

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি এশিয়া সফরে ঘুরলেন মালয়েশিয়া, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। এ সফরে অস্ত্রবিরতি চুক্তি হলো, হলো বাণিজ্য চুক্তিও। সম্পর্কের সোনালি যুগ সূচনার প্রতিশ্রুতি পেল জাপান। এ সফরে সর্বত্র নজরে এসেছে— ট্রাম্পকে এশীয় নেতাদের তোষামোদি, ট্রাম্প বন্দনা আর তার ভূয়সী প্রশংসা। তাকে খুশি করতে দেওয়া হয় স্বর্ণ-মুকুটও। আলজাজিরা বলছে, সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহে মনে হচ্ছে— এটিই ট্রাম্পের মন জয়ের সবচেয়ে কার্যকর কৌশল। এর আগে পাকিস্তান, আর্মেনিয়া, আজারবাইজান ও ন্যাটো নেতারা এমন আচরণ করে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে তুষ্ট করেছেন।
সফরের শুরুতে মালয়েশিয়ায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম মার্কিন প্রেসিডেন্টের ‘অদম্য মানসিকতা’ ও ‘সাহসিকতা’র প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে অস্ত্রবিরতি চুক্তির মতো অসম্ভব কাজও ট্রাম্প সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন।
জাপানে যাওয়ার পর দেশটির নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি ট্রাম্পের শান্তি উদ্যোগে ‘গভীরভাবে মুগ্ধ ও অনুপ্রাণিত’ হওয়ার কথা জানান। তিনি উল্লেখ করেন, আগামী বছরের শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পকে মনোনয়ন দিয়েছেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ং ট্রাম্পকে উপহার দেন স্বর্ণের মুকুট ও দেশটির সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘গ্র্যান্ড অর্ডার অব মুগুংহওয়া’। তিনি ট্রাম্পকে উপহার দেন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ২৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ২৫০টি চেরি গাছ, একটি গলফ ক্লাব ও ব্যাগ—যা ছিল প্রয়াত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের।
এসব প্রশংসা ও স্তুতির পুরস্কারও মিলেছে। মালয়েশিয়া, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া—তিন দেশই দীর্ঘ আলোচনার পর ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি চূড়ান্ত করেছে।
কূটনীতিতে হাসি ও করমর্দন স্বাভাবিক বিষয়। তবে সিঙ্গাপুর ম্যানেজমেন্ট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ও সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল গভর্ন্যান্স ইনোভেশনের সিনিয়র ফেলো হেনরি গাও বলছেন, বাণিজ্য আলোচনায় সুবিধা আদায়ের জন্য এশিয়ার নেতারা ট্রাম্পের প্রতি অতিরিক্ত সৌজন্য দেখানো ও প্রশংসা করেছেন।
মন্তব্য করুন