ফিলিস্তিন ইসরায়েল যুদ্ধের পর থেকে অস্থিতিশীল লোহিত সাগর। গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার জবাবে দলটি অব্যাহতভাবে এ নৌপথে জাহাজে হামলা চালিয়ে আসছে। এবার তাদের ঠেকাতে নতুন পদক্ষেপের কথা জানান দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বৃহস্পতিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল জানিয়েছেন, লোহিত সাগর ও এডন উপসাগরে ইয়েমেনিদের রুখতে ব্লকের সব পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা নতুন চুক্তি করতে চলেছে। এ অঞ্চলে আগামী ১৯ জানুয়ারির বৈঠকে জাহাজকে সুরক্ষা দিতে তারা নৌ মিশন পরিচালনার ব্যাপারে চুক্তি করতে পারেন।
ইইউর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৭টি দেশ ইতোমধ্যে জাহাজ ও বিমান সহায়তা দেওয়ার জন্য সম্মত হয়েছে। এরমধ্যে বেলজিয়াম ও জার্মানি ফ্রিগেট দিতে সম্মত হয়েছে। বহুল ব্যবহৃত এ নৌপথে জাহাজ চলাচলে হুতিদের হামলার জবাব দিতে তারা এ পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছে।
এর আগে হুতিরা যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের রণতরীতে হামলার ব্যাপারে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এমন সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের পদক্ষেপের কথা জানান দিয়েছে।
হুতিরা জানিয়েছে, তারা এবার লোহিত সাগরে মার্কিন ও ব্রিটিশদের রণতরীতে হামলা চালাতে পারে। আত্মরক্ষার জন্য এ হামলা চালানো হবে বলে জানিয়েছিল গোষ্ঠীটি।
এক বিবৃতিতে হুতিদের মুখপাত্র জানান, আমেরিকা ও ব্রিটিশ রণতরী এ আগ্রাসনে অংশ নিয়েছে। তারা দেশটিকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে আসছে। দলটি মার্কিন রণতরী ইউএসএস গ্রেভলিকে লক্ষ্য করে মঙ্গলবার ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে।
উল্লেখ্য, ১২ জানুয়ারি থেকে ইয়েমেনে হামলা শুরু করেছে মার্কিন জোট। ওই দিন আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের অবস্থান লক্ষ্য করে ইয়েমেনে হামলা চালানো শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।
হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ইয়েমেনের বেশ কয়েকটি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জলপথে চলাচলের স্বাধীনতাকে বিপন্ন করায় ‘আমার নির্দেশে’ হামলা চালানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন