৭ দিন বন্ধ থাকবে সোনা মসজিদ স্থলবন্দর
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সোনা মসজিদ স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম আগামী ৭ দিন বন্ধ থাকবে। তবে এ সময় ইমিগ্রেশন কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলবে। সোমবার (৮ এপ্রিল) থেকে ১৪ এপ্রিল (রোববার) পর্যন্ত স্থলবন্ধর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে। সোনা মসজিদ সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হারুন অর-রশিদ কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  তিনি বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতর ও বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে সোনা মসজিদ স্থলবন্দর সোমবার (৮ এপ্রিল) থেকে রোববার (১৪ এপ্রিল) পর্যন্ত সাত দিন পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ছুটি শেষে ১৫ এপ্রিল থেকে আবারও বন্দরের কার্যক্রম চালু হবে। জানা গেছে , সোমবার থেকে আগামী রোববার (১৪ এপ্রিল) পর্যন্ত সোনা মসজিদ স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ছুটি শেষে ১৫ এপ্রিল থেকে যথাযথ নিয়মে বন্দরের কার্যক্রম চালু হবে। তবে এ সময়ে বন্দরের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম পণ্য লোড-আনলোড ও দেশের ভেতরে পরিবহন যথারীতি চালু থাকবে। এ ছাড়া সোনামসজিদ ইমিগ্রেশনের পাসপোর্টধারী যাত্রীরা ইমিগ্রেশন দিয়ে স্বাভাবিকভাবে আসা-যাওয়া করতে পারবেন। সোনা মসজিদ ইমিগ্রেশনের কর্মকর্তা জাফর ইকবাল বলেন, ৭ দিন আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম থাকবে। তবে বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও ইমিগ্রেশন দিয়ে দুদেশের‌ পাসপোর্টের যাত্রীদের পারাপার স্বাভাবিক থাকবে।
০৮ এপ্রিল, ২০২৪

২৫ কেজি সোনা বিক্রি করল বাংলাদেশ ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংক প্রায় ১৬ বছর পর নিলামে সোনা বিক্রি করল। বিভিন্ন মানের ২৫ কেজি ৩১২ গ্রাম সোনা বিক্রি করা হয়েছে ১৭ কোটি ৯৯ লাখ টাকায়। বুধবার (৩ এপ্রিল) সব প্রক্রিয়া শেষে ক্রেতা প্রতিষ্ঠান ভেনাস জুয়েলার্সের কাছে এসব সোনা হস্তান্তর করা হয়। এর আগে এই সোনা বিক্রির জন্য ২০২২ সালের নভেম্বরে নিলাম ডেকেও উপযুক্ত দরদাতা না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত আর বিক্রি করতে পারেনি কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক বলেন, শুল্ক গোয়েন্দার জব্দ করা সোনা নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়েছে। বিক্রির বিপরীতে পাওয়া ১৭ কোটি ৯৯ লাখ টাকা কাস্টমসের অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় নিলামের মাধ্যমে এ সোনা বিক্রি করা হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ ২০০৮ সালের ২৩ জুলাই নিলামের মাধ্যমে ২১ কেজি ৮২২ গ্রাম সোনা বিক্রি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই বছরের শুরুর দিকে তিন ধাপে আরও ২৫, ২১ ও ২০ কেজি বিক্রি করা হয়। তবে হট্টগোল ও আশানুরূপ দরদাতা না পাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে দীর্ঘদিন নিলাম ডাকা বন্ধ রাখা হয়েছিল।
০৩ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বকালের সর্বোচ্চ দামে রেকর্ড গড়ল সোনা
লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সোনার দর। আন্তর্জাতিক বাজারে একের পর এক রেকর্ড গড়ে চলেছে সোনার দাম। গত শনিবার (৩০ মার্চ) প্রতি আউন্স সোনার দাম স্থির হয়েছে ২ হাজার ৩২ ডলারে। এতে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে নতুন ইতিহাস। গোল্ড প্রাইস ডটকম ও সিএনবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, আলোচ্য কর্মদিবসে স্পট মার্কেটে বৈশ্বিক বেঞ্চমার্ক সোনার আউন্সপ্রতি মূল্য নিষ্পত্তি হয়েছে ২০৩২ ডলারে। এখন যা সর্বকালের সর্বোচ্চ। এর আগে, গত ২৮ মার্চ তা ছিল ২২২৫ ডলার। সেদিনও নতুন নজির স্থাপন করেছিল মূল্যবান ধাতুটি। এরও আগে তা ছিল ২২২০ ডলার। সেটিও ছিল একটি রেকর্ড। অর্থাৎ সম্প্রতি প্রায় প্রতিদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ ধাতুটির দাম। প্রতিনিয়ত এটি এমন স্তরে উঠছে যা অতীতে কখনো দেখেননি বিশ্ববাসী। কেবল শনিবারই নয়, মার্চজুড়েই বিশ্ববাজারে হু হু করে বাড়ছে সোনার দর। এর মধ্যে বিগত ৮ দিনেই আউন্সপ্রতি দামি ধাতুটির দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে ৬৭ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৭৩৪৩ টাকা। গত ২২ মার্চ চকচকে ধাতুটির আউন্সে মূল্য ছিল ২১৬৫ ডলার। সপ্তাহজুড়ে বিশ্ববাজারে বাড়লেও এখনো দেশের মার্কেটে সোনার দাম বাড়ানো হয়নি। তবে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) সূত্র জানিয়েছে, বৈশ্বিক বাজারে মূল্য বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে, স্থানীয় বাজারে চাহিদা বাড়লে এবং তেজাবী সোনার দাম বাড়লে নতুন করে দর বাড়ানো হতে পারে। এজন্য আগামী কয়েকদিন স্থানীয় বাজারের চিত্র পর্যবেক্ষণ করা হবে। তবে আবারও বাড়ানো হলে বাংলাদেশের বাজারেও সোনার দামে নতুন ইতিহাস তৈরি হবে। অবশ্য বর্তমানে রেকর্ড দামেই বিক্রি হচ্ছে নিরাপদ আশ্রয় ধাতুটি। দেশের বাজারে সবশেষ সোনার দাম নির্ধারণ করা হয় গত ২১ মার্চ। এই দফায় ধাতুটির মূল্য বৃদ্ধি করা হয় ২৯১৬ টাকা। তাতে সবচেয়ে ভালো মানের (২২ ক্যারেট) এক ভরির দর দাঁড়ায় ১ লাখ ১৪ হাজার ৭৪ টাকা। দেশের ইতিহাসে যা সর্বোচ্চ। এর আগে যা ছিল ১ লাখ ১১ হাজার ১৫৮ টাকা। সেটিও ছিল নতুন দৃষ্টান্ত। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, চলতি বছর প্রতি আউন্স সোনার দাম ২৩০০ ডলার হতে পারে। এ প্রসঙ্গে বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিংয়ের চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান বলেন, ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের যে রেকর্ড আমরা দেখেছি, তাতে এই বছরই আউন্সপ্রতি দর ২৩০০ ডলার হয়ে যেতে পারে। বিশ্বজুড়ে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা বিরাজ করছে। মূল্যস্ফীতি চড়া রয়েছে। সেই তুলনায় ইউএস ডলারের দাম কম। ফলে সোনায় বিনিয়োগে ঝুঁকছেন ব্যবসায়ীরা। এছাড়া মুক্তবাজার অর্থনীতিতে অনেক দেশ এখন ডলার বাদ দিয়ে রিজার্ভ হিসেবে সোনা কিনে রাখছে। ফলে মূল্যবান ধাতুটির দাম বেড়ে চলেছে।
০১ এপ্রিল, ২০২৪

সোনা পাচারে নভোএয়ারের গাড়িচালক আটক
