ইলেকট্রিক বাইসাইকেল (ই-বাইক) প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান আরটোপিয়া নিজেদের ই-বাইকে যুক্ত করেছে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) তথা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি। কোনো ই-বাইকে চ্যাটজিপিটির সন্নিবেশ বিশ্বে এটাই প্রথম।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এর মাধ্যমে ই-বাইক ইন্ডাস্ট্রি প্রবেশ করল নতুন যুগে, আরটোপিয়ার হাত ধরে। বাইসাইকেল চালানোর সময় গুগলের ‘হ্যালো গুগল’ বা অ্যাপলের ‘সিরি’র মতো ‘ভয়েস সহযোগিতা’ পাওয়া যাবে চ্যাটজিপিটির মাধ্যমে। আর এক্ষেত্রে এআই নজর রাখবে সাইকেলের গতিবিধি ও চালকের আনুষঙ্গিক বিষয়ের দিকেও।
আরটোপিয়া স্মার্ট বাইসাইকেলের জন্য জনপ্রিয়। এই ব্র্যান্ডের বাইসাইকেলে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সিকিউরিটি সেন্সর প্রযুক্তিও রয়েছে। সম্প্রতি ইউরোবাইক ২০২৩ প্রদর্শনীতে চ্যাটজিপিটি যুক্ত বাইসাইকেল উন্মোচন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এতে দেখা যায়, এই বাইকের চালক একটি বোতামের সাহায্যেই চ্যাটজিপিটির চ্যাটবটের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন। তবে এই চ্যাটবটের সঙ্গে লিখে চ্যাট করতে হবে না। চ্যাটজিপিটি ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্সের মাধ্যমেই চালককে সহায়তা করবে এটি।
যেমন বাইকার সাইকেল চালানো অবস্থায় চ্যাটজিপিটির কাছে জানতে চাইতে পারে কীভাবে টায়ার বদলাতে হয়। আবার অথবা বাইকারের অবস্থান থেকে কাছের গ্যারেজটি কোথায় সেটাও বাইকারকে চ্যাটজিপিটি বলে দেবে। চাইলে নিকটবর্তী ফাস্টফুডের দোকান অথবা কোনো গাণিতিক সমস্যার সমাধানও পাওয়া যাবে চলতে চলতে। মোদ্দাকথা, চালকের উপযুক্ত সফরসঙ্গী হবে এই চ্যাটজিপিটি। চালকের সঙ্গে এই যোগাযোগের নেপথ্যে কাজ করবে আরটোপিয়ার ‘ভয়েস রিকগনিশন’ প্রযুক্তি।
ই-বাইক ইন্ডাস্ট্রিতে প্রথম হলেও যানবাহনে চ্যাটজিপিটির অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে জার্মান ব্র্যান্ড মার্সিডিজ। সম্প্রতি তারা গাড়িতে চ্যাটজিপিটি যুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে।
মন্তব্য করুন