ের সঙ্গে ২০টির বেশি কাচামরিচ খেয়ে ফেলেন। বাজি ধরার পূর্বে বেশ কয়েকটি কলাও খেয়ে ছিলেন তিনি। অপরদিকে বাজিতে জয়ের পর আরও দুই কেজি গুড় দেওয়ার কথা থাকলেও বিতু কসাই তা না দিয়ে কৌশলে পালিয়ে যায় অন্যত্র। এ সময় গুড় খাওয়ার বাজি দেখতে উৎসুক জনতা ভিড় করেন সেখানে। বাজি ধরে গুড় খাওয়ার পর সচেতন মহলের একাধিক ব্যক্তি তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্ক জানতে চায় এবং তাকে স্থানীয়  চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার কথা বলেন। কিন্তু বাজিতে জয়ী ওই কৃষক তার তার শরীরের অবস্থা ভালো বলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। বাজি শেষে স্বাভাবিক অবস্থায় বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পর অসুস্থ অনুভব করলে পরিবারের লোকজন তাকে আক্কেলপুর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই কৃষকের মৃত্যু হয় বলে স্থানীয়রা জানান। রিপন, বাবুসহ আরও অনেকে জানান, বায়েজিদ এর আগেও বিভিন্নজনের সঙ্গে খাবার খাওয়া নিয়ে নানা সময়ে বাজি ধরে জিতেছে। কোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহীনুর ইসলাম স্বপন বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। সে বিভিন্ন সময় বাজি ধরে এসব করতেন। বদলগাছী থানার ওসি মো. আতিয়ার রহমান মুঠোফোনে কালবেলাকে বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।
০১ নভেম্বর, ২০২৩
X