বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বগুড়ার আদমদীঘিতে কাঁচা মরিচ ও পেঁয়াজের দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় এই দুই পণ্যের দাম কমায় স্বস্তি ফিরে এসেছে ক্রেতাদের মাঝে।
বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে আদমদীঘি হাটে গিয়ে ক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দোকানে দোকানে ব্যবসায়ীরা সাজিয়ে রেখেছেন কাঁচা মরিচ ও পেঁয়াজ। গেল দুই সপ্তাহ আগে রোজার শুরুর দিকে দেশি কাঁচা মরিচ ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে সেই মরিচ খুচরা বাজারে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আড়তে পাইকারি ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।
গত সপ্তাহে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১০০ থেকে ১১০ টাকায়। বর্তমানে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রয় হচ্ছে। আড়তে পাইকারি প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা।
হাটে বাজার করতে আসা ব্যাংক কর্মকর্তা ফিরোজ হোসেন বলেন, ‘রমজানের শুরুর দিকে ৮০ টাকা কেজি কাঁচা মরিচ ও ১০০ টাকা দরে পেঁয়াজ কিনেছিলাম। আজকে বাজার করতে এসে দেখি কাঁচা মরিচ ও পেঁয়াজের দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে। পণ্য দুটির দাম কমায় সবার জন্য ভালো হলো।’
খাবার হোটেলের মালিক এমরান বলেন, ‘আমার খাবারের হোটেলে প্রতিদিন ছয় থেকে আট কেজি কাঁচা মরিচ ও পেঁয়াজ লাগে। মরিচ পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি হলেও আমরা খাবারের দাম বৃদ্ধি করতে পারি না। যার কারণে আমরা হোটেল ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়ে যাই। এখন দাম কমার কারণে কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসবে।’
খুচরা কাঁচা মরিচ বিক্রেতা এরশাদ আলী বলেন, ‘আমরা আড়তে কম দামে কিনতে পারলে কম দামেই খুচরা বিক্রি করি। নওগাঁ আড়ত থেকে পাইকারি ১২০০ টাকা মণ কাঁচা মরিচ কিনেছি। ভালো মানের পেঁয়াজ কিনেছি ১৪০০ টাকা মণ। যার কারণে কাচাঁ মরিচ ও পেঁয়াজ কম দামে বিক্রি করতে পারছি।’
মন্তব্য করুন