মো. জাফর আলী, ঢাবি
প্রকাশ : ২৮ জুন ২০২৪, ০৩:৩৫ এএম
আপডেট : ২৮ জুন ২০২৪, ০৮:০২ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ঢাবির দর্শন বিভাগ

গবেষণা কাজে তিন শিক্ষক ও এক শিক্ষার্থীর চৌর্যবৃত্তি!

তদন্ত কমিটি হলেও অগ্রগতি নেই
গবেষণা কাজে তিন শিক্ষক ও এক শিক্ষার্থীর চৌর্যবৃত্তি!

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে গবেষণা কাজে তথ্য চুরির একের পর এক অভিযোগ উঠছে। এখন পর্যন্ত এই তালিকায় রয়েছেন তিন শিক্ষক ও এক শিক্ষার্থী। অধ্যাপক মো. দাউদ খান ও রেবেকা সুলতানার বিরুদ্ধে চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এবার অভিযোগ পাওয়া গেছে, ওই বিভাগের অধ্যাপক জসিম উদ্দিনও গবেষণা প্রবন্ধে চৌর্যবৃত্তির আশ্রয় নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, তার অধীনে এমফিল গবেষণায় নিয়োজিত শিক্ষার্থী তাসলিমা আক্তারের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ উঠেছে। এই শিক্ষার্থীকেই বিভাগের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছেন জসিম উদ্দিন। বিষয়টি নিয়ে দর্শন বিভাগের ভেতর ও বাইরে তুলকালাম চলছে বলে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘দেব সেন্টার ফর ফিলোসোফিক্যাল স্টাডিজ’-এর ফিলোসোফি অ্যান্ড প্রগ্রেস জার্নালে অধ্যাপক জসিম উদ্দিনের ‘দি মাধ্যমিকা ডায়ালেক্টিক: এন এনালাইসিস’ শিরোনামে একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয় ১৯৯০ সালে। অভিযোগ রয়েছে, ২ হাজার ৪৬৪ শব্দের ওই প্রবন্ধে ফয়োডর ইপোলিটভিসের ‘দি কনসেপশন অব বুড্ডিস্ট নির্ভানা’ গ্রন্থ থেকে ২৫ শতাংশ (৬১২ শব্দ) এবং টি আর ভি মূর্তি’র ‘দি সেন্ট্রাল ফিলোসফি অব বুদ্ধিজম’ গ্রন্থ থেকে ২০ শতাংশসহ (৫০৭ শব্দ) মোট ৫৯ শতাংশ (১ হাজার ৪৫৩ শব্দ) বিভিন্ন বই থেকে হুবহু কপি করেছেন অধ্যাপক জসিম। তিনি চৌর্যবৃত্তিতে অভিযুক্ত একই বিভাগের আরেক শিক্ষক অধ্যাপক মো. দাউদ খানের পিএইচডি গবেষণার সুপারভাইজার।

পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করছেন অধ্যাপক জসিম উদ্দিন। হোয়াটসঅ্যাপে কল করা হলে তিনি এ অভিযোগ অস্বীকার করে কালবেলাকে বলেন, ‘আমি চাকরিতে যোগ দেওয়ার এক থেকে দুই বছর পর ওই প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। ৩৩ বছর পর এই প্রবন্ধে কী লেখা হয়েছে, কপি করা হয়েছে কি না—এসব প্রশ্ন করা হলে তো উত্তর দিতে পারব না। কে বা কারা এমন অভিযোগ করেছেন, তা আমি জানি। কিন্তু তার নাম বলব না। এত বছর পর কেন এই অভিযোগ তোলা হচ্ছে, সেটি সময়ই বলে দেবে।’

এর আগে অধ্যাপক জসিম উদ্দিনের অধীনে পিএইচডি করা অধ্যাপক দাউদ খানের বিরুদ্ধে গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ উঠলে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়। একই অভিযোগে আরেক অধ্যাপক মোসা. রেবেকা সুলতানার বিরুদ্ধেও তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এদিকে গবেষণা চৌর্যবৃত্তির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও অধ্যাপক মো. দাউদ খানকে গোবিন্দ দেব দর্শন গবেষণা কেন্দ্রের প্রকাশিতব্য ‘দর্শন ও প্রগতি’ জার্নালের সহযোগী সম্পাদক হিসেবে রাখা হয়েছে। আবার একই অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েও উচ্চতর মানববিদ্যা গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অধ্যাপক জসিম উদ্দিন। চৌর্যবৃত্তিতে অভিযুক্তদের বিভিন্ন গবেষণা কেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত রাখা নৈতিকভাবে সমর্থনযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক।

