চট্টগ্রামের কুমিরা-গুপ্তছড়া ঘাটে যাত্রী হয়রানি বন্ধ, গ্রেপ্তার ৯ যাত্রীর বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার এবং ঘাটের অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে সন্দ্বীপ অধিকার আন্দোলন ও সন্দ্বীপ নাবিক নামে দুটি সংগঠন।
শুক্রবার সন্দ্বীপ উপজেলা কমপ্লেক্স এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সন্দ্বীপ অধিকার আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক পুষ্পেন্দু মজুমদারের উপস্থাপনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সিরাজুল ইসলাম, সন্দ্বীপ অধিকার আন্দোলনের সভাপতি হাসানুজ্জামান সন্দ্বীপি, সন্দ্বীপ নাবিকের আহ্বায়ক মো. সোহেল, সাংবাদিক চারু মিল্লাত ও সমাজকর্মী মো. সাইফ। মানববন্ধনে সন্দ্বীপের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘চট্টগ্রামের কুমিরা-গুপ্তছড়া নৌরুটে সিন্ডিকেট ও সন্ত্রাসীরা সন্দ্বীপের মানুষকে মানুষ বলে গণ্য করে না। বিআইডব্লিউটিএ-জেলা পরিষদের দ্বন্দ, মামলার নামে ধোঁকাবাজি মূলত ইজারাদারের পকেট ভারি করার কৌশল। এই ঘাটে বারবার নিরীহ যাত্রীদের হত্যা করা হলেও কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতাদের কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখিনি। অথচ অন্যায়ের বিরুদ্ধে সাধারণ যাত্রীরা প্রতিবাদ করায় ৯ জনকে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যাদের আটক ও নির্যাতন করা হয়েছে তারা সন্দ্বীপের গর্বিত সন্তান।’
সন্দ্বীপ অধিকার আন্দোলনের সভাপতি হাসানুজ্জামান সন্দ্বীপি বলেন, ‘কুমিরা ঘাটের ঘটনায় ৯ সাধারণ যাত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনার প্ররোচনা দিয়েছে ঘাটের কর্মচারীরা। তারেক নামে এক কর্মচারী কর্তৃক সাধারণ এক যাত্রীকে নির্যাতনের ছবি সবাই দেখেছেন। অবিলম্বে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে হবে। যাদের নামে মামলা দেওয়া হয়েছে সরাসরি প্রতিবেদন দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।’
গত ২৮ জুন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার কুমিরা ঘাটে সন্দ্বীপগামী যাত্রী ও ঘাট কর্তৃপক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনায় ঘাট কর্তৃপক্ষের লোকজন ৯ জনকে আটক ও মারধর করে সীতাকুণ্ড থানা পুলিশে সোপর্দ করে। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের কুমিরা নৌঘাটে বিআইডব্লিউটিএ ভবন ভাঙচুর করার ঘটনায় সংস্থাটির উপপরিচালক নয়ন শীল বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।
মন্তব্য করুন