মাদারীপুরে দলীয় অনুষ্ঠানে ইউএনও উপস্থিত থাকায় সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার সর্বস্তরের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খান।
গত শুক্রবার উপজেলা আসমত আলী খান অডিটোরিয়ামে এ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। পরে নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রীতিভোজে অংশ নেন তিনি। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিম শাহীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য আ ফ ম ফুয়াদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপমা ফারিসা, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক (একাংশ) সাহাবুদ্দিন শাহা মিয়া, আসিবুর রহমান খানসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান-মেম্বার, আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এই অনুষ্ঠানে রাজৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপমা ফারিসা উপস্থিত থাকায় সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে ইউএনওর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
তবে এরই মাঝে একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, একটি অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান এমপিকে ফুল দিয়ে বরণ করছেন কয়েকজন আওয়ামী লীগের নেতা। সঙ্গে ইউএনও উপমা ফারিসাও ফুল দিচ্ছেন। পেছনে ব্যানারে লেখা রয়েছে ‘মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়’।
এ ব্যাপারে আইনজীবী ইব্রাহিম মিয়া বলেন, সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা ১৯৭৯-এর ২৫ উপবিধি (সংশোধিত) ২০০২ সালের সংশোধিত বিধি মোতাবেক কোনো সরকারি কর্মচারী কোনো রাজনৈতিক দলের বা দলের অঙ্গসংগঠনের সদস্য হতে বা কোনোভাবে যুক্ত হতে পারবেন না অথবা বাংলাদেশে বা বিদেশে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ বা কোনো প্রকারেই সহযোগিতা করতে পারবেন না। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করা থেকে তাদের বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
সরকারি চাকরিজীবীরা রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে থাকতে পারেন কি না এমন প্রশ্ন মাদারীপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খানকে করা হলে তিনি জানান, কোনো রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে গেছেন কি না বিষয়টি তার জানা নেই। জেনে জানাবেন বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন