শেষ সুযোগ। হোয়াইটওয়াশ এড়াতে এই ম্যাচই ভরসা বাংলাদেশের। আর সেই ম্যাচে ব্যাট হাতে রীতিমতো আগুন ঝরালেন পারভেজ হোসেন ইমন। তার ৩৪ বলে ৬৬ রানের ঝড়ো ইনিংস ও তানজিদ হাসানের কার্যকরী শুরুতে পাকিস্তানের সামনে দাঁড়িয়ে গেল বিশাল লক্ষ্য—১৯৬ রান।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষটিতে টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। কিন্তু তাদের সেই সিদ্ধান্ত যে কতটা ভুল ছিল, তা বোঝাতে ইমন-তানজিদের ব্যাটই যথেষ্ট।
উড়ন্ত সূচনা এনে দেন তানজিদ হাসান ও পারভেজ হোসেন ইমন। উদ্বোধনী জুটিতেই আসে ১১০ রান মাত্র ১০.৪ ওভারে। ইমন তুলে নেন ২৭ বলে অর্ধশতক, শেষ পর্যন্ত তিনি করেন ৩৪ বলে ৭ চার ও ৪ ছক্কায় ৬৬ রান। তানজিদও খেলেন ৩২ বলে ৪২ রানের কার্যকর ইনিংস।
উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর মিডল অর্ডারে লিটন দাস (১৮ বলে ২২) ও হৃদয়ের (১৮ বলে ২৫) ব্যাটে স্কোর এগিয়ে যেতে থাকে। তবে এক পর্যায়ে দ্রুত উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে টাইগাররা। ১৭.৫ ওভারে ১৭২ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে কিছুটা ছন্দ হারায় দলটি।
শেষ দিকে জাকের আলী (৯ বলে অপরাজিত ১৫) ও তানজিম সাকিব (৩ বলে অপরাজিত ৮)-এর ছোট কিন্তু কার্যকর ইনিংসে আবার গতি ফিরে আসে রানে।
পাকিস্তানের পক্ষে সবচেয়ে সফল ছিলেন হাসান আলী ও আব্বাস আফ্রিদি, দুজনই নেন ২টি করে উইকেট। তবে ব্যাটসম্যানদের দাপটে সব বোলারই ছিলেন খরুচে। ফাহিম আশরাফ ৪ ওভারে দেন ৪১ রান, শাদাব খান ৩ ওভারে ২৬ রান দিয়ে পান ১ উইকেট। সাইম আইয়ুব ও আব্রার আহমেদের ইকোনমি ছিল যথাক্রমে ১২ ও ১৩.৫০।
বাংলাদেশ ২০ ওভারে তুলেছে ১৯৬ রান, যা সিরিজে তাদের সর্বোচ্চ স্কোর। এখন সব চাপ পাকিস্তানের ব্যাটারদের কাঁধে।
হোয়াইটওয়াশ এড়াতে এবার প্রয়োজন বোলারদের একসঙ্গে জ্বলে ওঠা। পাকিস্তান কি পারবে এই পাহাড় ডিঙাতে, নাকি বাংলাদেশ ফিরবে সম্মানজনক এক জয় নিয়ে—উত্তর দেবে দ্বিতীয় ইনিংস।
মন্তব্য করুন