সূত্র জানায়, গত বছর ঢাবির দর্শন বিভাগে প্রভাষক পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হলে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী শোয়েবুর রহমান ও আবু সালেম সেখানে আবেদন করেন। কিন্তু নিয়োগের শর্তানুযায়ী তারা যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করেননি। তারপরও ওই পদের জন্য বিভাগ থেকে সালেমের নাম সুপারিশ করার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালান অধ্যাপক জসিম উদ্দিন। দুজনের মধ্যে শোয়েবকে বিভাগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের মিটিংয়ে (সিঅ্যান্ডডি) বাদ দেওয়া হলেও আবু সালেমকে বিশেষ বিবেচনায় সুপারিশ করা হয় এবং সাক্ষাৎকারের জন্যও ডাকা হয়। ওই মিটিংয়ের অন্যতম সদস্য ছিলেন অধ্যাপক জসিম উদ্দিন ও অধ্যাপক মো. দাউদ খান।

দর্শন বিভাগের বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী উচ্চপদ থেকে অন্য প্রতিষ্ঠানে নিম্ন পদে আবেদনের অনুমতি দেওয়া হয় না। আবু সালেম দর্শন বিভাগের অধ্যাপক জসিম উদ্দিন ও অধ্যাপক দাউদ খানের আস্থাভাজন হিসেবে বিভাগে পরিচিত। সে কারণে নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে তার নাম মৌখিক পরীক্ষার তালিকায় রাখা হয়। তিনি সেখানে অংশগ্রহণও করেন। তবে সেই পরীক্ষায় খারাপ করায় সালেম শিক্ষক নিয়োগে সুপারিশের তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন বলে জানিয়েছে একাধিক সূত্র।

সূত্র বলছে, সালেমের মৌখিক পরীক্ষার বোর্ডে ছিলেন অধ্যাপক জসিম। সালেমকে চূড়ান্ত সুপারিশের তালিকায় না রাখতে পেরে তিনি তার এমফিলের ছাত্রী তাসলিমা আক্তারকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের জন্য উঠেপড়ে লাগেন। এ নিয়োগের সাক্ষাৎকার গত ৩০ মে অনুষ্ঠিত হয়। ওইদিন অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটে সুপারিশকৃত তিনজন নারী প্রার্থীর নাম যায়। তারা হলেন তাসলিমা আক্তার, তাহিয়া তাহরীম এবং শায়লা ইসলাম নীপা। তবে সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করে অধিকতর যাচাইয়ের জন্য রাখা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র বলছে, তিন প্রার্থীর অন্যতম তাসলিমা আক্তারের এমফিল গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সে কারণেই নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়েছে।

বিভাগটির নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, তাসলিমা আক্তারের এমফিল থিসিসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘রুলস ফর দ্য প্রিভেনশন অব প্লেজারিজম’ শীর্ষক গবেষণার নীতিমালা অনুসরণ করা হয়নি। নীতিমালা অনুযায়ী, যথাযথ উপায় অবলম্বন করে একক উৎস থেকে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ তথ্য নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু তাসলিমা সেখানে নিয়েছেন ৬ শতাংশ। এ ছাড়া তিনি থিসিসে বিভিন্ন উৎস থেকে যথাযথ উদ্ধৃতি না দিয়ে কিছু ক্ষেত্রে সরাসরি কপি করেছেন এবং কিছু ক্ষেত্রে ফুটনোট দিলেও যথাযথ উপায় অবলম্বন করেননি। থিসিসের ৭০ নম্বর পৃষ্ঠার ২৯নং ফুটনোটে বিল ফিডম্যানের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স গ্রন্থের ১৮ পৃষ্ঠা থেকে ৩২টি শব্দের ২৯টি শব্দ সরাসরি উল্লেখ করেছেন। ৭১ পৃষ্ঠায় ৩০ নম্বর ফুটনোটে একই গ্রন্থের ১৬ পৃষ্ঠা থেকে হুবহু ২৭টি শব্দ নিয়েছেন। কিন্তু কোটেশন ব্যবহার করেননি। একই পৃষ্ঠায় উইকিপিডিয়া থেকে সরাসরি কোনো কোটেশন ব্যবহার না করে ১১৪ শব্দ নিয়েছেন। অন্য বেশ কয়েকটি পৃষ্ঠায়ও একই দৃষ্টান্ত রয়েছে।

কনটেন্ট ট্র্যাকিং রিপোর্ট থেকে জানা যায়, তিনি মূল গ্রন্থ থেকে নয়, বেশিরভাগ তথ্য ওয়েবসাইটে বিদ্যমান বিভিন্ন স্টাডি সেন্টারের ক্লাস নোট থেকে নিয়ে গবেষণা সম্পন্ন করেছেন। এটিকে নিয়মের পরিপন্থি ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানতে চাইলে তাসলিমা আক্তার কালবেলাকে বলেন, ‘থিসিস জমা দেওয়ার আগে যতগুলো নিয়ম অনুসরণ করা দরকার, সবটুকুই করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে জানানো হয়েছে, একটি উৎস থেকে যে পরিমাণ তথ্য নেওয়া যাবে আমার গবেষণায় তার চেয়ে অনেক কম রয়েছে। এরপর থিসিস সুপারভাইজার, লাইব্রেরিয়ানকে নিয়ে যাচাই করার পর তাদের সম্মতি নিয়ে জমা দিয়েছি। তাই এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।’