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৪০ পিস স্বর্ণবারসহ বেসরকারি এয়ারলাইন্স নভোএয়ারের গাড়িচালকসহ দুজনকে আটক করা হয়েছে। শনিবার (১৬ মার্চ) বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) ও জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) এ অভিযান পরিচালনা করেন। আটককৃতরা হলেন, নভোএয়ারের গাড়িচালক মো. হেলাল (৫১) এবং তার কাছ থেকে চোরাই সোনা নিতে আসা রিসিভার কামাল হোসেন (২৯)। জব্দ করা ৪০ স্বর্ণবারের ওজন চার কেজি ৬৪০ গ্রাম এবং এর বাজারমূল্য ৫ কোটি টাকা বলে জানিয়েছে এপিবিএন। বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক জানান, দীর্ঘদিন ধরে নভোএয়ারের গাড়িচালক হেলালকে নজরদারিতে রেখেছিল বিমানবন্দর এপিবিএন ও এনএসআই। ওই গাড়িচালক অন্যান্য দিনের মতো শনিবারও ডিউটিতে আসেন। এরপর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের আগমনী গেইট দিয়ে বের হন। তখনই এপিবিএন ও এনএসআই গোয়েন্দারা তাকে নজরদারিতে রাখেন। তিনি বলেন, একপর্যায়ে নভোএয়ারের গাড়িচালক হেলালকে ডমেস্টিক টার্মিনালের ড্রাইভওয়ে থেকে একজন সহযোগীসহ সিএনজিচালিত অটোরিকশায় উঠতে দেখা যায়। তখন গাড়িটি গতিরোধ করে দুজনকে এপিবিএন অফিসে নিয়ে আসা হয়। এপিবিএনের এ কর্মকর্তা বলেন, তাদের বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদের পর রিসিভার কামাল হোসেনের সঙ্গে থাকা কাঁধ ব্যাগের ভিতর থেকে কালো স্কচটেপে মোড়ানো ৪০টি সোনার বার পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদে রিসিভার কামাল হোসেন জানান, নোভো এয়ারের ড্রাইভার হেলাল তাকে এই সোনার বার দিয়েছেন। তিনি এগুলো নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে দিতে পারলে ১০ হাজার টাকা পেতেন। এপিবিএন কর্মকর্তারা বলেন, স্বর্ণগুলো কোথা থেকে পাচার করা হয়েছে, মূল মালিক কে এবং এগুলোর গন্তব্য কোথায় সে বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। আটক দুজনের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মামলা দায়ের করা হচ্ছে।
১৭ মার্চ, ২০২৪

মানিকগঞ্জে ৫ সোনা পাচারকারীর যাবজ্জীবন
মানিকগঞ্জে পাঁচ সোনা পাচারকারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন সিনিয়র স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের বিচারক। বুধবার (১৩ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে এই রায় দেন বিচারক জয়শ্রী সমদ্দার। এসময় প্রত্যেকে ৫০ হাজার অর্থদণ্ড করা হয়, অনাদায়ে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামিরা হলো ইয়াহইয়া আমিন সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া থানার লোহাকুড়া গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের ছেলে, শেখ আমীনুর রহমান যশোর জেলার ঝিকরগাছা থানার সংকরপুর গ্রামের মৃত শেখ মোজাম্মেল হকের ছেলে, মো. মনিরুজ্জামান রনি মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজৎ থানার নাগেরহাট গ্রামের আ. রহমান বেপারির ছেলে, শেখ জাহিদুল ইসলাম যশোর জেলার ঝিকরগাছা থানার সংকরপুর গ্রামের মৃত শেখ মোজাম্মেল হকের ছেলে, মো. জহিরুল ইসলাম তারেক লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ থানার জগৎপুর গ্রামের মো. আহম্মদ উল্লাহর ছেলে। রায়ের কপি থেকে জানা যায়, গত ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসের ৪ তারিখে ঢাকা থেকে মহাসড়ক হয়ে চোরাকারবারীরা স্বর্ণ নিয়ে বেনাপোল