এনায়েত শাওন
প্রকাশ : ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৪৬ এএম
আপডেট : ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৪৩ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিবেদন
হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে মিশে হাওরের জলজ বাস্তুতন্ত্রের মারাত্মক বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে বলে মত দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। এমন অবস্থায় জরুরিভিত্তিতে এবং পরিবেশসম্মত প্রক্রিয়ায় এই রং অপসারণের সুপারিশ করেছেন তারা।

পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযোগ, আলপনা অঙ্কনের আগে পরিবেশ অধিদপ্তর তো নয়-ই, রাস্তাটি যে সংস্থার অধীনে সেই সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগেরও অনুমতি নেওয়া হয়নি। এমনকি স্থানীয় প্রশাসনকে না জানিয়েই বৈশাখের এই আলপনা করেছে বেসরকারি তিনটি প্রতিষ্ঠান।

গত রোববার পরিবেশ অধিদপ্তর, কিশোরগঞ্জ সরেজমিন পরিদর্শন করে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেছে। সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল মতিন স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে বলা হয়, রাস্তাটি হাওরের মাঝখান দিয়ে চলমান থাকায় আলপনার এসব রঙের চূড়ান্ত নির্গমনস্থল হাওরের পানি। রোদের তাপে, বৃষ্টি ও যানবাহনের চাকার ঘর্ষণে জমাট বাঁধা শুকনো রঙের আস্তরণ ভেঙে ছোট ছোট কণা বা ফাইন ডাস্ট অবস্থায় হাওরের জমিতে পতিত হবে এবং মাটির সঙ্গে মিশে যাবে, যা পরবর্তী সময়ে পূর্ণ বর্ষায় হাওরের পানিতে মিশ্রিত হবে। হাওরের পানি বাতাসের গতির সঙ্গে প্রবহমান থাকে বলে রঙের ক্ষুদ্র কণা পানির সঙ্গে অনবরত অদ্রবণীয় অবস্থায় মিশে পানির স্বচ্ছতা নষ্ট করবে। এতে পানির গভীরে সূর্যের আলো পৌঁছাতে না পারায় জলজ বাস্তুতন্ত্র মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। হাওরের সুরক্ষায় যে কোনো পরিবেশসম্মত প্রক্রিয়ায় সড়কে অঙ্কিত আলপনার রং দ্রুত অপসারণ করতে প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়।

এদিকে পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দা মাসুমা খানম কালবেলাকে বলেন, তার কাছে এখনো প্রতিবেদনটি পৌঁছেনি।

হাওরের সড়কে বিশ্বের দীর্ঘতম আলপনা অঙ্কনের কাজটি বাস্তবায়ন করে বার্জার পেইন্টস, বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশন ও এশিয়াটিক এক্সপেরিয়েন্সিয়াল মার্কেটিং লিমিটেড। গত ১২ এপ্রিল আলপনা অঙ্কনের কাজটি উদ্বোধন করেন সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির কালবেলাকে বলেন, প্রতিবেদনে যে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে, তার সঙ্গে একমত। রাস্তার রঙের শেষ গন্তব্য হাওরের পানি। সুতরাং রঙের যে রাসায়নিক, তা অবশ্যই হাওরের বাস্তুসংস্থানের জন্য ক্ষতিকর। আসছে মৎস্য প্রজনন মৌসুমে মা মাছের ক্ষতির কারণ হয়ে উঠতে পারে। রং অপসারণের যে সুপারিশ করা হয়েছে, তা বাস্তবায়ন করা গেলে সাধুবাদ জানাব।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বাড়ি থেকে পালিয়ে প্রেমিককে বিয়ে, সেই তরুণীর রহস্যজনক মৃত্যু

টটেনহ্যামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগে শীর্ষস্থান মজবুত করল আর্সেনাল

যে কারণে ক্ষমা চাইলেন বাফুফে সভাপতি

গাজায় সেনা পাঠানো নিয়ে নতুন সংকটে পাকিস্তান

তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে ৬১ ক্রিকেট ব্যাট-বল বিতরণ

ভূমিকম্পে আহত হামীমের চিকিৎসার খোঁজ নিলেন ডা. কাঁকন

৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যা

খালেদা জিয়ার হাসপাতালে ভর্তির কারণ জানালেন চিকিৎসক

ফাইনালে সুপার ওভারে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ

বিদেশিদের হাতে বন্দরের ব্যবস্থাপনা তুলে দেওয়া অদূরদর্শী সিদ্ধান্ত : লায়ন ফারুক

১০

হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় / পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় মেজর সিনহাকে

১১

কর্মী নিয়োগ নিয়ে বাংলাদেশকে সুখবর দিল সৌদি আরব

১২

সোনালী ব্যাংকে ‘শয়তানের নিঃশ্বাস’ দিয়ে প্রতারণা

১৩

জাল টাকার নোটসহ আটক ২

১৪

রাজশাহীতে ৬ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

১৫

এসএ সিদ্দিক সাজুকে বিএনপির শোকজ

১৬

বিএনপি নারীর ক্ষমতায়ন ও স্বাবলম্বিতা বাস্তবায়নে অঙ্গীকারবদ্ধ : সেলিমা রহমান

১৭

মুফতি মামুনুর রশিদ কাসেমী গ্রেপ্তার

১৮

রাজনীতি রাজনীতিবিদদের হাতেই থাকা উচিত : রিজভী

১৯

যুদ্ধবিরতির মধ্যে গাজায় হামলা, কমান্ডারকে নিহতের দাবি ইসরায়েলের

২০
X