অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত হয়েছে দিনব্যাপী বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পবিষয়ক সম্মেলন। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) উদ্যোগ এবং অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের সহযোগিতায় গত মঙ্গলবার এ সম্মেললেন আয়োজন করা হয়। এতে সহযোগী পার্টনার ছিল এইচএসবিসি ব্যাংক। গত বুধবার পরারাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে অংশ নেন তৈরি পোশাক শিল্পের ক্রেতা, বিক্রেতা, সরবরাহকারী, উন্নয়ন সহযোগী এবং অস্ট্রেলিয়া সরকারের নীতিনির্ধারকসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রায় ১৩০ জন।
সম্মেলনের শুরুতে প্লিনারি সেশন এবং দুটি প্যানেল আলোচনায় বক্তারা তাদের মতামত তুলে ধরেন। প্যানেল আলোচনার শিরোনাম ছিল ‘অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ বাণিজ্য : পরবর্তী দশকের পথ চলার পরিকল্পনা’ এবং ‘টেকসই উপাদান : ভবিষ্যৎ ফ্যাশন সৃষ্টিতে ইএসজির সহযোগিতা।’ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান। এ সময় তিনি বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের সম্ভাবনা এবং সরবরাহ ব্যবস্থার স্বচ্ছতা, দায়িত্বশীল সোর্সিং এবং নৈতিক উৎপাদন পদ্ধতিসহ গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরেন। অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম আল্লামা সিদ্দিকী দুই দেশের মধ্যকার ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক যোগাযোগের বিষয়টি তুলে ধরেন। সেইসঙ্গে এ সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে দ্বিপক্ষীয় বিনিয়োগ ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নে জোর দেন। কেমার্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইয়ান বেইলি বাংলাদেশের সামাজিক ও পরিবেশগত উন্নয়নের প্রশংসা করেন। তিনি সংশ্লিষ্ট শিল্পবিষয়ক তথ্য-উপাত্ত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে তৈরি পোশাক শিল্পের সরবরাহ ব্যবস্থার দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতার ওপর জোর দেন। তিনি বাংলাদেশের দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্তরের কারখানাগুলোকে প্রথম স্তরে উন্নয়নের বিষয়ে তার মতামত তুলে ধরেন। অস্ট্রেলিয়ার সরকারের চিফ হুইপ জোয়ান রায়ান সম্মেলনের শেষ অধিবেশনে দুই দেশের জনগণ ও অর্থনীতির জন্য সহায়ক নীতির ক্ষেত্রে সহায়তার আশ্বাস দেন।
মন্তব্য করুন