জাকির হাসান, মাহমুদুল হাসান জয়, জাকের আলী অনিকরা যখন প্রস্তুতি নিচ্ছেন শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে। তখন শ্রীলঙ্কার বিমান ধরেন তাদের সতীর্থ মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, নাঈম হাসান, নাহিদ রানারা। দলের একটি অংশ আজ লঙ্কার উদ্দেশে রওনা দেন, বাকিরা যাচ্ছেন আগামীকাল দুপুরের ফ্লাইটে। কিন্তু দেশ থেকে প্রস্তুতি কেমন নিলেন তারা! সে প্রশ্নের একটা উত্তর দিতে পারে ম্যাচ সিনারিও প্রস্তুতিতে। যেখানে ব্যাটারদের পারফরম্যান্স পুরোনো ক্ষতের মতোই। ব্যর্থতা, ব্যর্থতা আর ব্যর্থতা।
প্রথম দিন লাল দলের হয়ে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে না পারার আক্ষেপ ছিল নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন দাসদের। দ্বিতীয় দিন সবুজ দলের হয়ে খেলা জাকির, জয়, জাকের আলী অনিক, শেখ মেহেদীদেরও পারফরম্যান্স ঠিক একই দেখা মিলল। পুরো একাদশের কেউই ৪০ ও ছুঁতে পারেনি। এক সেশনের মতো খেলা হলেও ৯ উইকেটে ১৪৮ রান করে সবুজ দল। ফ্লাইটের জন্য আগেই চলে যাওয়াতে ব্যাটিং করা হয়নি নাঈমের। পরে ম্যাচটি ড্র হয়।
আগেই নির্ধারিত ছিল উভয় দলের ব্যাটাররা অন্তত এক ইনিংস পুরো খেলবেন। সেখান থেকেই একটা ফল আসবে। প্রথম দিন লাল দলের হয়ে খেলা মুমিনুল হকরা মোটামুটি রান পেয়েছিলেন। যদিও কোনো রান না করেই মুমিনুল রানআউট হওয়াতে দুবার ব্যাট করেন তিনি। বাকিরাও রান করেছিলেন বটে। কিন্তু সেভাবে ব্যাটারদের কাছ থেকে কোনো স্বস্তির পারফরম্যান্স দেখা যায়নি। স্কোয়াডের সবাই মোটামুটি ব্যর্থই বলা চলে। তবে বোলারদের মধ্যে মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, খালেদ আহমেদরা ছিলেন চেনা ছন্দে। তাইজুল প্রথম দিন যোগ দিতে না পারায় আজ ব্যাটারের ভূমিকায়ও নেমছিলেন মাঠে, কিন্তু কোনো বল খেলা হয়নি তার।
মন্তব্য করুন