উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা মধ্য চাড়োল সরকারি প্রাথমিক ভোটকেন্দ্রে সকাল থেকেই ভোটারের উপস্থিতি ছিল কম। অনেকটা উচ্ছ্বাসহীন পরিবেশে বুধবার (৮ মে) বিকেল ৪টায় শেষ হয় ভোটগ্রহণ।
সকাল থেকে মেঘলা আবহাওয়ার মতোই নির্বাচনের পরিবেশ ছিল থম ধরা। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বেশ কয়েকটি ভোটকেন্দ্র ঘুরেও ভোটারদের কোনো লাইন চোখে পড়েনি।
‘ভোটের পরিবেশ ভালো কিন্তু ভোটার উপস্থিতি কম। আগের মতো ভোট নিয়ে মানুষের তেমন আগ্রহ নেই। দলীয়করণের কারণে সাধারণ মানুষ আর ভোট দিতে চায় না। অনেকেই মনে করেন, ভোটের মূল্যায়ন হচ্ছে না। এটা ভালো লক্ষণ নয়।’ এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন রত্নাই বগুলাবাড়ি গ্রামের অজিুজুল হক।
তিনি উপজেলার রত্নাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের ভোটার। এ উপজেলায় ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সংসদ সদস্য মাজহারুল ইসলাম সুজনের দুই চাচা ও চাচাতো ভাই চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
কেন্দ্রের বাইরে দাঁড়ানো তোজ্জাম্মেল হক নামের ওই ভোটার বলেন, আমাদের বালিয়াডাঙ্গীতে নিজগৃহে ভোট। এখানে সাধারণ মানুষের ভোটের দরকার পড়ে না। তাই ভোটারদের মধ্যে কোনো উচ্ছ্বাস নেই। ‘ভোট দিলেও উমরা না দিলেও উমরা। ভোট দিতে যে সময় জাই (নষ্ট) যাবে, তার চেয়ে মরিচ তোলাই ভালো।’
তোজাম্মেল হক আরও বলেন, স্থানীয় এমপির চাচা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী ও তার ছোট ভাই সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলাম এবং মোহাম্মদ আলীর ছেলে আলী আহসান রানা চেয়ারম্যান প্রার্থী। অন্য কোনো প্রার্থী নেই । তিনি দুঃখ করে বলেন, আমরা এখনো মুঘল যুগেই আছি। তাই ভোট নিয়ে সাধারণ মানুষের মাথাব্যথা নেই। আমজানখোর ইউনিয়নের স্কুলহাট এলাকার শরিফুল ইসলাম অনেকটা কৌতুক করে বলেন, ‘এটা তো আসল ভোট নয়, যেন খেলনার ভোট’। তিনি আরও বলেন,‘এটা ছেলে-পেলেদের ভোট, হামরার ভোট না’।
মন্তব্য করুন