যাচ্ছে। এমন তথ্য পান র‌্যাব-২। পরে তারা ঢাকা আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জের তরা এলাকায় চেকপোস্ট স্থাপন করেন। ওই দিন বেলা ১১টার দিকে চেক পোস্টের সামনে বেনাপোলগামী একটি বাস আসলে তারা বাসটিকে সিগন্যাল দিয়ে থামায়। বাসের যাত্রীদেরকে নামতে বলেন। এসময় ৫ জন যাত্রী তাদের সামনে দিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে র‌্যাব তাদের ধরে ফেলে। পরে তাদের দেহ তল্লাশি করে ২২৭টি স্বর্ণের বার যাহার ওজন ৪৩.৭ কেজি (২৬৪৭৭ গ্রাম) উদ্ধার করেন। তারা জব্দ স্বর্ণের কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। এ ঘটনার পরের দিন ৫ আক্টোবর মানিকগঞ্জ সদর থানায় মামলা রুজু হয়। পরে এই মামলার তদন্ত ভার পান সদর থানার সাব-ইন্সপেক্টর মো. হারেস সিকদার। তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন ১৯ সালের ডিসেম্বর মাসের ১২ তরিখে। ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামিদের অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক এই রায় প্রদান করেন। এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অতিরিক্ত পি পি মথুর নাথ সরকার ও আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মো. নজরুল ইসলাম বাদশা। এই রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সন্তষ্টি প্রকাশ করলেও আসামিপক্ষের আইনজীবী উচ্চ আদালতে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
১৩ মার্চ, ২০২৪

সর্বকালের সর্বোচ্চ দরে সোনা
আন্তর্জাতিক বাজারে সর্বকালের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে সোনার দাম। শুক্রবার (৮ মার্চ) আরেক দফা বেড়ে প্রতি আউন্সের দর স্থির হয়েছে ২১৬৮ ডলার ২৮ সেন্টে। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে সিএনবিসির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়, আলোচ্য কার্যদিবসের শেষ ভাগে চাকরির তথ্য প্রকাশ করবে যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে চাউর হয়েছে, আগামী জুনে সুদের হার কমাবে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড)। ফলে বুলিয়ন বাজার আরও চাঙা হয়েছে। স্পট মার্কেটে বৈশ্বিক বেঞ্চমার্ক সোনার দাম শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে রেকর্ড উচ্চতায় গিয়ে ঠেকেছে। প্রতি আউন্সের দর স্থির হয়েছে ২১৬৮ ডলার ২৮ সেন্টে। দিনের শুরুতে যা ছিল প্রায় ২১৭১ ডলার।  একই দিনে ফিউচার মার্কেটে ইউএস বেঞ্চমার্ক সোনার মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ। আউন্সপ্রতি দাম নিষ্পত্তি হয়েছে ২১৭৫ ডলার ৫০ সেন্টে। এখন পর্যন্ত ইতিহাসে যা সবচেয়ে বেশি। অর্থাৎ এর আগে সোনার দর কখনো এত দেখেননি বিশ্ববাসী। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের শুরুতে বিশ্ববাজারে হু হু করে বাড়ছিল সোনার মূল্য। গত ৩ ডিসেম্বর লেনদেনের এক পর্যায়ে প্রতি আউন্সের দর দাঁড়ায় ২১৫২ ডলারে। সর্বকালে যা ছিল সর্বোচ্চ। এবার সেই নজিরও চুরমার হয়ে গেল। এক আউন্স সোনা ৩১ দশমিক ১০৩ গ্রামের সমান। বাংলাদেশে সোনা বিক্রি হয় ভরি হিসেবে। এক ভরি সোনায় হয় ১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম। সে হিসেবে এক আউন্স সোনা প্রায় তিন ভরি হয়।
০৮ মার্চ, ২০২৪

