মো. মনিরুজ্জামান, মালয়েশিয়া
প্রকাশ : ২৩ মার্চ ২০২৪, ০৩:২৫ এএম
আপডেট : ২৩ মার্চ ২০২৪, ০৮:২৬ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ফের বন্ধ হওয়ার পথে মালয়েশিয়ার দরজা

সিন্ডিকেটের জাল
ফের বন্ধ হওয়ার পথে মালয়েশিয়ার দরজা

ফের বন্ধ হওয়ার উপক্রম মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। বাংলাদেশি শ্রমিকদের নিরাপদ গন্তব্যের এ দেশটি এখন সিন্ডিকেটের জালে বন্দি। ২০১৭ সাল থেকে প্রায় চার বছর বন্ধ ছিল মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানো। এরপর অনেক দেনদরবার করে ২০২১ সালের ১৮ ডিসেম্বর নতুন সমঝোতা চুক্তির মাধ্যমে সেই বাজার উন্মুক্ত হয়। তবে সেখানেও নিরঙ্কুশ আধিপত্য তৈরি করে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা সিন্ডিকেট। তুলনামূলক বেশি টাকা দিয়ে ২০২২ সালের আগস্টে আবারও বাংলাদেশি কর্মী যাওয়া শুরু হয়। শুরুর দিকে বাংলাদেশের ২৫ এজেন্সি দায়িত্ব পেলেও পরে এটি বাড়িয়ে ১০০ এজেন্সির সিন্ডিকেট করা হয়।

জানা যায়, মালয়েশিয়ায় কর্মী যেতে অতিরিক্ত দেড় লাখ টাকা দিতে হয় ১০০ এজেন্সির নামে গড়ে ওঠা ওই চক্রকে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার নামে বাণিজ্য একই চক্রের অধীন চলে। যার ফলে একজন কর্মীকে মালয়েশিয়াতে যেতে গড়ে চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা গুনতে হয়। এত টাকা খরচ করেও দেশটিতে গিয়ে লাখো বাংলাদেশি কর্মী প্রতারিত হয়েছেন। চাকরি না পেয়ে মাসের পর মাস মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অপরদিকে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে শ্রমবাজারের নিয়ন্ত্রক সিন্ডিকেট নামক চক্রটি। এভাবে হাজার হাজার কোটি টাকা দেশ থেকে বিদেশে নিয়ে গেছে চক্রের সঙ্গে জড়িতরা। মালয়েশিয়া সরকার বিদেশি কর্মী নিয়োগপ্রক্রিয়া ঠিক করতে চায়। এই পরিস্থিতির মধ্যে আবারও মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

সম্প্রতি মালয়েশিয়ার সরকার ঘোষণা দিয়েছে, নতুন করে আর বিদেশি কর্মী নিয়োগের কোনো আবেদন অনুমোদন করবে না মালয়েশিয়া সরকার। যারা ইতোমধ্যে অনুমোদন পেয়েছে, তাদের কর্মীদের ৩১ মার্চের মধ্যে ভিসার জন্য আবেদন জমা দিতে হবে। এরপর আর কর্মীদের ভিসার আবেদন নেবে না দেশটি। যারা এরই মধ্যে ভিসা নিয়েছেন বা নেবেন, তাদের মালয়েশিয়ায় প্রবেশের শেষ সময় আগামী ৩১ মে।

গত ৮ মার্চ মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল ঘোষণা করেন, এজেন্সিগুলো যদি ৩১ মার্চের মধ্যে তাদের কলিং ভিসা প্রস্তুত করতে ব্যর্থ হয়, তবে বাংলাদেশ থেকে কর্মীদের জন্য সব ধরনের সক্রিয় নিয়োগ কোটা বাতিল হয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, নিয়োগ কর্তারা ৪ লাখ ১২ হাজার ১১ জন অভিবাসী শ্রমিকের কোটার জন্য লেভি পরিশোধ করেছেন, যার মধ্যে মাত্র ৫৮ দশমিক ১ শতাংশ (২ লাখ ৩৯ হাজার ৩০৫ কোটা) কলিং ভিসা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে দেশটির মানবাধিকার সংগঠনগুলো অভিযোগ করেছে যে, হাজার হাজার বাংলাদেশি অভিবাসী কর্মীকে মিথ্যা অজুহাতে আনা হয়েছে। এখন তাদের ডিটেনশন ক্যাম্পে আটকে রাখা হয়েছে এবং মালয়েশিয়া-বাংলাদেশ উভয়ে দেশের সিন্ডিকেট চক্রের মধ্যে অবৈধ টাকা লেনদেনের কথা বলছে। বর্তমানে কাজ না পেয়ে কর্মীরা প্রতারিত হয়ে প্রতিদিন নিজ দেশে ফেরত যেতে বাধ্য হচ্ছেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইশরাকের সঙ্গে বাগদান নিয়ে হবু স্ত্রীর স্ট্যাটাস

মোবাইলে আফগানিস্তান-বাংলাদেশ ম্যাচ দেখবেন যেভাবে

‘সেফ এক্সিট’ নিয়ে বিএনপির সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি : দুদু

র‍্যাবের গাড়ি-বাসের সংঘর্ষে শিশুসহ নিহত ৩

কাঁদতে কাঁদতে নিজের জীবনের যে দুঃখের গল্প শোনালেন মারুফা

আমি কিছুটা ‘লক্ষ্মী’, কিছুটা ‘দুষ্টুও’: মনামী ঘোষ

ডিরেক্টর আর্টিস্ট পয়দা করতে পারে না : যাহের আলভী

মক্কা থেকে যা বললেন ফারহান

ইমা অ্যাওয়ার্ডে ‘নিশি’

পাকিস্তানে পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে হামলা, ৭ সদস্য নিহত

১০

ধামরাই ওদুদুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের অ্যালামনাই পরিবার গঠন

১১

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের বিষয়টি জনগণের ওপর ছেড়ে দিতে হবে : আমীর খসরু

১২

কোন জেলার জামাই হচ্ছেন ইশরাক

১৩

জামায়াত ক্ষমতায় গেলে ‘ওয়ান-টু-তে’ সব সমস্যার সমাধান হবে : গোলাম পরোয়ার

১৪

সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণে একজনের মৃত্যু, আহত ৫

১৫

খাদ্যনালির ক্যানসারের যে উপসর্গগুলোকে অবহেলা করবেন না

১৬

দিল্লিতে আফগানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে নারী সাংবাদিক নিষিদ্ধ

১৭

লক্ষ্মীপুরে মা-মেয়ে হত্যা, আটক সোহেল নিহতদের ‘আত্মীয়’

১৮

ইশরাকের হবু স্ত্রীর ছবি প্রকাশ

১৯

প্রেম ভাঙার গুঞ্জনে যা বললেন সাদিয়া

২০
X