ওশেনিয়া মহাদেশের দেশ পাপুয়া নিউগিনিতে জাতিগত সহিংসতায় অন্তত ৬৪ জন নিহত হয়েছেন। নিহতের এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা।
স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে পোস্ট কুরিয়ার পত্রিকা জানিয়েছে, রোববার ভোরে এঙ্গা প্রদেশের ওয়াপেনামান্দা জেলায় এ হত্যাকাণ্ড শুরু হয়। এতে অ্যাম্বুলিন, সিকিন উপজাতির পাশাপাশি তাদের মিত্ররা জড়িয়ে পড়েন। এই সহিংসতার পর সোমবার সকাল পর্যন্ত রাস্তা, মাঠ ও ওয়াপেনামান্দার পাহাড় থেকে প্রায় ৬৪টি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পাপুয়া নিউগিনির সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা জর্জ কাকাস বলেছেন, এটি এঙ্গা প্রদেশে আমার দেখা সবচেয়ে বড় হত্যাকাণ্ড। সম্ভবত পাপুয়া নিউগিনির সব উঁচু অঞ্চলের সবচেয়ে বড় সহিংসতা।
তিনি বলেন, আমরা সবাই বিধ্বস্ত। আমরা সবাই মানসিকভাবে চাপে আছি। এটা মেনে নেওয়া সত্যিই কঠিন।
এই ঘটনার পরপর ঘটনাস্থলে ১০০ জনের মতো সেনা মোতায়েন করেছে দেশটির সামরিক বাহিনী। তবে সেখানে তাদের প্রভাব সীমিত। কেননা সেনা সংখ্যা খুব কম এবং তাদের অস্ত্রও বেশ সেকেলে।
রাজধানী পোর্ট মোরেসবিতে বিরোধীদলীয় নেতারা ওই এলাকায় আরও সেনা মোতায়েনসহ দ্রুত পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, ‘আমরা সরকারকে অবিলম্বে এই নির্বোধ সহিংসতার জন্য বন্দুক এবং গুলি কোথা থেকে আসছে তা নিশ্চিত করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’
এ দিকে পাপুয়া নিউগিনির এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ। সোমবার এক রেডিও সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, পাপুয়া নিউগিনি থেকে যেসব খবর আসছে, তা খুবই আশঙ্কাজনক। আমরা তাদের যথেষ্ট সহায়তা প্রদান করছি, বিশেষ করে পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ও নিরাপত্তা খাতে।
মন্তব্য করুন