রাজধানীতে দোকান থেকে ১৯০ ভরি সোনা চুরি
রাজধানীর ফার্মগেটের সেজান পয়েন্ট মার্কেটের চতুর্থ তলায় দুটি জুয়েলারি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটে। দুটি দোকান থেকে প্রায় ১৯০ ভরি সোনার গয়না চুরি হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে দুজন চোর সেজান পয়েন্ট মার্কেটের পেছনের দোতলার বারান্দার গ্রিল ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়ে। পরে তারা সিঁড়ি বেয়ে চতুর্থ তলায় সরণি ও এলভি জুয়েলার্স দোকানের কলাপসিবলের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর তারা স্বর্ণালংকার নিয়ে যেখান দিয়ে এসেছিল, সেখান দিয়ে পালিয়ে যায়। শেরেবাংলা নগর থানার ওসি আবদুল আহাদ বলেন, এলভি জুয়েলার্স থেকে প্রায় ৪০ ভরি ও সরণি জুয়েলার্স থেকে প্রায় ১৫০ ভরি স্বর্ণালংকার চুরি হয়েছে। মার্কেটের সামনে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা (সিসি) থাকলেও পেছনে কোনো ক্যামেরা নেই। ফুটেজে মার্কেটের বারান্দায় দুজনকে হাঁটতে দেখা গেছে। তারা হেলমেট পরা অবস্থায় ছিল। তিনি বলেন, দুই দিন আগে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে সেজান পয়েন্টের মার্কেটের পেছনে ক্যামেরা বসাতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা মার্কেটের পেছনে কোনো সিসি ক্যামেরা বসাননি। মার্কেটের পেছনে সিসি ক্যামেরা থাকলে চোর শনাক্ত করা সহজ হতো। এ ঘটনায় বুধবার (৬ মার্চ) রাতে শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। তবে এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
০৬ মার্চ, ২০২৪

শারজাহ থেকে আসা বিমানে ২ কোটি টাকার সোনা জব্দ
চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে ১ কোটি ৭ লাখ ৩৪ হাজার টাকা মূল্যের ১ কেজি ১৪০ গ্রাম সোনাসহ মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম নামে  এক যাত্রীকে আটক করেছে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)।  শনিবার (২ মার্চ) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তাকে আটক করা হয়। আটক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম শারজাহ থেকে চট্টগ্রামে এসেছিলেন। শাহ আমানত বিমানবন্দরের কাস্টমসের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মহিউদ্দিন পাটোয়ারী কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ থেকে এয়ার এরাবিয়া এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজ শনিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এই যাত্রীকে প্রথমে তল্লাশি করে ছেড়ে দেয় বিমানবন্দর কাস্টমস। বিমানবন্দরের কর্মরত এনএসআই টিমের সদস্যদের সন্দেহ হলে ওই যাত্রীর ব্যাগেজ আবারও তল্লাশি করা হয়। পরে ব্যাগেজের ভেতরে থাকা ওয়াশ মেশিনের ভেতর থেকে সোনার চালানটি জব্দ করা হয়।  এনএসআই সূত্র জানায়, জব্দ সোনার চালানটি বিমানবন্দর শুল্ক গোয়েন্দার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এদিকে শনিবার সকাল পৌনে ৭টার দিকে শারজাহ থেকে একই বিমানে মোহাম্মদ মোরশেদের ব্যাগেজের ভেতরে থাকা কোভ্যাক্স হাই প্রেসার ওয়াশার মেশিন থেকে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা মূল্যের ১ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের সোনার পিণ্ড উদ্ধার করেছে বিমানবন্দর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।  