ফিলিস্তিনিদের অতর্কিতে হামলায় ভড়কে গেছে ইসরায়েল। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন এই হামলা নিয়ে গোয়েন্দাদের কাছে কোনো তথ্য আগে থেকে পাওয়া গেল না কেন? ফিলিস্তিনিরা কীভাবে বিভিন্ন ইসরায়েলে হামলার পর এক ব্রিফিংয়ে ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সের (আইডিএফ) মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিচার্ড হেচট বলেছেন, হামাসের যোদ্ধারা প্যারাগ্লাইডার ব্যবহার করে স্থল, সমুদ্র ও আকাশপথে গাজা থেকে ইসরায়েলে প্রবেশ করেছে।
হেচটের তথ্যমতে ইসরায়েলের যেসব জায়গায় যুদ্ধ হচ্ছে তা হলো, এরেজ ক্রসিং, নাহাল ওজ, ম্যাগেন, কিবুতজ বিরি, রেহিম সেনা ঘাঁটি, জিকিম সেনা ঘাঁটি এবং ফার আজ্জ।
তবে ইসরায়েলিদের কাছে এমন ভয়াবহ হামলা নিয়ে গোয়েন্দাদের কোনো তথ্য ছিল কিনা তা বারবার এড়িয়ে যান হেচট। যুদ্ধের জন্য ইসরায়েল প্রস্তুত কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ইসরায়েল এমন একটি রাষ্ট্র যেটি যুদ্ধের সবসময় প্রস্তুত থাকে।
গোয়েন্দা ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও এখুনি এ নিয়ে তদন্তে নামার অবস্থা নেই ইসরায়েলের। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সীমান্তবর্তী ইসরায়েলি বসতিতে ঢুকে পড়েছে হামাস যোদ্ধারা। তারা সেখানকার অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের জিম্মি করে রেখেছে। তাদের উদ্ধারের প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। তবে, কমান্ডো অভিযানে জিম্মিদের উদ্ধার করা হবে নাকি আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধান করা হবে, তা নিশ্চিত করতে পারেনি মন্ত্রণালয়। ধারণা করা হচ্ছে, শেষ পর্যন্ত জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে পারে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন।
এদিকে, হামলার পর নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। জানান, তারা এখন যুদ্ধের মধ্যে আছেন। সে সময় শত্রুদের বিরুদ্ধে ভয়াবহ প্রতিশোধ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এর পরপরই অবরুদ্ধ গাজার ২২টি স্থানে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। হামলা থেকে রক্ষা পায়নি হাসপাতালের মতো স্পর্শকাতর স্থাপনাও। সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, শনিবারের এ হামলায় অন্তত ১০০ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। পাল্টা হামলায় প্রাণ গেছে ২০০’রও বেশি ফিলিস্তিনির।
মন্তব্য করুন