বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) তিন আসরের সম্ভাব্য তারিখ আগেই জানিয়েছিল বিসিবি। সে অনুযায়ী সর্বশেষ আসর সাফল্যের সঙ্গেই শেষ করেছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। তবে আগামী আসর ঘিরে নিরাপত্তাজনিত চ্যালেঞ্জের সামনে পড়তে হচ্ছে আয়োজকদের। জাতীয় নির্বাচনের পরপরই টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে চাওয়ায় এমন শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
তবে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে টুর্নামেন্টটি সফলভাবে আয়োজনের আশা গভর্নিং কাউন্সিলের। আগের নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী আগামী বছর জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে মাঠে গড়ানোর কথা বিপিএলের দশম আসর। একই সময় হতে যাচ্ছে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সে কারণে ১০ জানুয়ারি বিপিএল শুরু করার ভাবনা আয়োজকদের। গতকাল বিসিবিতে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এমনটাই জানিয়েছেন বিসিবির পরিচালক ও বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক।
তিনি বলেছেন, ‘আমরা ১০ তারিখা বা এর আগে-পরে একটা ভালো তারিখ দেখে বিপিএল শুরু করব। জানুয়ারিতে শুরু করে আবার ফেব্রুয়ারিতেই শেষ করতে হবে। কারণ, শ্রীলঙ্কা সিরিজ আছে।’
টুর্নামেন্ট সামনে রেখে সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহেই প্লেয়ার্স ড্রাফট শেষ করার পরিকল্পনা তাদের। এতে করে দলগুলো গুছিয়ে ওঠার জন্য সময় পাবে বলেও মনে করেন বিসিবির এ পরিচালক। ইতোমধ্যে দলগুলোকে সেভাবেই সবকিছু জানিয়েছে বোর্ড। সবকিছু ঠিক থাকলেও নির্বাচন-পরবর্তী রাজনৈতিক অস্থিরতার শঙ্কা তো আছেই। আগের বছরগুলোতে এমনটা দেখা গেছে।
এতে করে বিপিএলের নিরাপত্তা কতটা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে, তা নিয়ে মল্লিক বলেছেন, ‘নির্বাচনের পরপর করতে গেলে আপনারা জানেন বিপিএলে কিন্তু প্রতিটি সিকিউরিটি এজেন্সি জড়িত থাকে। শুধু যে বাংলাদেশ পুলিশই নয়, গোয়েন্দা সংস্থাগুলো থাকে, র্যাব থাকে এবং আন্তর্জাতিক সিরিজের মতোই নিরাপত্তা দিতে হয়। সেদিক থেকে চিন্তা করলে তো একটা বিরাট চ্যালেঞ্জ।’ ইতোমধ্যে নিরাপত্তায় জড়িত বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে আলাপ করে সবুজ সংকেত পেয়েছে বিসিবি। সে কারণে অনেকটাই আশাবাদী মল্লিক, ‘আমরা যখন উনাদের সঙ্গে আলাপ করছি, উনাদের সাজেশনগুলোকে নিয়েই আমরা কাজ করছি। আশা করি, খুব বড় চ্যালেঞ্জ হবে না, আমরা কাটিয়ে উঠতে পারব। আমাদের প্রস্তুতি আছে, অসুবিধা হবে না।’
কতটা প্রস্তুত বিপিএল গভর্নিং কমিটি, সেটি সময়ই বলে দেবে। তবে আপাতত চ্যালেঞ্জের কথা মাথায় রেখেই পরিকল্পনা সাজাচ্ছে তারা।
মন্তব্য করুন