কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:২০ এএম
অনলাইন সংস্করণ

ডিজিটাল গেরিলা ইমরানের তুরুপের তাস

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ছবি : সংগৃহীত
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ছবি : সংগৃহীত

পাকিস্তানের এবারের সাধারণ নির্বাচনে ‘ডিজিটাল গেরিলা’ ছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের তুরুপের তাস। প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও ইমরান খানের বিস্ময়কর জয়ের পেছনে বড় অবদান রেখেছে দলটির প্রযুক্তিনির্ভর ‘গেরিলা প্রচারণা।’

২০২৩ সালে ইমরান খান গ্রেপ্তার ও তার দলের শীর্ষ নেতারা আত্মগোপনে চলে যান। এই অবস্থা থেকে ফিরে আসার নেপথ্যে রয়েছেন দলটির সোশ্যাল মিডিয়া প্রধান জিবরান ইলিয়াস।

ইলিয়াসের প্রথম তুরুপের তাসটি ছিল ইমরান খানের ‘ভার্চুয়াল জনসভা’। জেলে বন্দি ইমরান খানের লেখা বক্তৃতা, পুরোনো বক্তৃতার ফুটেজ এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহার করে তৈরি করা হয় নতুন একটি ভাষণ। মাসের পর মাস ইমরান খানের চেহারা না দেখার পরও এই ভাষণটিতে প্রথম তাকে কথা বলতে দেখা যায়, এতে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন পিটিআই সমর্থকরা।

বারবার ইন্টারনেটের সমস্যা হয় ভাষণটি প্রচারের সময়ে, তবুও এর প্রভাব ছিল সুদূরপ্রসারী। ১৭ ডিসেম্বর প্রচার করা এই ভাষণটি ছিল পিটিআইয়ের প্রথম ভার্চুয়াল জনসভা। এই সাফল্যের পর থেকে নির্বাচনী প্রচারণায় জোরেশোরে প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করে পিটিআই।

এরপর এক পর্যায়ে ইমরান খানের দলের প্রতীক ‘ক্রিকেট ব্যাট’ বাতিল করে দেওয়া হয়। পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের কাছে ইমরান খান বেশ জনপ্রিয়। দেশটির সাধারণ মানুষ ইমরান খানের ছবি আর তার প্রতীক ‘ক্রিকেট ব্যাট’ দেখেই ভোট দেয়। কিন্তু এবার ইমরানের দলের প্রচারণার প্রতীক ‘ক্রিকেট ব্যাট’ বাতিল করে দেওয়া হয়, অর্থাৎ তা ব্যবহার করে কেউ নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবে না।

এতে প্রশ্ন দেখা দেয়, তাহলে পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা কী প্রতীক ব্যবহার করবেন আর ভোটাররা তা জানবেনই কী করে? পাকিস্তানে সাক্ষরতার হার ৬০ শতাংশেরও কম, তাই ভোটে জিততে হলে প্রতীক বা মার্কার পরিচিতি থাকা খুবই জরুরি। এই সমস্যা সমাধানেও ইলিয়াস অভিনব এক পন্থা বের করেন। একটি অনলাইন পোর্টাল খোলা হয়। সেখানে আসনের নাম লিখলেই চলে আসে ওই আসনে পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীর নাম ও তার নির্বাচনী প্রতীক।

রাষ্ট্রীয় ধরপাকড় ও বিভিন্ন রকমের হয়রানির মাঝে এসব প্রার্থীদের প্রচারণা ব্যহত হতে থাকে। তাদের সাঁটানো পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়, জনসভায় জড়ো হতে বাধা দেওয়া হয়, বাড়ি বাড়ি হয়ে গণসংযোগেও বিঘ্ন ঘটানো হয়। ফলে পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীরা ‘ভার্চুয়াল’ প্রচারণার দিকে আরও বেশি ঝুঁকে পড়েন।

পাকিস্তানের সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গেছে, ২৬৫ আসনের মধ্যে ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সর্বোচ্চ ৯৬টি আসন পেয়েছেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭৫টি আসন পেয়েছে নওয়াজ শরীফের পিএমএল-এন। আর তৃতীয় সর্বোচ্চ ৫৪টি আসন পেয়েছে বিলাওয়াল ভু্ট্টোর পিপিপি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নরসিংদী জেলা সাংবাদিক সমিতি, ঢাকা’র নতুন কমিটিকে সংবর্ধনা

কেইনের হ্যাটট্রিকে লেইপজিগকে উড়িয়ে দিল বায়ার্ন

নিখোঁজের একদিন পর যুবকের মরদেহ মিলল পুকুরে

বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের ড্রয়ের তারিখ ঘোষণা করলেন ট্রাম্প

এশিয়া কাপ দলে জায়গা পেয়ে সোহানের কৃতজ্ঞতার বার্তা

ঘুষ কেলেঙ্কারিতে পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার

প্রবীণদের বিশেষ যত্ন নিয়ে বার্ধক্যের প্রস্তুতি নিন: স্বাস্থ্য সচিব

বিভুরঞ্জন সরকারের মৃত্যু অনাকাঙ্ক্ষিত: রাষ্ট্রদূত আনসারী

লা লিগার কাছে যে অনুরোধ করতে চায় বার্সা

‘নির্বাচনে আমলাদেরকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে গ্রহণযোগ্যতার প্রমাণ দিতে হবে’

১০

সাবেক এডিসি শচীন মৌলিক কারাগারে

১১

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকা আসছেন শনিবার, যেসব বিষয়ে আলোচনা

১২

সিদ্ধিরগঞ্জে হেফাজতে ইসলামের শানে রিসালাত সম্মেলন

১৩

শেষ দিনেও ‘জুলাই সনদ’ নিয়ে মতামত দেয়নি ৭ রাজনৈতিক দল

১৪

ইউরোপের লিগগুলোতে দল কমানোর প্রস্তাব ব্রাজিল কোচ আনচেলত্তির

১৫

নেপালে মার্কিন কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠকের প্রচার, তাসনিম জারার ব্যাখ্যা

১৬

মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে মৃত্যুর মিছিল, তিন বছরে প্রাণ হারান ১৮৩ জন

১৭

স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি 

১৮

সুদ দিতে না পারায় বসতঘরে তালা, বারান্দায় রিকশাচালকের পরিবার

১৯

দেশ বাঁচাতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতে হবে : চরমোনাই পীর

২০
X