আজহার ইমাম, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৩৭ এএম
আপডেট : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:২৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

পানির দরে কাঁচা মরিচ

বিরামপুর হাটে সবজির পাইকারি বাজার। ছবি : কালবেলা
বিরামপুর হাটে সবজির পাইকারি বাজার। ছবি : কালবেলা

দিনাজপুরের বিরামপুরে কাঁচা মরিচের দাম আরও একদফা কমে পাইকারিতে ২৫ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশের বাইরে থেকে পেঁয়াজ ও মরিচ দুটির আমদানিই বন্ধ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পেঁয়াজের দামে হাঁসফাঁস অবস্থা থাকলেও কাঁচা মরিচের দাম কমায় এলাকার সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে। রমজান পর্যন্ত কাঁচা মরিচের দাম যেন কমতিতেই থাকে এমনটাই প্রত্যাশা ক্রেতাসাধারণের।

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বিরামপুর হাটে সবজির পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি হাইব্রিড (উচ্চ ফলনশীল) কাঁচা মরিচ ২৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজারে দাম কমতে থাকে। সকাল ১০টার দিকে পাইকারি বাজারে ২৫ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। পাইকারি ও খুচরা বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় একদিনের ব্যবধানে সেই দামে ভাটা পড়েছে। উপজেলার স্থানীয় খুচরা বাজারগুলোতে হাইব্রিড ও দেশীয় জাতের কাঁচা মরিচ ৩০ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কেনা ছাড়াও খুচরা বিক্রেতারা সরাসরি কৃষকদের জমি থেকেও মরিচ কিনে আনছেন। ফলে স্থানীয় হাটবাজারগুলোতে খুচরা বিক্রেতারাও পাইকারির কাছাকাছি দামেই কাঁচা মরিচ বিক্রি করছেন।

বিরামপুর নতুন বাজারে কাঁচা মরিচের পাইকারি ব্যবসায়ী আলম হোমেন বলেন, স্থানীয় কৃষকদের জমিতে এবার মরিচের উৎপাদন বেড়েছে। ফলে বিরামপুরের পাইকারি বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহও অনেক বেড়েছে। শুক্রবার সকালে বাজার থেকে পাইকারি ২৫ টাকা কেজি দরে ৪০০ কেজি কাঁচা মরিচ কিনেছি। এসব কাঁচা মরিচ চুয়াডাঙ্গার দর্শনা ও যশোরের নওপাড়ার কাঁচাবাজারে পাঠাব।

উপজেলার সীমান্তবর্তী কেটরা বাজারে সবজির খুচরা ব্যবসায়ী মামুন মন্ডল বলেন, দুপুর থেকে বাজারে হাইব্রিড জাতের কাঁচা মরিচ খুচরা ৩০ টাকা ও দেশীয় জাতের কাঁচা মরিচ ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। গ্রামের কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি কেনায় কম দামে কাঁচা মরিচ বিক্রি করতে পারছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষিবিদ ফিরোজ আহম্মেদ বলেন, এ বছর এ উপজেলায় ৫০ হেক্টর জমিতে মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলে মরিচের মূল্য স্বাভাবিক রয়েছে। আশা করি, আগামী মৌসুমেও মরিচের চাষাবাদ আরও বেশি হতে পারে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সবাইকে নিয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব: নীরব

‘হামজা আমার দলে হলে বেঞ্চেই বসে থাকত’

লন্ডনে টাওয়ার হ্যামলেটসের মেয়রের সঙ্গে বাসস চেয়ারম্যানের মতবিনিময়

আফগানদের কাছে হারার পর যা বললেন মিরাজ

অল্প পুঁজি নিয়ে আফগানদের সাথে পারল না বাংলাদেশ

‘দেশের সার্বিক উন্নয়নে প্রবীণদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে হবে’

রাবেতাতুল ওয়ায়েজীনের সঙ্গে সম্মিলিত খতমে নবুওয়ত পরিষদের মতবিনিময়

ডিএনসিসি এলাকায় টাইফয়েডের টিকা পাবে ১৩ লাখ শিশু

অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে রেমিট্যান্স এসেছে ৬৯ কোটি ডলার

৭ বছর পর শহীদ জিয়ার মাজার জিয়ারত করলেন খালেদা জিয়া

১০

ফার্মগেটে ককটেল বিস্ফোরণ

১১

কালবেলার সংবাদের পর স্বপ্নের রঙিন ঘরে শাহারবানু

১২

আখিরাতের কল্যাণ নিশ্চিতে কাজ করছে জামায়াত : মুজিবুর রহমান

১৩

রাজধানীতে তারেক রহমানের সাক্ষাৎকারের রেকর্ডেড ভিডিও প্রদর্শন

১৪

জবাব দিতে পিএসসিকে আলটিমেটাম

১৫

অসদাচরণের অভিযোগে বদলি চিকিৎসক দম্পতি

১৬

সড়কের পাশে ময়লার ভাগাড়, দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ মানুষ

১৭

শহীদ জিয়ার মাজারে দোয়া করলেন খালেদা জিয়া

১৮

নোয়াখালী বিভাগ চাইলেন ‘কাবিলা’

১৯

বেথ মুনির রেকর্ডে অস্ট্রেলিয়ার দুর্দান্ত জয়

২০
X