ইরানের সাত নাগরিক ও তেহরানসংশ্লিষ্ট ১৩টি প্রতিষ্ঠানকে নতুন করে নিষেধাজ্ঞার আওতায় এনেছে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় (ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব দ্য ট্রেজারি)। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের ‘স্পেশালি ডিজাইনেটেড ন্যাশনালস’ (এসডিএন) তালিকায় এ তথ্য জানা যায়। খবর শাফাক নিউজের।
মার্কিন ট্রেজারির অফিস অব ফরেন অ্যাসেটস কন্ট্রোল (ওএফএসি) জানায়, নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত সব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান দ্বিতীয় পর্যায়ের নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে। তাদের মধ্যে অনেকেই তেহরানভিত্তিক সাইরাস অফশোর ব্যাংক ও রানসি এক্সচেঞ্জ সিস্টেম কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত, সেগুলোকেও তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ব্যাংকের বিরুদ্ধে ইরানের অস্থিতিশীল কর্মকাণ্ডে সহায়তা করা আর্থিক লেনদেন পরিচালনা করার অভিযোগ রয়েছে।
এ ছাড়া ইরানের পাসারগাদ আরিয়ান ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি কোম্পানির (ফানাপ) সঙ্গে যুক্ত বেশকিছু প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানও নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছে। এর মধ্যে রয়েছে— আরিয়ান পাসারগাদ কমিউনিকেশনস অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি ইকোসিস্টেম ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি, ফানাপ ইনফ্রাস্ট্রাকচার, আর্মান কিশ ডাটা কমিউনিকেশনস, আরভান্দ আরিয়ান পেমেন্ট কোম্পানি (ফানাপ টেক) এবং পাসারগাদ ইলেকট্রনিক পেমেন্ট সার্ভিসেস।
ওএফএসি আরও জানায়, কেশম আরিয়ান দাতিস সফটওয়্যার কোম্পানি, রাশিদ সামানেহ ইলেকট্রনিক প্রসেসিং কোম্পানি ও বারিদ ফানাভার আরিয়ানকেও (বারান টেলিকম) নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ অনুযায়ী, এসব প্রতিষ্ঠান ইরানের নজরদারি ও ব্যাংকিং অবকাঠামো শক্তিশালী করতে ভূমিকা রেখেছে।
এর আগে মার্কিন ট্রেজারি ইরানের এয়ারক্রাফট ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রিয়াল কোম্পানির সঙ্গে কাজ করার অভিযোগে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান ও একজন ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। এই সংস্থাটি সামরিক বিমান ও গোপন “আবাবিল” ড্রোন তৈরির প্রকল্পে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।
মন্তব্য করুন