রাশিয়ার ভাড়াটে সেনা হিসেবে পরিচিত ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভগিনি প্রিগোজিনকে নিয়ে ধোঁয়াশা কাটছেই না। শুরুতে তার মৃত্যুর খবর বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানালেও পরে দাবি থেকে সরে আসে। তবে এখনও বিষয়টি পুরো খোলাসা হয়নি। এবার প্রিগোজিনের মৃত্যু নিয়ে নতুন তথ্য দিয়েছে রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম সারগ্রাদ টিভি। প্রতিষ্ঠানটি নিজস্ব সূত্রের মাধ্যমে জানিয়েছে, বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহতদের মধ্যে ওয়াগনারের প্রধান প্রিগোজিন ছিলেন। প্রাথমিকভাবে তার মরদেহ শনাক্ত হয়েছে। তবে এখনো ডিএনএ টেস্টের কাজ বাকি রয়েছে।
এর আগে রুশ বিমান বাহিনীর বরাতে একই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে বিধ্বস্ত হওয়া ওই বিমানে ছিলেন প্রিগোজিন। তিনি পুতিনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলেন। তবে তা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বেলারুশের প্রেসিডেন্টের হস্তক্ষেপে বতিল করেন প্রিগোজিন।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিধ্বস্ত হওয়া ওই বিমানে সাতজন আরোহী ও তিনজন ক্রু ছিলেন। দুর্ঘটনায় তারা সবাই নিহত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, রাশিয়ার মস্কোর টিভের অঞ্চলে একটি বেসরকারি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ১০ আরোহী নিহত হয়েছেন। বুধবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে টিভের অঞ্চলের কুজেনকিনো গ্রামের কাছে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। বিধ্বস্ত হওয়া ওই বিমানে রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাদল ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনও ছিলেন বলে আশঙ্কা করেছিল রুশ সরকারি বার্তা সংস্থা তাস। এরপর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে রুশ বিমান বাহিনী।
এদিকে মস্কোর এই বিমান বিধ্বস্তের ঘটনার পেছেনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের হাত থাকতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, ‘(রাশিয়ায়) কী ঘটেছে, তা আমি জানি না। তবে আমি আশ্চর্য হয়নি। রাশিয়ায় এমন কিছু ঘটে না, যেখানে পুতিনের হাত নেই।’
মন্তব্য করুন