বিশ্ববেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

কে এই নীরা ট্যান্ডেন

কে এই নীরা ট্যান্ডেন

যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্রেটিক পার্টির শীর্ষ গবেষণা প্রতিষ্ঠানে ফিরছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান নারী নীরা ট্যান্ডেন। ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর আমেরিকান প্রোগ্রেস (সিএপি) গত বৃহস্পতিবার এ-সংক্রান্ত ঘোষণা দেয়। দুই দশকের বেশি সময় আগে প্রতিষ্ঠিত গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির ঘোষণা অনুযায়ী, নীরা সিএপির প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) দায়িত্বে ফিরবেন। নীরা এমন একসময়ে সিএপির নেতৃত্বের দায়িত্ব গ্রহণ করছেন, যখন অনেক ডেমোক্র্যাট দাতা মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছেন। তারা দলের জন্য তহবিল দিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন।

অন্যদিকে গত নভেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির কাছে পরাজিত ডেমোক্রেটিক পার্টির অবস্থাও এখন দুর্বল। বর্তমান রিপাবলিকান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মোকাবিলা করার মতো কোনো বলিষ্ঠ, সুস্পষ্ট ডেমোক্র্যাট নেতা এখন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না। জনগণের ভোটের রায়ে ক্ষমতা হারানোর পর রাজনীতির মাঠে জোরালোভাবে ফিরে আসার জন্য সুসংগত বার্তা তৈরির ক্ষেত্রে ডেমোক্র্যাট নেতারা এখন হিমশিম খাচ্ছেন। ডেমোক্রেটিক পার্টি ভোটারদের মধ্যে তার অবস্থান পুনরুদ্ধার করতে চায়, ট্রাম্পকে শক্তভাবে মোকাবিলা করতে চায়।

এমন পটভূমিতে ডেমোক্রেটিক পার্টির অন্যতম প্রভাবশালী গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির হাল ধরতে যাচ্ছেন নীরা। তিনি ট্রাম্পের কড়া সমালোচক হিসেবে পরিচিত। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রে তার বিরুদ্ধে সবচেয়ে সোচ্চার কণ্ঠস্বর ছিলেন সিএপির নীরা। বিদায়ী ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনে যোগ দেওয়া আগে সিএপির প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) দায়িত্বে ছিলেন নীরা। তিনি বাইডেনের অভ্যন্তরীণ নীতিবিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেন। দায়িত্বের অংশ হিসেবে তিনি হোয়াইট হাউসের অভ্যন্তরীণ নীতিবিষয়ক কাউন্সিলের নেতৃত্ব দেন।

এর আগে নীরা প্রেসিডেন্ট বাইডেনের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ও হোয়াইট হাউসের স্টাফ সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বাইডেনসহ বিভিন্ন ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারেও কাজ করেন নীরা। এ ছাড়া সাবেক ডেমোক্র্যাট মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ও বারাক ওবামার প্রশাসনে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।

সিএপিতে নতুন করে ফিরে আসার বিষয়ে নীরা এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইতিহাসের এ সংকটময় সময়ে গবেষণা প্রতিষ্ঠানটিতে যোগ দিতে পেরে তিনি রোমাঞ্চিত। আগের ধারাবাহিকতায় সিএপি একটি স্থিতিস্থাপক জোট গড়ে তোলার জন্য এজেন্ডা তৈরি করবে। আমেরিকার মৌলিক মূল্যবোধের ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের আক্রমণ মোকাবিলা করবে। একই সঙ্গে মার্কিনিদের জীবনের সব স্তরে এই আক্রমণের ক্ষতি মোকাবিলা করা হবে। নীরার এ বিবৃতি গতকাল সিএপির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

এদিকে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, নীরা বলেছেন, ডেমোক্র্যাটদের এখন শুধু ট্রাম্পের বিরুদ্ধে লড়াই করারই সময় নয়, ২০২৬ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচন ও ২০২৮ সালের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে নিজেদের নিজস্ব ধারণাগুলো জনগণের সামনে তুলে ধরার সময়ও এখন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

চাকরি ছেড়ে বিনামূল্যে মানুষের ঘরবাড়ি পরিষ্কার করছেন তরুণী

৩৫ বলে সোহানের সেঞ্চুরি, হেসেখেলে জিতল বাংলাদেশ

ই-ক্লাব ফ্যামিলি নাইটসে গাইলেন কণা 

বেতার শিল্পী আফরোজা নিজামীর পাশে দাঁড়ালেন তারেক রহমান

হিরো আলম গ্রেপ্তার হওয়ায় যা বললেন রিয়ামনি

‘ইয়েস, ইটস নাও অফিসিয়াল’

সেতুতে চলে না যান, কৃষক শুকায় খড় আর ধান

বাংলাদেশ ম্যাচের জন্য শক্তিশালী দল ঘোষণা ভারতের

ছয় মাসে যা খেয়ে ওজন কমালেন স্বস্তিকা

রামপুরায় তরুণদের উদ্যোগে ‘Buc Café’ উদ্বোধন

১০

ধূমপান ছাড়লে শরীরের কী হয় জানুন

১১

সড়কে ডাকাতি প্রতিরোধে পুলিশ কাজ করছে : ডিআইজি শাহজাহান

১২

শাকিব নিজেই জানালেন হানিয়ার সঙ্গে একটা মুভির কথা হচ্ছে

১৩

হিরো আলম গ্রেপ্তার

১৪

প্রথমে যা দেখলেন, তাই বলবে আপনি জাজমেন্টাল মানুষ কি না

১৫

বিএনপিতে বিভেদ সৃষ্টি করে একটি দল ফায়দা নিতে চায় : মির্জা ফখরুল

১৬

ইসলামিক ফিন্যান্সের ভিত্তি সুদৃঢ় করতে ঢাকায় বসছে নীতিনির্ধারক ও বিশেষজ্ঞদের সামিট

১৭

‘ঈশ্বর আমাদের সবচেয়ে বড় আশীর্বাদ দিয়েছেন’

১৮

আসিফ ইমরানের পাশে জনপ্রিয় ব্র্যান্ড ‘ফ্রেশ’

১৯

মরদেহের পায়ে নাম লেখা, নেপথ্যে কী

২০
X