আগামী জানুয়ারি মাসেই তাইওয়ানে প্রেসিডেন্ট ও সংসদ নির্বাচনের ভোট। নির্বাচনকে সামনে রেখে শুরু হয়েছে জোর প্রচারণা। ভোট যত এগিয়ে আসছে তাইওয়ান ঘিরে সামরিক তৎপরতা তত জোরদার করে চলেছে চীন। আজ শনিবারও (২৩ ডিসেম্বর) স্বশাসিত এই দ্বীপটির পাশে চীনা যুদ্ধবিমান ও যুদ্ধজাহাজ শনাক্ত করেছে তাইপে। খবর রয়টার্সের।
চীন ও তাইওয়ানের বিরোধ বেশ পুরোনো। গত চার বছরে তাইপে ও বেইজিংয়ের মধ্যে এই বিরোধ আরও বেড়েছে। গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত দ্বীপ অঞ্চলটিকে নিজেদের অংশ হিসেবেই মনে করে চীন। এমনকি প্রয়োজন হলে বল প্রয়োগের মাধ্যমে তাইওয়ানকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করার কথা জানিয়ে রেখেছে বেইজিং।
আগামী ১৩ জানুয়ারি তাইওয়ানে প্রেসিডেন্ট ও সংসদ নির্বাচনের ভোট হবে। ভোটার টানতে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দল—দুপক্ষই জোর প্রচারণায় নেমেছে। চীনের সঙ্গে তাইওয়ানের সম্পর্ক এই নির্বাচনের অন্যতম বিতর্কিত একটি বিষয়।
বেইজিংয়ের সঙ্গে ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টির সম্পর্ক তেমন ভালো না হলেও প্রধান বিরোধী দল কুওমিনতাং ঐতিহ্যগতভাবে চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের নীতি মেনে চলে আসছে। এমনকি নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় আসলে চীনের সাথে পুনরায় আলোচনা শুরু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দলটি।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শনিবার দুপুর দেড়টার পর থেকে চীনা জে-১০, জে-১১ ও জে-১৬ যুদ্ধবিমান শনাক্ত করেছেন তারা। ১০টি যুদ্ধবিমান তাইওয়ান প্রণালির মধ্যরেখা অতিক্রম করেছে বা কাছাকাছি অঞ্চলে এসেছে। এসব বিমান যুদ্ধজাহাজের সঙ্গে মিলে যৌথ টহল পরিচালনা করেছে। এই মধ্যরেখা এতদিন দুপক্ষের অনানুষ্ঠানিক সীমান্ত হিসেবে কাজ করত। তবে এখন চীনা যুদ্ধবিমান নিয়মিত এই রেখা অতিক্রম করছে।
সাম্প্রতিক সময়ে তাইওয়ান ঘিরে সামরিক তৎপরতা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি চীনা কর্তৃপক্ষ। তবে এর আগে তারা জানিয়েছিল, তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতাবাদী ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যোগসাজশ প্রতিরোধ ও চীনের আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় তাদের মহড়ার লক্ষ্য।
মন্তব্য করুন