গত মঙ্গলবার থেকেই দেশজুড়ে বইছে শৈত্যপ্রবাহ। কিন্তু তীব্র ঠান্ডা উপেক্ষা করে দর্শনার্থীরা ভিড় করেছেন ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা প্রাঙ্গণে। মেলার দ্বিতীয় দিনে দেখা মিলেছে সব বয়সী দর্শনার্থীর। তবে এবার বাণিজ্য মেলা সাজানো হয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জুলাই ও আগস্টের পটভূমিতে। অভিবাদন জানাতেও প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে তরুণ সমাজকেই।
সরেজমিন দেখা যায়, মেলার মূল ভবনের মাঝ বরাবর করা হয়েছে তারুণ্যের বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন। গতকাল বৃহস্পতিবার স্টলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভিড় ছিল এই প্যাভিলিয়নে। সেখানে ৫২-এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে তরুণ নেতৃত্বে ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের বিভিন্ন বই, ছবিসহ নানা রকম গ্রাফিতি আঁকা হয়েছে। প্যাভিলিয়নটির মূল প্রতিপাদ্য রাখা হয়েছে ‘যুব জনশক্তি আনবে নতুন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি’। এ ছাড়াও লেখা আছে, ‘এদেশের বুকে আঠারো আসুক নেমে, অরুণ প্রাতের তরুণ দলসহ’ নানা উক্তি। আরও আছে ২৪ ও ৩৫ চত্বর নামে দুটি চত্বর। প্যাভিলিয়নটিতে সবচেয়ে বেশি ভিড় ছিল তরুণ ও যুব ছেলে-মেয়েদের। এবারের মেলায় মোট ৩৬১ স্টল রয়েছে। আর দর্শনার্থীদের যাতায়াতের জন্য বিআরটিসির শাটল বাস রাখা হয়েছে ২শটি।
মাসুদ পারভেজ নামে এক দর্শনার্থী বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়েছে। মেলায় এসে দেখলাম মূল পটভূমি তরুণ প্রজন্মকে উৎসাহিত করতে করা হয়েছে। আলামিন নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, কয়েকজন বন্ধু মিলে মেলায় ঘুরতে এসেছি। তরুণরা চাইলে যে দেশে অনেক কিছু পরিবর্তন সম্ভব, তারই প্রমাণ তারুণ্যের বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন।
ঢাকার উত্তরা থেকে ছেলে নিয়ে বাণিজ্য মেলা ঘুরতে এসেছেন সোহেল মিয়া। তিনি তার ছেলেকে বোঝাচ্ছিলেন, তরুণরাই পারে বিশ্বকে পরিবর্তন করতে। তারুণ্যের বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন ঘুরতে ঘুরতে তিনি জানান, প্রথমদিকে ভিড় কম থাকবে বলে ছেলেকে নিয়ে বেড়াতে এলাম।
বাণিজ্য মেলার পরিচালক বিভেক সরকার কালবেলাকে বলেন, তরুণ সমাজকে বিনিয়োগে আগ্রহী করে তুলতে তারুণ্যনির্ভর বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নটি নির্মাণ করা হয়েছে। তরুণ সমাজ আমাদের অহংকার। তারাই পারে দেশকে এগিয়ে নিতে।