

টানা হারের বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে ব্রাজিল। ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে টানা তিন ম্যাচে হেরেছে সেলেসাওরা। গত মাসে উরুগুয়ের বিপক্ষে শুরু হারের এই চক্র। আর চলতি মাসে কলম্বিয়া ও আর্জেন্টিনার কাছে হেরে অনেকটা খাদের কিনারায় পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের পয়েন্ট টেবিলের ছয় নম্বরে নেমে গেছে তারা। ফলে আগামী বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে ব্রাজিল সমর্থকদের। এখন প্রশ্ন হচ্ছে আসলেই কি ব্রাজিল সমর্থকদের এ নিয়ে চিন্তা করার প্রয়োজন রয়েছে।
গত বুধবার ঘরের মাঠ ঐতিহাসিক মারাকানায় আর্জেন্টিনার কাছে ১-০ গোলে হেরে যায় ব্রাজিল। ঘটনাবহুল এক ম্যাচে মাঠের খেলায় কোনো প্রভাব রাখতে পারেনি স্বাগতিকরা। উল্টো অতিরিক্ত ফাউল করার প্রবণতায় লাল এবং হলুদ কার্ড দেখতে হয় ব্রাজিলিয়ানদের।
এই হারের ফলে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের টেবিলে ছয় নম্বরে নেমে গেছে সেলেসাওরা। ফলে ২০২৬ বিশ্বকাপে ব্রাজিল খেলার সুযোগ পাবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের আরও ১২টি ম্যাচ বাকি। চলতি বছর আর কোনো খেলা নেই তাদের।
আগামী জুনে খেলতে হবে কোপা আমেরিকা। বাছাইপর্বের ম্যাচ আরও পরে, সেপ্টেম্বরে। আগামী বছর ৬টি এবং ২০২৫ সালে ব্রাজিলকে খেলতে হবে বাকি ছয়টি ম্যাচ। হাতে এখনও ১২টি ম্যাচ থাকায় বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে শঙ্কায় একথা বলা কঠিন। এছাড়া নতুন নিয়মের কারণে বিশ্বকাপে জায়গা পাওয়া নিয়ে কঠিন সমীকরণে পড়েনি ব্রাজিল। ৩২ দলের বিশ্বকাপে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলে থেকে চারটি দল সরাসরি বিশ্বকাপে খেলা সুযোগ পেত। পঞ্চম স্থানে থাকা দলকে খেলতে হতো প্লে অফ।
কিন্তু ২০২৬ বিশ্বকাপ হবে ৪৮ দল নিয়ে। এই অঞ্চল থেকে ছয়টি দল সরাসরি বিশ্বকাপে সুযোগ পাবে। সপ্তম স্থানে থাকা দলকে খেলতে হবে প্লে অফ। আপাতত পয়েন্ট টেবিলে ব্রাজিলের অবস্থান ছয় নম্বরে। ফলে এই অবস্থান ধরে রাখলে ২০২৬ বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করবে ব্রাজিল। যদিও এতে বাজে অবস্থায় থেকে বিশ্বকাপে যেতে চাইবে না আন্তর্জাতিক ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে সফল দলটি।
এদিকে ব্রাজিলের বাজে পারফরম্যান্সের পেছনে তিনটি কারণকে দায়ী মনে করা হচ্ছে। প্রথমত, নেইমারের ইনজুরি। তাকে ছাড়া এখনো মানিয়ে নিতে পারেনি ব্রাজিল। অন্য দায়টি চাপানো হচ্ছে দলটির কোচ ফার্নান্দো দিনিজের ওপর।
অন্তবর্তীকালীন কোচের নতুন পদ্ধতি মানিয়ে নিতে পারছেন না দলেটির তরুণ ফুটবলাররা। তৃতীয় কারণটি ধরা হচ্ছে বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার ১১ মাস পরও স্থায়ী কোচ নিয়োগ না দেওয়া। কারণ যাই হোক আপাতত অপ্রীতিকর এক আশঙ্কায় রয়েছে ব্রাজিলের সমর্থকেরা।
মন্তব্য করুন