২০২৭ সালের আইসিসি ওডিআই বিশ্বকাপের সরাসরি খেলার যোগ্যতার দৌড়ে বাংলাদেশের অবস্থান বেশ নড়বড়ে। বর্তমান আইসিসি ওডিআই র্যাঙ্কিং অনুযায়ী বাংলাদেশ ১০ নম্বরে রয়েছে, যেখানে সরাসরি বিশ্বকাপে র্যাঙ্কিংয়ের টপ ৮ দল এবং দুই স্বাগতিক দেশ (সাউথ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ে) খেলার সুযোগ পাবে, সেখানে ১০ নম্বরে থেকে মিরাজের দলের কোন লাভ হবে না।
২০২৭ বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার জন্য কাট–অফ তারিখ ৩১ মার্চ ২০২৭ অর্থাৎ তার আগে যে আটটি দল শীর্ষে থাকবে, তাদের সরাসরি সুযোগ নিশ্চিত। বর্তমানে ৭–১০ নম্বরের অবস্থান এমন:
অর্থাৎ, বাংলাদেশ এখনো সরাসরি খেলার বাইরে, তবে এখনই সবকিছু শেষ হয়ে যায়নি।
বাংলাদেশের সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ
আগামী দুই বছরে কাট অফ টাইমের আগে ফিক্সচারে বাংলাদেশ প্রচুর ওডিআই খেলবে। এফটিপি অনুযায়ী সেসব সিরিজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
*বাংলাদেশের এফটিপি ও ক্রিকশিডিউল অনুসারে ফলে সিরিজ পরিবর্তন বা সংযোজন হতে পারে।
উল্লেখ্য এই সিরিজগুলোই বাংলাদেশকে র্যাঙ্কিং উন্নয়নের সুযোগ দেবে। বিশেষ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হোম সিরিজ জয় এবং জিম্বাবুয়ে–আয়ারল্যান্ডে অ্যাওয়েতে জয় গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো ধারাবাহিকভাবে জিতলে ৮ নম্বরে উঠে সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। তবে এক্ষেত্রে টপ ৮ এ থাকা প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর দিকেও নজর দিতে হবে।
প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলো
বর্তমান র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশকে সরাসরি খেলার সুযোগ পেতে আফগানিস্তান, ইংল্যান্ড এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পেছনে ফেলা জরুরি। ফলে বাংলাদেশ দলগুলোর বিপক্ষে কোনও সিরিজে হোমে হার বা অ্যাওয়েতে ব্যর্থ হলে সরাসরি যোগ্যতা কঠিন হয়ে যাবে এবং তখন বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলে আসতে হবে।
তবে কি আশা আছে?
বাংলাদেশের জন্য সরাসরি খেলার সুযোগ আছে, কিন্তু পথ কঠিন। শীর্ষ–৮–এর মধ্যে প্রবেশের জন্য ২০২৫–২৬ সময়ে ধারাবাহিকভাবে সিরিজ জয় করা, বিশেষ করে হোম সিরিজে বড় ব্যবধানে জেতা এবং অ্যাওয়েতে হোঁচট না খাওয়া প্রয়োজন। অন্যথায়, বিশ্বকাপে পৌঁছানোর পথ কোয়ালিফায়ারের মাধ্যমেই হতে পারে।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ এখন এই সিরিজগুলোর উপর নির্ভর করছে। ফ্যানদের জন্য এটি একটি উত্তেজনাপূর্ণ সময়ে দাঁড়ানো, যেখানে প্রতিটি জয় ২০২৭ বিশ্বকাপের সরাসরি যোগ্যতার দিকে বড় ধাপ হতে পারে।
মন্তব্য করুন