এদিকে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অধ্যাপক জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে নিয়োগে প্রভাব বিস্তারের এটিই প্রথম অভিযোগ নয়। ২০১৬ সালে বিভাগের প্রভাষক নিয়োগে আবেদনের শর্তপূরণ না করলেও তোফায়েল আহমেদ নামে একজনকে প্রভাষক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে তিনি প্রভাব বিস্তার করেন। পরবর্তী সময়ে বিষয়টি উচ্চ আদালত পর্যন্ত গড়ায়। এ নিয়োগে প্রভাব বিস্তারের কারণে ২০২২ সালের নিয়োগ বোর্ডে তাকে না রাখা হলেও অদৃশ্য কারণে ২০২৪ সালের নিয়োগ বোর্ডে আবারও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে অন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ বোর্ড থেকে আর্থিক লেনদেন, নিজ বিভাগে ক্লাস না নিয়ে বেসরকারি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশি সময় দেওয়া, পরীক্ষায় পক্ষপাতিত্ব, মিডটার্ম পরীক্ষার নম্বর প্রকাশ না করে চূড়ান্ত পরীক্ষার সময় নয়ছয় করা, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাজে ব্যবহার করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ছাড়া গত ২৫ ফেব্রুয়ারি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ৩ জন শিক্ষককে সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতির সুপারিশ করেন অধ্যাপক জসিমসহ বোর্ডের অন্য সদস্যরা। যদিও তাদের বিরুদ্ধে গবেষণা চৌর্যবৃত্তির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছিল। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ আহমেদের লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ইউজিসির চেয়ারম্যানকে চিঠি দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরবর্তী সময়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটে তা ত্রুটিপূর্ণ বলে বাতিল করেন।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শাহ কাওসার মুস্তাফা আবুল উলায়ী কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার বলেন, রেবেকা সুলতানাকে আমরা ৭ দিনের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলেছি। এরপর আরও কিছু প্রসিডিউর শেষে প্রতিবেদন জমা হবে। এ ছাড়া দাউদ খানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয়েও কমিটি কাজ করছে। তিনি আরও বলেন, গবেষণার ক্ষেত্রে প্যারেন্টিং নেই, সবাই একলা গবেষণা করতে চায়। অনেক আগে যারা গবেষণা করেছেন তারা গবেষণার অনেক নিয়ম জানেন না—এসব কারণে চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ উঠছে। সেজন্য আমরা ওয়েবসাইটে রিসার্চ ইন্টিগ্রিটি ফ্রেমওয়ার্ক দিয়েছি। ক্রমান্বয়ে তা আপডেট করা হচ্ছে। আমরা সবার মধ্যে সততা, স্বচ্ছতা দেখতে চাই। আশা করছি, আগামী ৫ বছরের মধ্যে নতুন করে গবেষণায় কোনো চৌর্যবৃত্তির মতো বিষয় আসবে না। তবে বিগত গবেষণায় কোনো অভিযোগ এলে তা নিশ্চয়ই খতিয়ে দেখা হবে। শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমন কোনো অভিযোগ শুনিনি। তবে ঐকমত্যে পৌঁছাতে না পারায় নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়নি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গেন্ডারিয়ায় ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণে দগ্ধ একজনের মৃত্যু

যুক্তরাষ্ট্রে ৫ কোটি ৫০ লাখ ভিসাধারীকে যাচাই শুরু, প্রমাণ মিললে ব্যবস্থা

পিআর পদ্ধতির নামে নির্বাচন পেছাতে ষড়যন্ত্র চলছে : মীর সরফত 

খানকাহ রহমানি মসজিদ : রাজীব থেকে রাহুল গান্ধী

সৌদির নারীদের সম্পর্কে চমকপ্রদ তথ্য

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আরও ১৭৩ জন

মোবাইলের ডায়াল প্যাড আগের মতো করবেন যেভাবে

মেয়াদ আছে তো!

শাপলা চত্বর গণহত্যার বিচারে আলাদা কমিশন গঠনের দাবি

‘১৭ বছরে ব্যবসা ছেড়ে ভারতে গেছেন অনেক স্বর্ণ ব্যবসায়ী’ 

১০

ইতিহাস-ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ গোপালগঞ্জ : নুরুল হক 

১১

ঐকমত্য কমিশনে মতামত দিয়েছে ২৩ দল

১২

আন্ডারটেকার ও মাইক টাইসন আসছেন ‘বিগ বস ১৯’-এ!

১৩

চিলিতে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত

১৪

ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

১৫

সাবেক প্রেসিডেন্ট রণিল বিক্রমাসিংহে গ্রেপ্তার

১৬

রাতে যেসব জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড় ও বজ্রবৃষ্টির আভাস

১৭

সাফে ভারতের কাছে বাংলাদেশের হার

১৮

পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১৮৮০

১৯

চীন সফরে নাহিদের সঙ্গে যাচ্ছেন যারা

২০
X