কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৯ মে ২০২৪, ১২:৩৯ পিএম
আপডেট : ২৯ মে ২০২৪, ০১:১০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে বেনজীর ও আজিজ প্রসঙ্গ

সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ ও সাবেক পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদ। ছবি : কালবেলা
সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ ও সাবেক পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদ। ছবি : কালবেলা

দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে সম্প্রতি বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আলোচনা হচ্ছে সাবেক পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদের ব্যাপক দুর্নীতি নিয়েও।এবার এই বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।

মঙ্গলবার (২৮ মে) পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পরও জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ ব়্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (ব়্যাব) সদস্যদের নিয়োগ অব্যাহত থাকা নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।

ম্যাথিউ মিলারকে প্রশ্ন করা হয়, ডয়েচে ভেলে ও সাডেচ সায়েতিংসহ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ব়্যাবের বর্তমান এবং সাবেক সদস্যরা নিয়মিতভাবেই জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োগ পাচ্ছেন। চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে যুক্তরাষ্ট্র যেখানে ব়্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, সেই র‌্যাব সদস্যদের শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োগ অব্যাহত রয়েছে, সে বিষয়ে আপনারা কতটা উদ্বিগ্ন?

জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, এই রিপোর্টগুলো সম্পর্কে আমরা অবগত। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে শান্তিরক্ষা মিশন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে। জাতিসংঘের যে যথাযথ নীতিমালা রয়েছে, সেটা মেনে শান্তিরক্ষা মিশনে যারা নিয়োগ পাবে, তারা যেন মানবাধিকারের সুরক্ষার পক্ষে থাকে তা নিশ্চিত করাটা জরুরি।

তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘের এ-সংক্রান্ত নীতিমালা অনুসারে, সংস্থাটি চায় শান্তিরক্ষা মিশনে যেসব দেশ তাদের পুলিশ এবং সেনাসদস্যদের পাঠাবে, সেসব দেশই নিশ্চিত করবে তাদের পাঠানো সদস্যরা মানবাধিকার লঙ্ঘন সংশ্লিষ্ট কোনো ঘটনায় জড়িত নয়।

অপর এক প্রশ্নে সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ এবং পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে জানতে চাওয়া হয়, যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সংস্থা অন্যকোনো দেশে এই দুজনের সম্পদের খোঁজ পেয়েছে কি না, পেয়ে থাকলে সেগুলো জব্দ করা হয়েছে কি না?

জবাবে মিলার বলেন, আপনার প্রথম প্রশ্ন প্রসঙ্গে বলছি, আমার কাছে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে বলার মতো কিছু নেই। দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে- যেসব অভিযোগ এবং মিডিয়া রিপোর্টের তথ্যসমূহ আপনি এখানে তুলে ধরেছেন আমরা সে বিষয়ে অবগত।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের কড়া অবস্থানের কথা উল্লেখ করে মার্কিন মুখপাত্র বলেন, একটা বিষয়ে আমাদের অবস্থান খুব স্পষ্ট। আমরা বিশ্বাস করি যে দুর্নীতির কারণে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ব্যাহত হয়, উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়, স্থিতিশীলতা ব্যাহত হয় এবং গণতন্ত্র খর্ব হয়।

যুক্তরাষ্ট্র দুর্নীতিবিরোধী পদক্ষেপ প্রসঙ্গে মিলার বলেন, আমরা দুর্নীতি দমনকে জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে রেখেছি। বিশদ এই নীতির পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে শীর্ষ পর্যায়ের কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এ নিয়ে এখন ঘোষণা করার মতো কিছু নেই। কারণ আপনি জানেন, নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আগে আমরা আগাম ঘোষণা করি না।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

‎সম্পূরক বৃত্তি ও জকসু নীতিমালা অনুমোদনের দাবিতে জবিতে অবস্থান কর্মসূচি

পুকুরপাড়ে গিয়ে মা দেখেন, ২ সন্তান পুকুরে ভাসছে

বিএনপি পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের পক্ষে নয় : মির্জা ফখরুল

কারিগরি ত্রুটিতে অনলাইন জিডি বন্ধ

মুক্তিপণ না পেয়ে শিশু তামিমকে হত্যার অভিযোগ, আটক ২

৫ ধরনের ব্যক্তির জন্য পেঁপে খাওয়া বিপজ্জনক

থেমে আছে পাতাল মেট্রোরেলের কাজ 

আল আকসা মসজিদ নিয়ে ভয়ংকর পরিকল্পনা

‘নির্বাচনে জনগণের কাছে যেতে হবে’

ইভ্যালির গ্রাহকদের প্রায় ১৩ কোটি টাকা ফেরত দিয়েছে নগদ

১০

গাছে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় ফেরিওয়ালাকে নির্যাতন 

১১

দেবের সঙ্গে সানি লিওনের ভিডিও ফের ভাইরাল

১২

ভারত ভ্রমণে দ্বিতীয় শীর্ষে বাংলাদেশ, প্রথম কোন দেশ

১৩

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা আটক

১৪

সব ধরনের বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে : প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা

১৫

নতুন চুক্তিতে কেমন বেতন পাবেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা?

১৬

বড় ভাইয়ের কাঁধে চড়ে নদী পার হচ্ছিল নাজিম, অতঃপর...

১৭

ক্রিকেটারদের সঙ্গে বিসিবির ৩ ঘণ্টার বৈঠকে কী আলোচনা হল?

১৮

যুক্তরাজ্য থেকে আসবে ৩ কার্গো এলএনজি

১৯

২৫ মিলিয়ন ডলারের চুরি করা গোলাপি হীরা উদ্ধার দুবাই পুলিশের

২০
X