ভারত বিশ্বকাপের পর থেকে জাতীয় দলের কোচিং প্যানেল পুনর্গঠনের প্রক্রিয়ায় নামে বাংলাদেশ ক্রিকেটে বোর্ড-বিসিবি। এর অংশ হিসেবে চারটি পদের জন্য আন্তর্জাতিক বিজ্ঞপ্তিও দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা। জাতীয় দলের এই চাকরির জন্য আবেদন করেন দেশ-বিদেশের অনেক কোচ। লম্বা এই আবেদন প্রক্রিয়া শেষে অবশেষে বিসিবি চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ব্যাটিং ও বোলিং কোচের নাম।
সংক্ষিপ্ত তালিকায় থাকা কোচদের মধ্য থেকে বাছাইকৃতদের ইন্টারভিউ নেয় কোচ নিয়োগ কমিটি। ব্যাটিং কোচের জন্য স্টুয়ার্ট ল, থিলান সামারাভিরা ও ডেভিড হেম্পের নাম সুপারিশ করা হয়। আর মাহাবুব আলী জাকি, করি কলিমোর ও আন্দ্রে অ্যাডামসের নাম সুপারিশ করা হয় পেস বোলিং কোচ হিসেবে। এরমধ্য যাচাই বাচাই শেষে বাংলাদেশ জাতীয় দলের নতুন বোলিং কোচের দায়িত্ব পেয়েছেন আন্দ্রে অ্যাডামস। আর নতুন ব্যাটিং কোচ হয়েছেন ডেভিড হ্যাম্প। আজ এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
আগামী দুই বছরের জন্য উভয় কোচের সঙ্গে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আসন্ন ঘরের মাঠের সিরিজ দিয়ে দলের সঙ্গে কাজ শুরু করবেন তারা। আজ এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বিসিবি।
অবশ্য হেম্প বাংলাদেশের সাথে অপরিচিত নন। জাতীয় দলের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের পুলে আছেন তিনি। গত বছর ডিসেম্বরে জাতীয় দলের ভারপ্রাপ্ত ব্যাটিং কোচ হিসেবে নিউজিল্যান্ড সফরে যান তিনি। কাজ করেছেন হাইপারফরম্যান্স ইউনিট-এইচপিতেও। সেই হিসেবে ক্রিকেটারদের কাছে বেশ পরিচিত হেম্প। বারমুডার হয়ে ২২টি ওয়ানডেতে এক সেঞ্চুরিতে ৬৪১ রান করেছেন তিনি। ব্যাটিংয়ে তার গড় প্রায় ৩৪। দুটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তার রান ২০। শান্ত-লিটনদের ব্যাটিং টেকনিক ঠিক করার দায়িত্ব পাচ্ছেন তিনি।
জাতীয় দলের জন্য এইচপির পেস বোলিং কোচ কলিমোর ও জাকির চেয়ে অ্যাডামসকে বেশি ফিট মনে করছে বিসিবির বিশেষ কমিটি। ২০১৫ সালে খেলা ছেড়ে কোচিং পেশায় মনোনিবেশ করেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়া ঘরোয়া ক্রিকেটের দল নিউ সাউথ ওয়েলসের কোচ হিসেবে তার কোচিং ক্যারিয়ার শুরু। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে নিউজিল্যান্ড নারী দলের পেস বোলিং কোচের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। পেস বোলিং কোচ হিসেবে কিছু দিন দায়িত্ব পালন করেন কিউইদের জাতীয় দলেও।
৪২ ওয়ানডেতে ৫৩ উইকেট শিকার করেন অ্যাডামস। এ ছাড়া এক টেস্ট ও চারটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। ১৭৩ প্রথম শ্রেণীর ম্যাচে ৪ হাজার ৫৪০ রানের পাশাপাশি শিকার করেন ৬৯২ উইকেট। ১৬৫ লিস্ট এ ম্যাচে ১ হাজার ৫০৪ রান ও ২০৯টি উইকেট নেন তিনি। ইংলিশ কাউন্টিতে নটিংহ্যাম্পশায়ার, হ্যাম্পশায়ার ও এসেক্সে খেলেছেন নিউজিল্যান্ডের এই কোচ।
মন্তব্য করুন