খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৯১ সালের ২৫ নভেম্বর থেকে। দীর্ঘ ৩৪ বছরে এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষার জন্য শিক্ষা ছুটি নিয়ে কর্মস্থলে ফেরেননি ৩৪ শিক্ষক।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ছুটির নীতিমালা অনুযায়ী, কোনো শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের দুই বছর পর বিদেশে উচ্চশিক্ষার ছুটির জন্য আবেদন করতে পারবেন। তখন একজন শিক্ষককে এক বছর করে ছুটি দেওয়া হয়। একজন শিক্ষক বিদেশে মাস্টার্স/এমফিল করার জন্য স্ববেতনে সর্বোচ্চ তিনবার ছুটি নিতে পারবেন (তিন বছরের ছুটি)। অন্যদিকে পিএইচডি করার জন্য একজন শিক্ষক এক বছর করে পাঁচ বছর স্ববেতনে ছুটি নিতে পারবেন। এরপর কোনো শিক্ষক চাইলে আরও দুবার দুই বছরের জন্য ছুটি নিতে পারবেন, তবে ওই দুই বছরে তিনি কোনো বেতন পাবেন না। সাত বছর শেষ হলে তাকে কর্মস্থলে ফিরে আসতে হবে। অন্যথায় তার চাকরি চলে যাবে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরু থেকে এ পর্যন্ত শিক্ষা ছুটি নিয়ে ৩৪ শিক্ষক কর্মস্থলে ফেরেননি। তাদের মধ্যে অনেকে সাত বছরের ছুটি শেষ করেছেন, অনেকে শিক্ষা ছুটি শেষ হওয়ার আগেই চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকে পিএইচডি, এমএসসি (মাস্টার্স) এবং পোস্ট ডক্টরেট করতে ছুটি নিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সহযোগী অধ্যাপক বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী ২০ জন শিক্ষার্থীর জন্য একজন শিক্ষক থাকা প্রয়োজন; কিন্তু আমাদের এখানে সেটা নেই। শিক্ষক সংকটের মধ্যেও কেউ ছুটি নিয়ে আর কর্মস্থলে না ফিরলে সেটা আমাদের জন্য যেমন কষ্টের, তেমনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের জন্যও।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. এস এম মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘যারা শিক্ষা ছুটি নিয়ে চলে যান, তারা ফেরত না এলে আমাদের কিছু করার থাকে না। শিক্ষকদের নির্ধারিত ছুটি শেষ হলে আমরা তাদের ফিরে আসার জন্য চিঠি দিয়ে থাকি। অনেকে ফিরে আসেন, অনেকে ফেরেন না।’
মন্তব্য করুন