এ বিষয়ে পতেঙ্গা থানার ওসি মো. কবিরুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, শুল্ক গোয়েন্দা সংস্থার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা জাহিদ হাসান লিমন বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা ও বিমানবন্দর কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা উজ্জ্বল মন্ডল একটি মামলা করেন। দুটি মামলার মধ্যে একটি প্রক্রিয়াধীন বলে জানান ওসি।
০২ মার্চ, ২০২৪

লাভজনক হওয়ায় রাজশাহীতে বাড়ছে কালো সোনা খ্যাত বীজ পেঁয়াজের চাষ
দামে ভালো ও লাভজনক হওয়ায় প্রতি বছরই রাজশাহীতে বাড়ছে কালো সোনা খ্যাত পেঁয়াজের কদমের (বীজ) চাষ। এ বছর রাজশাহীতে পেঁয়াজ বীজের চাষ বেড়েছে ১২ হেক্টর জমিতে।  রাজশাহী কৃষি অফিস বলছে, পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ায় বীজ চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা। তুলনামূলকভাবে বীজের দাম বেশি থাকে বাজারে। চাষিরা জানান, গত বছর পেঁয়াজের বীজ বাজারে বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার টাকা কেজি দরে। রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, রাজশাহী জেলায় এবার ২৭০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের বীজ চাষ করা হয়েছে। এ থেকে ২০০  টনের বেশি বীজ উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে। এ ছাড়া গত বছর পেঁয়াজের বীজের চাষ হয়েছিল ২৫৮ হেক্টর জমিতে। এসব উৎপাদিত বীজ জেলার চাহিদা মিটিয়ে অন্য জেলায়ও সরবরাহ করা হয়ে থাকে। এ বছর রাজশাহী জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজের (কদম) চাষ হয়েছে দুর্গাপুর উপজেলায়। এই উপজেলায় পেঁয়াজ বীজের চাষ হয়েছে ১০৫ হেক্টর জমিতে। এ ছাড়া জেলার উপজেলাগুলোর মধ্যে গোদাগাড়ীতে ৮৫ হেক্টর, পুঠিয়া উপজেলায় ৭০ হেক্টর, পবা, মোহনপুর, বাগমারা, চারঘাট ও বাঘা উপজেলায় পেঁয়াজের বীজের চাষ হয়েছে ৫ থেকে ১০ হেক্টর জমি করে। মোহনপুর উপজেলার জাহানাবাদ ইউনিয়নের কৈইকুড়ি এলাকায় ১০ কাঠা জমিতে এই পেঁয়াজের বীজের চাষ করেছেন মো. কলিম খাঁ। তিনি বলেন, এ বছর পেঁয়াজের (কদম) রোগবালাই দেখা দিয়েছে। ঘন ঘন কীটনাশক স্প্রে করতে হচ্ছে। পেঁয়াজের ফুলকা শুকিয়ে যাচ্ছে। ফলে ঝুঁকি বাড়ছে ফলন নিয়ে। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি বৈশাখ মাসে শিলাবৃষ্টি নিয়ে। শীলাবৃষ্টি হলে পেঁয়াজের কদম নষ্ট হয়ে যায়।   তিনি বলেন, এই পেঁয়াজের কদম জমিতে থাকবে চার মাস। এ ছাড়া যখন জমিতে পেঁয়াজের চাষ করা হয়েছিল তখন তিনি বীজ পেঁয়াজ কিনেছিলেন চার হাজার টাকা দরে। গত বছরও পেঁয়াজ কদমের চাষ করেছিলেন তিনি। পেঁয়াজের বীজ বিক্রি হয় চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা কেজি দরে। দাম ভালো, লাভ হয় ভালো। পেঁয়াজের কদমের বীজ চাষিদের কাছে ‘কালো সোনা’ হিসেবে পরিচিত। অন্য সব ফসলের চেয়ে বেশি দাম হওয়ায় চাষিদের কাছে এটি সোনার মতো। দুর্গাপুর উপজেলার জমির উদ্দিন চাষ করেছিলেন পেঁয়াজের বীজ। গত বছর এক বিঘা জমিতে চাষ করে লাভবান হয়েছিলেন তিনি। তাই এ বছর দেড় বিঘা জমিতে করেছেন পেঁয়াজ বীজের চাষ। তিনি বলেন, গত বছর বীজ বিক্রি করে লাভ হয়েছিল ৮৫ হাজার টাকা। তাই এ বছর নিজের ও লিজ নেওয়া জমিতে চাষ করেছি পেঁয়াজ বীজের। এক বিঘা জমিতে তার সব মিলিয়ে খরচ হয়েছিল ৫৮ হাজার টাকা। এই ফসলের পরিচর্যা বেশি লাগে। পরিচর্যার অভাব হলে ফলন কমে যাবে। সময় মতো কীটনাশক দিতে হবে। দুর্গাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কুন্তলা ঘোষ কালবেলাকে বলেন, এ উপজেলায় গত বছরের তুলনায় এ বছর পেঁয়াজ বীজের উৎপাদন বেড়েছে। লাভজনক ও আবহাওয়া অনুকূল থাকায় কৃষকরা পেঁয়াজ বীজে উৎপাদনে ঝুঁকছেন। আমরা উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের এ পেঁয়াজ বীজে চাষের পরামর্শ দিয়ে থাকি। রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মোজদার হোসেন বলেন, পেঁয়াজের ফুলকে সবাই কদম বলে থাকে। এই কদম থেকে পেঁয়াজের বীজ হয়। গত বছর বেশ ভালো দাম পেয়েছিলেন চাষিরা। তাই এই বছর বেড়েছে পেঁয়াজ বীজের চাষ।  পেঁয়াজের বীজ চাষে মৌমাছির পরাগায়ন নিয়ে নতুন চাষিদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়াও সাদা কাপড়ের মাধ্যমে পরাগায়ন ঘটানোর কথা বলেছি। এতে বীজ ভালো মানের ও বেশি ফসল উৎপাদন হবে।
০২ মার্চ, ২০২৪

মাটি খুঁড়ে মিলল অর্ধকোটি টাকার সোনা
খালি মাঠের এক পাশে ঝোপঝাড়। পুলিশ হঠাৎ এসে সেই ঝোপের ভেতরে খুঁড়তে শুরু করে মাটি। তারপর একে একে বেরিয়ে আসতে শুরু করে সোনার কানের দুল, হাতের বালা, চুরি, গলার হারসহ আরও কত কি! সবমিলিয়ে উদ্ধার হয় ৫১ ভরি সোনা। বর্তমান বাজার দর হিসেবে যার মূল্য প্রায় অর্ধকোটি টাকা। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে ৫১ ভরি সোনা উদ্ধারের কথা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোস্তাফিজুর রহমান।  এর আগে গত শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে এই সোনা চুরিতে জড়িত থাকার অভিযোগে ৬ আসামিকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে সদরঘাট থানা পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি দেশীয় পাইপ গান, ৪টি ধারালো ছোরা ও ২টি তালা ভাঙার সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলো- মো. আরিফ হোসেন, মো. শরীফ, মেহেদি হাসান রুবেল, মো. সাইদুল ইসলাম রিগ্যান, মো. হান্নান ও মো. রিয়াদ হোসেন।  পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডাকাতির প্রস্তুতির সময় ৬ জনকে অস্ত্রসহ আটক করে পুলিশ। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে মেহেদি হাসান জানায়- কিছুদিন আগে নগরের মেহেদিবাগ এলাকা থেকে বেশকিছু সোনা চুরি করেছিল, যা আগ্রাবাদ এলাকায় একটি খালি মাঠের ঝোপের আড়ালে মাটির নিচে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। পরে পুলিশ এসব সোনা উদ্ধার করে।  সিএমপি উপপুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে নগরের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তার ৬ আসামির মধ্যে দুজন চোরাই হওয়া সোনার বিষয়ে জানায়। তাদের স্বীকারোক্তি অনুসারে তাদের নিয়ে সোনা উদ্ধারের অভিযানে ডবলমুরিং থানার বারেক বিল্ডিং মোড় এলাকার কনকর্ড গ্রুপের খালি জায়গায় থাকা ঝোঁপের মধ্যে মাটির নিচ থেকে প্রায় ৫২ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়। 
১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X