ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন ঐতিহাসিকভাবে অনিবার্য হয়ে পড়েছে। আরটিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই বলেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ।
ল্যাভরভ বলেন, ‘ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন ঐতিহাসিকভাবে অনিবার্য।’ তিনি উল্লেখ করেন, গাজা উপত্যকা নিয়ে বর্তমান যে সংকট চলছে প্রতিবেশী ইসরায়েল তাতে যথাযথ মনোযোগ দিচ্ছে না।
ল্যাভরভ দুই দেশের শত্রুতা বন্ধ করা এবং মানবিক সমস্যা সমাধানের ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, ‘তাৎক্ষণিক ও সবচেয়ে জরুরি কাজ হলো শত্রুতা বন্ধ করা এবং মানবিক সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা নেওয়া।
এক মাসের বেশি সময় ধরে চলছে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ। পুরো বিশ্বে এখন এই যুদ্ধ নিয়ে হিসাব-নিকাষ, আলোচনা। যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে এই লড়াইয়ে ইসরায়েলকে সর্বাত্মক সহযোগিতার ঘোষণা দিয়েছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর নজরও এখন এই সংকটের দিকে।
ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে রাশিয়ার বেশ ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। একই সাথে পুতিনের দেশের সম্পর্ক রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম শক্তিশালী দেশ ইরানের সঙ্গেও। যুক্তরাষ্ট্রের মতে, বর্তমানে মস্কো ও তেহরানের পূর্ণ মাত্রায় প্রতিরক্ষা অংশীদারত্ব রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জেমস মার্টিন সেন্টার ফর নন-প্রোলিফারেশন স্টাডিজের রাশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষজ্ঞ হান্না নোট্টের মতে, রাশিয়া সরাসরি ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের অস্ত্র সরবরাহ করেছে বা সামরিক প্রশিক্ষণ দিচ্ছে, এমনটা সত্য নয়। তবে এটা সত্য যে, ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের সঙ্গে রাশিয়ার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক রয়েছে। রাশিয়া কখনো ফিলিস্তিনি সশস্ত্র যোদ্ধাদের সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করেনি এবং নিকট ভবিষ্যতে এমনটা করবে বলে মনে হয় না।
মন্তব্য করুন