আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে নিবন্ধন ফিরে না পেলে নিজেদের প্রতীক দাঁড়িপাল্লায় নির্বাচন করতে পারবে না আলোচিত রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামী। সেক্ষেত্রে নির্বাচনী প্রতীকের জন্য তিন বিকল্প সামনে রেখে এগোতে হবে দলটিকে। নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা এমন মত দিয়েছেন।
তাদের মতে, প্রথম বিকল্প হিসেবে জামায়াতকে স্বতন্ত্র থেকেই নির্বাচন করতে হবে। দ্বিতীয়টি হচ্ছে, অন্য কোনো দল বা জোটের মার্কায় নির্বাচন করা এবং শেষটি হচ্ছে, নিবন্ধনের পাইপলাইনে থাকা দলগুলোর কোনোটির সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাওয়া, যেটি নিবন্ধনও পাবে।
এর আগে ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর জামায়াতকে সাময়িক নিবন্ধন দেওয়া হয়; কিন্তু নানা ঘটনা শেষে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতকে নিষিদ্ধেরও জোরালো দাবি ওঠে। প্রায় এক যুগ প্রকাশ্যে কোনো ধরনের সভা-সমাবেশ করতে না পারলেও সম্প্রতি আবারও প্রকাশ্যে এসেছে তারা। সরকারের অনুমতি নিয়ে সভা-সমাবেশও করছে দলটি। ফলে জামায়াত ইস্যুতে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। তবে নির্বাচনের আগে দলটি নিবন্ধন ফিরে না পেলে তাদের প্রতীকের বিষয়টি কি হবে, তা নিয়ে আগ্রহ অনেকের।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী কালবেলাকে বলেন, নিবন্ধন ফিরে না পেলে তাদের নিজস্ব প্রতীক দাঁড়িপাল্লায় নির্বাচনের সুযোগ নেই। সেক্ষেত্রে তাদের স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে তারা যে মার্কা চাইবে খালি থাকা সাপেক্ষে সেটিই তাদের প্রতীক হবে। এ ছাড়া তারা চাইলে অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও জোট করে তাদের মার্কায় নির্বাচনে অংশ নিতে পারে। আগের নির্বাচনে যেমন কয়েকটি দল তাদের নিজেদের মার্কা বাদ দিয়ে নৌকা ও ধানের শীষে নির্বাচন করেছিল। এর বাইরে তাদের কিছু করার থাকবে না।
নির্বাচন বিশেষজ্ঞ আব্দুল আলীম বলেন, নিবন্ধন ফিরে না পেলে তাদের সামনে তিনটি বিকল্প থাকবে। এর মধ্যে প্রথমটি হচ্ছে, তারা চাইলে স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করতে পারে। দ্বিতীয়টি হচ্ছে, কোনো দলের সঙ্গে যোগ দিয়ে ওই দলের মার্কায় নির্বাচন করতে পারে। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধনের জন্য ইসির পাইপলাইনে থাকা কোনো কোনো দলের সঙ্গে জামায়াতের সম্পৃক্ততার খবর রয়েছে। ইচ্ছে করলে ওই সব দলের কোনোটির সঙ্গে সরাসরি যোগ দিয়ে মিশে যেতে পারে। তবে শেষ পর্যন্ত ওই দলটিকেও নিবন্ধন পেতে হবে। এ ছাড়া আর কোনো বিকল্প পথ জামায়াতের সামনে খোলা নেই।
মন্তব্য করুন