সরকার প্রবর্তিত সর্বজনীন পেনশন স্কিম কার্যকর ও সময়োপযোগী একটি উদ্যোগ বলে মনে করেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সভাপতি ব্যারিস্টার সামীর সাত্তার।
তার মতে, সরকারের এ জনবান্ধব উদ্যোগটি দেশের অর্থনীতিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। সমাজের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক নিরাপত্তা, বিশেষ করে বেসরকারি খাতে কর্মরত, প্রবাসী, অনানুষ্ঠানিক খাত এবং নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য প্রগতি, প্রবাসী, সুরক্ষা ও সমতা নামে চার প্যাকেজের মাধ্যমে দেশের বিপুল জনগোষ্ঠীকে এ কর্মসূচির আওতায় আনা হবে। গতকাল রোববার এক বিবৃতিতে এ মত প্রকাশ করেন ডিসিসিআই সভাপতি।
সমতা স্কিমের আওতায় স্বল্প আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ৫০ শতাংশ চাঁদা সহায়তার উদ্যোগ খুবই ইতিবাচক বলে মনে করেন সামীর সাত্তার। ঢাকা চেম্বার বিশ্বাস করে, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা এবং আর্থিক কৃচ্ছ্রসাধনের মতো পরিস্থিতিতে সর্বজনীন পেনশন স্কিম আমাদের অর্থনীতিতে অর্থ প্রবাহ বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এ কর্মসূচি সমাজের নিম্ন আয়ের মানুষের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি দারিদ্র্যবিমোচন করবে। এটি আগামী বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ ও ব্যয় কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
ডিসিসিআই সভাপতি সামীর সাত্তার বলেন, এর মাধ্যমে বেসরকারি খাতও উপকৃত হবে। এ উদ্যোগ ব্যাংক খাত থেকে সরকারের ঋণ নেওয়ার প্রবণতা কমাবে। সেইসঙ্গে সরকারের আর্থিক চাহিদা পূরণে নতুন আর্থিক উৎস সৃষ্টি করবে। এ ছাড়া বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ বাড়ানোর পাশাপাশি বিদেশি ঋণ গ্রহণ কমাবে। এতে দেশের জিডিপিতে বিনিয়োগের অংশীদারত্ব বাড়বে। বেসরকারি খাতের জন্য প্রতিযোগী মূল্যে অর্থ প্রাপ্তিতেও সহায়তা করবে। একই সঙ্গে স্থানীয় বৃহৎ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি প্রগতি স্কিমের আওতায় এমএসএমই খাতে কর্মরত জনগোষ্ঠীর বার্ধক্যকালীন সামাজিক ও আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, কানাডা, আইসল্যান্ড, সুইজারল্যান্ডসহ পৃথিবীর অনেক উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে এ ধরনের জনবান্ধব উদ্যোগ রয়েছে। এ ধরনের কর্মসূচি পরিচালনায় উল্লিখিত দেশগুলোর অভিজ্ঞতার আলোকে আমাদের সর্বজনীন পেনশন স্কিম কার্যকরভাবে পরিচালনার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির বহুলপ্রত্যাশিত রূপান্তর বেগবান হবে।
মন্তব্য করুন