দিনাজপুরের বিরামপুরে কাঁচা মরিচের দাম আরও একদফা কমে পাইকারিতে ২৫ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশের বাইরে থেকে পেঁয়াজ ও মরিচ দুটির আমদানিই বন্ধ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পেঁয়াজের দামে হাঁসফাঁস অবস্থা থাকলেও কাঁচা মরিচের দাম কমায় এলাকার সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে অনেকটাই স্বস্তি ফিরেছে। রমজান পর্যন্ত কাঁচা মরিচের দাম যেন কমতিতেই থাকে এমনটাই প্রত্যাশা ক্রেতাসাধারণের।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বিরামপুর হাটে সবজির পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি হাইব্রিড (উচ্চ ফলনশীল) কাঁচা মরিচ ২৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজারে দাম কমতে থাকে। সকাল ১০টার দিকে পাইকারি বাজারে ২৫ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। পাইকারি ও খুচরা বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় একদিনের ব্যবধানে সেই দামে ভাটা পড়েছে। উপজেলার স্থানীয় খুচরা বাজারগুলোতে হাইব্রিড ও দেশীয় জাতের কাঁচা মরিচ ৩০ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কেনা ছাড়াও খুচরা বিক্রেতারা সরাসরি কৃষকদের জমি থেকেও মরিচ কিনে আনছেন। ফলে স্থানীয় হাটবাজারগুলোতে খুচরা বিক্রেতারাও পাইকারির কাছাকাছি দামেই কাঁচা মরিচ বিক্রি করছেন।
বিরামপুর নতুন বাজারে কাঁচা মরিচের পাইকারি ব্যবসায়ী আলম হোমেন বলেন, স্থানীয় কৃষকদের জমিতে এবার মরিচের উৎপাদন বেড়েছে। ফলে বিরামপুরের পাইকারি বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহও অনেক বেড়েছে। শুক্রবার সকালে বাজার থেকে পাইকারি ২৫ টাকা কেজি দরে ৪০০ কেজি কাঁচা মরিচ কিনেছি। এসব কাঁচা মরিচ চুয়াডাঙ্গার দর্শনা ও যশোরের নওপাড়ার কাঁচাবাজারে পাঠাব।
উপজেলার সীমান্তবর্তী কেটরা বাজারে সবজির খুচরা ব্যবসায়ী মামুন মন্ডল বলেন, দুপুর থেকে বাজারে হাইব্রিড জাতের কাঁচা মরিচ খুচরা ৩০ টাকা ও দেশীয় জাতের কাঁচা মরিচ ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। গ্রামের কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি কেনায় কম দামে কাঁচা মরিচ বিক্রি করতে পারছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষিবিদ ফিরোজ আহম্মেদ বলেন, এ বছর এ উপজেলায় ৫০ হেক্টর জমিতে মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলে মরিচের মূল্য স্বাভাবিক রয়েছে। আশা করি, আগামী মৌসুমেও মরিচের চাষাবাদ আরও বেশি হতে পারে।
মন্তব্য করুন