দীর্ঘদিন ধরে পদ আগলে রাখার নজির রয়েছে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, টানা চার মেয়াদ (১৬ বছর) বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতির চেয়ার আগলে রেখেছেন কাজী মো. সালাহউদ্দিন।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) চিত্র একই। টানা ১২ বছর দায়িত্ব পালন করছেন সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। অন্যান্য ক্রীড়া ফেডারেশের চিত্র আরও ভয়াবহ। কোনো নির্বাচন দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাকদের চেয়ার ধরে রেখেছেন অনেকে।
ঠিক একইভাবে নির্বাচন ছাড়া এডহক কমিটি দিয়ে চলছে বাংলাদেশ মহিলা ক্রীড়া সংস্থা। সংস্কার, পরিবর্তন ও নির্বাচনের দাবিতে শনিবার (১০ জুলাই) সুলতানা কামাল মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে যান বাংলাদেশের ২১ নারী ক্রীড়াবিদ ও নারী সংগঠক।
জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত কামরুন নাহার ডানার নেতৃত্বে সব নারী ক্রীড়াবিদের দাবি দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিয়ে রাজনীতি মুক্ত করা হোক মহিলা ক্রীড়া সংস্থাকে। এ বিষয়ে মুঠোফোনে কালবেলাকে কামরুন নাহার ডানা বলেন, ‘২০১৭ সালের ৩ মার্চ এডহক কমিটি গঠন করার সময় বলা হয়েছিল- দ্রুত নির্বাচন দেওয়া হবে। কিন্তু সেটা (নির্বাচন) দেওয়া তো দূরের কথা, গড়িমসি করতে করতে ৭ বছর কাটিয়ে দিয়েছে মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি মাহবুব আরা গিনি (সাবেক সংসদ সদস্য)।’
এ রাজনীতিকরণের কারণে নারীদের খেলাধুলার উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান কামরুন নাহার ডানা। তিনি বলেন, ‘আমি যখন দায়িত্বে (সাধারণ সম্পাদক) ছিলাম, তখন মাঠে নিয়মিত খেলা ছিল। কিন্তু গত ৭ বছরে কোনো খেলার আয়োজন করা হয়নি। নতুন কোনো নারী খেলোয়াড় উঠে আসেনি। দিন দিন পিছিয়ে যাচ্ছেন নারী ক্রীড়াবিদরা। দ্রুত এ সমস্যার সমাধান প্রয়োজন।’
তার দাবি শুধু মহিলা ক্রীড়া সংস্থা নয় দেশের পুরো ক্রীড়াঙ্গনের চিত্র একই। এ সময় তিনি বেশ কয়েকটি ফেডারেশনের কথা উল্লেখ করেন, ‘পুরো দেশের ক্রীড়াঙ্গন একটি মহলের দখলে। ৩০ বছর ধরে ভলিবল দখল করে আছে মিকু (আশিকুর রহমান মিকু), কোহিনুর (আসাদুজ্জামান কোহিনুর) হ্যান্ডবল দখল করে আছে ৩৬ বছর ধরে। পালোয়ান (তাবিউর রহমান পালোয়ান) ৫০ বছর চেয়ার আগলে রাখছে। তাও লোক দেখানো নির্বাচনের মাধ্যমে এরা দীর্ঘদিন তাদের চেয়ার আগলে রাখছে। এগুলোর পরিবর্তন হওয়া উচিত।’
এর আগে বাংলাদেশ মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সংস্কার চান তিনি।