কিউই ব্যাটার টিম রবিনসনের প্রথম আন্তর্জাতিক শতক ছিল চোখধাঁধানো। কিন্তু তার সেই লড়াই শেষ পর্যন্ত কোনো ফল বয়ে আনতে পারেনি নিউজিল্যান্ডের জন্য। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে কিউইদের দেওয়া ১৮২ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে অধিনায়ক মিচেল মার্শের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের কাছে সব ভেসে গেল। তার ঝোড়ো ৮৫ রানের ওপর ভর করে মাত্র ১৬.৩ ওভারে ৬ উইকেট হাতে রেখেই জয় তুলে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তিন ম্যাচের চ্যাপেল-হাডলি টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়েও গেল তারা।
টস জিতে বোলিং বেছে নিয়েই অস্ট্রেলিয়া শুরুতে দারুণ চাপ তৈরি করে। প্রথম দুই ওভারেই পড়ে যায় নিউজিল্যান্ডের তিন উইকেট—টিম সাইফার্ট (৪), ডেভন কনওয়ে (১) আর মার্ক চ্যাপম্যান (০) দ্রুত ফিরলে কিউইদের স্কোর দাঁড়ায় ৬/৩। তখনই দায়িত্ব নেন রবিনসন আর ড্যারিল মিচেল।
রবিনসন ধীরগতিতে শুরু করলেও শিগগিরই নিজের খোলস ছেড়ে বের হন। মার্কাস স্টয়নিস আর জেভিয়ার বার্টলেটকে টানা দুই ওভারে ছক্কা-চারে চেপে ধরেন। ৩১ বলে অর্ধশতক তুলে নেন তিনি। তার সঙ্গে মিচেলের ৬৭ রানের জুটিতে ১০ ওভারে নিউজিল্যান্ড ঘুরে দাঁড়ায় ৯৩/৩ এ। তবে ৩৪ রান করা মিচেল আউট হলে আবারও চাপ তৈরি হয়।
অস্ট্রেলিয়া অবশ্য মাঠে কিছু ভুল করেছিল—রবিনসনকে চারবার জীবন উপহার দেয় তারা। একবার মিসড স্টাম্পিং, তিনবার ক্যাচ ফেলে। সুযোগের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করেন কিউই ওপেনার। শেষ পর্যন্ত ৬ চার ও ৭ ছক্কায় অপরাজিত ১০৬ রানে থামেন তিনি, আর শেষ বলে ছক্কা মেরে দলকে নিয়ে যান ১৮১/৬ এ।
তবে সেই রান যথেষ্ট হয়নি। রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই মার্শ ঝড় তুললেন। প্রথম তিন ওভারে তিনটি বাউন্ডারি আর একটি ছক্কা মারেন তিনি। সঙ্গী ট্রাভিস হেডও ছিলেন সমান তেজে। মাত্র ৫ ওভারে অস্ট্রেলিয়া ছুঁয়ে ফেলে অর্ধশতক।
হেড (৩১) আউট হলেও কোনো চাপ তৈরি হয়নি। ম্যাট শর্ট এসে খেলেন ছোট্ট কিন্তু ঝলমলে ইনিংস। অন্যদিকে মার্শ মাত্র ২৯ বলে তুলে নেন হাফসেঞ্চুরি, যার মধ্যে টানা দুই ছক্কা ছিল ফোল্কসের বিপক্ষে। ১৫তম ওভারে মার্শ (৪৩ বলে ৮৫, ৯ চার ও ৪ ছক্কা) আউট হলেও তখন জয় কেবল সময়ের ব্যাপার। ১৬.৩ ওভারেই ৪ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্য পূর্ণ করে অস্ট্রেলিয়া।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নিউজিল্যান্ড: ১৮১/৬, ২০ ওভার (রবিনসন ১০৬*, মিচেল ৩৪; ডোয়ারশিয়াস ২-৪০)
অস্ট্রেলিয়া: ১৮৫/৪, ১৬.৩ ওভার (মার্শ ৮৫, হেড ৩১; হেনরি ২-৪৩)
ফল: অস্ট্রেলিয়া ৬ উইকেটে জয়ী, সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে।
মন্তব্য করুন